সমকালের একটি শিরোনাম “দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস”
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। একইসঙ্গে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “পথে নিরাপত্তা এখনো দুরাশা”
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে। তারা হাতে তুলে নেয় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব। যানচালকদের নিয়ম মানতে বাধ্য করার পাশাপাশি লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজ পরীক্ষা করতে থাকে তারা। শিক্ষার্থীদের সে আন্দোলনের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ে উঠেছিল। সরকার বাধ্য হয় নতুন আইন করতে।
আজ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাত বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কের নিরাপত্তা এখনো অধরাই থেকে গেছে। সড়কে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে মানুষ। দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অদক্ষ চালকেরা স্টিয়ারিংয়ে বহাল। পথ ঠিকই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসহীন, লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। পরিবহনমালিকেরা গত রোববারই ঘোষণা দিয়েছেন পুরোনো গাড়ির মেয়াদ বৃদ্ধি, পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে মাঠে নামার। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সাজার যে ধারা রয়েছে, তা সংশোধন করা।
অপূর্ণ আন্দোলনের প্রতিশ্রুতিগুলো
২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি তুলেছিল। এর মধ্যে ছিল চালকদের বৈধ লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাসের ব্যবস্থা, সড়কে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ করা ইত্যাদি।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ কি সুযোগ হারাচ্ছে?”
জুলাই’ ২৪ গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তিতে প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকে একটি লেখা লিখেছিলাম। শিরোনাম ছিল- ‘অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।’ দিনটি ছিল ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪। আমার ধারণা তখনকার প্রেক্ষিতে আমার শিরোনামটি খুব বেশি অস্বাভাবিক ছিল না। বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সকল মানুষের কণ্ঠে একই ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিলো। দুই-তিনদিনের মধ্যে এদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও তার বক্তব্যে একই অভিমত ব্যক্ত করেন। এই দেশের পুনর্গঠনের জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারের সফল হওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সকলের মাঝে শঙ্কা, ‘বাংলাদেশ কি আরেকটা সুবর্ণ সুযোগ হারালো’?
কোটা থেকে শুরু হয়ে যখন আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলো, মতপথ ভুলে সকল রাজনৈতিক-সামাজিক ব্যক্তি-গোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা এক বিন্দুতে মিলে গেলো, ধর্ম-বর্ণ-বয়স-পেশা ব্যতিরেকে সবাই রাজপথে নেমে আসলো এক দলীয় শাসনের অবিচারের বিরুদ্ধে, তখন ফ্যাসিস্টদের জন্য আর জায়গা থাকলো না। অন্যায়-সন্ত্রাস-দুর্নীতি আর অপশাসনের বিরুদ্ধে সবার সমস্বরে প্রতিবাদ ও আন্দোলন স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়নি, যা হয়েছে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে।
সবচেয়ে বড় চমকটা এসেছে ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারের অংশ হয়ে আসাটা। যদিও তাদের সবচেয়ে বড় নেতা নাহিদ ইসলাম নৈতিকভাবে সরকার থেকে পদত্যাগ করে রাজনৈতিক দল গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন, কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ছাত্রদের তার নিয়োগকর্তা হিসেবে অতি-আবেগী সম্বোধন, প্রশাসক হিসেবে তার নেতৃত্বের জায়গাটা দুর্বল করে দিয়েছে। আনসার বিদ্রোহ, ছাত্র-কর্তৃক বিচারালয় ঘেরাও, গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় অবহেলা ও তাদের আন্দোলন সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারার ব্যর্থতা, শাসক হিসেবে তার দূরদৃষ্টির অভাবকে প্রতীয়মান করে।
প্রধান উপদেষ্টা কিছু উদ্দীপনা তৈরির চেষ্টা করেছেন। বিদেশ থেকে কিছু করিৎকর্মা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত এনেছেন, বড় বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা তাদের মতো করে কাজ করে অভ্যস্ত ও সফল কিন্তু বাংলাদেশে ব্যর্থ হয়েছেন বা হচ্ছেন। একটি উদাহরণ হলো বিনিয়োগ সম্মেলন। এ দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে চমৎকারভাবে উপস্থাপনা বাহবা দাবি করে, কিন্তু প্রক্রিয়া ঠিক না করে শুধু ভালো উপস্থাপনা বিনিয়োগ পেতে যে যথেষ্ট নয়, তা আবারো প্রমাণিত।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার”
রাঙ্গামাটির বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইউপিডিএফের আস্তানা থেকে একে-৪৭ ও রাইফেলসহ অন্যান্য অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, অভিযান এখনো চলমান। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।