০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

২০২৪ এ বিজয়ী প্রতিচ্ছবি ‘সমন্বয়ক’ ২০২৫ সালে ‘সমন্বয়ক’ শব্দটি ঘৃণার প্রতীক কেন ?

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে ‘সমন্বয়ক’ ছিল একটি বিজয়ের প্রতীক। যাঁরা এই ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁরা তখন ছিলেন ক্ষমতাসীন পক্ষের সংগঠক, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রভাবশালী এবং নীতিনির্ধারক ক্ষমতার অন্যতম চালিকা শক্তি। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে, ২০২৫ সালে এসে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন চিত্র। সেই সময়ের বহু ‘সমন্বয়ক’ পদত্যাগ করেছেন এবং একরকম বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছেন, এখন ‘সমন্বয়ক’ শব্দটি সমাজে ঘৃণিত একটি শব্দে পরিণত হয়েছে। কেন এই পরিবর্তন? কী ঘটেছিল এই এক বছরে? কেন বিজয়ের প্রতীক হঠাৎ ঘৃণার প্রতীক হয়ে উঠল?

২০২৪ সালের সমন্বয়ক‘: এক বিজয়ী শক্তির প্রতিচ্ছবি

২০২৪ সালের নির্বাচনী ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে ‘সমন্বয়ক’ ছিল মূল নিয়ন্ত্রক শক্তি। তারা শুধু দলের প্রচার নয়, নীতিনির্ধারণ, তদারকি, নিয়োগ-বণ্টন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তৃণমূলের সংগঠনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। ‘সমন্বয়ক’ পদটি ছিল এক প্রকার অলিখিত ক্ষমতার সিংহাসন। স্থানীয় প্রশাসন, উন্নয়ন প্রকল্প, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা যুব সংগঠনে নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রে ছিলেন এই ‘সমন্বয়কেরা’। তাই ২০২৪ সালের রাজনীতিতে সমন্বয়কেরা ছিলেন বিজয়ী শক্তি।

২০২৫ সালের অবনমন: পদত্যাগ ও সমন্বয়ক’ শব্দকে ঘৃণার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া

২০২৫ সালে এসে হঠাৎ করে দেখা যায়, বহু সমন্বয়ক একযোগে পদত্যাগ করছেন। তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট—‘সমন্বয়ক’ এখন আর গৌরব নয়, বরং ঘৃণার প্রতীক। কেউ কেউ বলছেন, এই শব্দটি এখন “গালি” হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট—

জনবিচ্ছিন্নতা ও কর্তৃত্ববাদী আচরণ

২০২৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বহু সমন্বয়ক দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মী ও জনগণের সঙ্গে আচরণে উগ্রতা, চাঁদাবাজি, হুমকি, পক্ষপাতিত্বমূলক নিয়োগ ইত্যাদি ঘটনায় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ জমতে থাকে। এই সব অভিযোগ জনমানসে সমন্বয়ক শব্দটির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অপব্যবহার

সমন্বয়কেরা রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে বিচারহীনতা, নির্যাতন ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ দেখা যায়। এতে জনগণের আস্থা ভেঙে পড়ে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দলীয় বিভাজন

ক্ষমতাসীন দল বা গোষ্ঠীর অভ্যন্তরে কোন্দল চরমে পৌঁছায়। একে অন্যকে উৎখাত করতে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়কে ব্যবহার করা হয়। ফলস্বরূপ, কেউ কেউ সমন্বয়ক শব্দটিকে নেতিবাচক প্রচারের হাতিয়ার বানায়।

গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বিদ্রূপ

২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সমন্বয়ক’ শব্দ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র, ট্রল, বিদ্রূপ ও ঘৃণাভাষ্য ছড়াতে থাকে। ‘সমন্বয়ক মানেই দুর্নীতির কারিগর’, ‘সমন্বয়ক মানেই তদবিরের লোক’—এই রকম বক্তব্য জনমনে রোপিত হয়। ফলে সমন্বয়ক শব্দটি মানহানিকর ও ঘৃণিত প্রতিপন্ন হয়।

বিজয়ের পর ঘৃণা: অতীত ইতিহাসের সঙ্গে তুলনা

এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ইতিহাসে দেখা যায়, যখন কোনো শক্তি বিজয়ী হয় এবং পরে তাদের জনবিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়, তখন তাদের প্রতীক বা পরিচিতি ঘৃণায় পরিণত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয় ছিল সম্মানজনক ও গর্বের, কারণ তাঁরা বিজয়ী ছিলেন এবং জনসমর্থন তাঁদের পক্ষে ছিল। অন্যদিকে, ‘রাজাকার’ ও ‘আলবদর’ পরাজিত শক্তি হিসেবে আজও ঘৃণিত।

কিন্তু ২০২৪ সালের সমন্বয়কেরা তো ছিল বিজয়ী! তাহলে কেন তারা ঘৃণার প্রতীক হলো?

কারণ, বিজয়ের স্থায়িত্ব নির্ভর করে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক, ন্যায়নীতি এবং নৈতিকতার ওপর। যদি কোনো বিজয়ী শক্তি ক্ষমতা ব্যবহার করে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে, তাহলে তারা খুব দ্রুত পরাজিত শক্তিতে পরিণত হয়—নৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে ও ঐতিহাসিকভাবে।

 স্বেচ্ছায় পদত্যাগ?

অনেক সমন্বয়কই বলছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্মান, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক বা সাংগঠনিক নিরাপত্তার কথা ভেবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়টি তাঁদের জীবনের অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

গৌরব থেকে ঘৃণায়

‘সমন্বয়ক’ শব্দটি মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কিভাবে গৌরব থেকে ঘৃণায় পরিণত হলো, তা বোঝা যায় সমাজবিজ্ঞান ও রাজনৈতিক বাস্তবতার আলোকে। শব্দের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণ করে জনগণের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি। জনগণের কাছে যারা জবাবদিহিতাহীন, আত্মসর্বস্ব এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী হিসেবে প্রতিভাত হয়, তাদের পরিচয় যত শক্তিশালী হোক না কেন, সেটিই ঘৃণার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

২০২৪ সালের সমন্বয়কেরা যদি সত্যিই জনকল্যাণে কাজ করতেন, তবে হয়তো ২০২৫ সালে ‘সমন্বয়ক’ শব্দটি এখনও শ্রদ্ধার সুরেই উচ্চারিত হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তাই আজ ‘সমন্বয়ক’ মানেই ক্ষমতার দম্ভ, জনবিচ্ছিন্নতা আর সমাজের ঘৃণিত  প্রতিচ্ছবি।

২০২৪ এ বিজয়ী প্রতিচ্ছবি ‘সমন্বয়ক’ ২০২৫ সালে ‘সমন্বয়ক’ শব্দটি ঘৃণার প্রতীক কেন ?

০৬:০০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে ‘সমন্বয়ক’ ছিল একটি বিজয়ের প্রতীক। যাঁরা এই ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁরা তখন ছিলেন ক্ষমতাসীন পক্ষের সংগঠক, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রভাবশালী এবং নীতিনির্ধারক ক্ষমতার অন্যতম চালিকা শক্তি। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে, ২০২৫ সালে এসে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন চিত্র। সেই সময়ের বহু ‘সমন্বয়ক’ পদত্যাগ করেছেন এবং একরকম বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছেন, এখন ‘সমন্বয়ক’ শব্দটি সমাজে ঘৃণিত একটি শব্দে পরিণত হয়েছে। কেন এই পরিবর্তন? কী ঘটেছিল এই এক বছরে? কেন বিজয়ের প্রতীক হঠাৎ ঘৃণার প্রতীক হয়ে উঠল?

২০২৪ সালের সমন্বয়ক‘: এক বিজয়ী শক্তির প্রতিচ্ছবি

২০২৪ সালের নির্বাচনী ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে ‘সমন্বয়ক’ ছিল মূল নিয়ন্ত্রক শক্তি। তারা শুধু দলের প্রচার নয়, নীতিনির্ধারণ, তদারকি, নিয়োগ-বণ্টন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও তৃণমূলের সংগঠনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। ‘সমন্বয়ক’ পদটি ছিল এক প্রকার অলিখিত ক্ষমতার সিংহাসন। স্থানীয় প্রশাসন, উন্নয়ন প্রকল্প, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা যুব সংগঠনে নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রে ছিলেন এই ‘সমন্বয়কেরা’। তাই ২০২৪ সালের রাজনীতিতে সমন্বয়কেরা ছিলেন বিজয়ী শক্তি।

২০২৫ সালের অবনমন: পদত্যাগ ও সমন্বয়ক’ শব্দকে ঘৃণার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া

২০২৫ সালে এসে হঠাৎ করে দেখা যায়, বহু সমন্বয়ক একযোগে পদত্যাগ করছেন। তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট—‘সমন্বয়ক’ এখন আর গৌরব নয়, বরং ঘৃণার প্রতীক। কেউ কেউ বলছেন, এই শব্দটি এখন “গালি” হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট—

জনবিচ্ছিন্নতা ও কর্তৃত্ববাদী আচরণ

২০২৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বহু সমন্বয়ক দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মী ও জনগণের সঙ্গে আচরণে উগ্রতা, চাঁদাবাজি, হুমকি, পক্ষপাতিত্বমূলক নিয়োগ ইত্যাদি ঘটনায় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ জমতে থাকে। এই সব অভিযোগ জনমানসে সমন্বয়ক শব্দটির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অপব্যবহার

সমন্বয়কেরা রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে বিচারহীনতা, নির্যাতন ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ দেখা যায়। এতে জনগণের আস্থা ভেঙে পড়ে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দলীয় বিভাজন

ক্ষমতাসীন দল বা গোষ্ঠীর অভ্যন্তরে কোন্দল চরমে পৌঁছায়। একে অন্যকে উৎখাত করতে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়কে ব্যবহার করা হয়। ফলস্বরূপ, কেউ কেউ সমন্বয়ক শব্দটিকে নেতিবাচক প্রচারের হাতিয়ার বানায়।

গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বিদ্রূপ

২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সমন্বয়ক’ শব্দ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র, ট্রল, বিদ্রূপ ও ঘৃণাভাষ্য ছড়াতে থাকে। ‘সমন্বয়ক মানেই দুর্নীতির কারিগর’, ‘সমন্বয়ক মানেই তদবিরের লোক’—এই রকম বক্তব্য জনমনে রোপিত হয়। ফলে সমন্বয়ক শব্দটি মানহানিকর ও ঘৃণিত প্রতিপন্ন হয়।

বিজয়ের পর ঘৃণা: অতীত ইতিহাসের সঙ্গে তুলনা

এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ইতিহাসে দেখা যায়, যখন কোনো শক্তি বিজয়ী হয় এবং পরে তাদের জনবিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়, তখন তাদের প্রতীক বা পরিচিতি ঘৃণায় পরিণত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয় ছিল সম্মানজনক ও গর্বের, কারণ তাঁরা বিজয়ী ছিলেন এবং জনসমর্থন তাঁদের পক্ষে ছিল। অন্যদিকে, ‘রাজাকার’ ও ‘আলবদর’ পরাজিত শক্তি হিসেবে আজও ঘৃণিত।

কিন্তু ২০২৪ সালের সমন্বয়কেরা তো ছিল বিজয়ী! তাহলে কেন তারা ঘৃণার প্রতীক হলো?

কারণ, বিজয়ের স্থায়িত্ব নির্ভর করে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক, ন্যায়নীতি এবং নৈতিকতার ওপর। যদি কোনো বিজয়ী শক্তি ক্ষমতা ব্যবহার করে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে, তাহলে তারা খুব দ্রুত পরাজিত শক্তিতে পরিণত হয়—নৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে ও ঐতিহাসিকভাবে।

 স্বেচ্ছায় পদত্যাগ?

অনেক সমন্বয়কই বলছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্মান, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক বা সাংগঠনিক নিরাপত্তার কথা ভেবে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়টি তাঁদের জীবনের অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

গৌরব থেকে ঘৃণায়

‘সমন্বয়ক’ শব্দটি মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কিভাবে গৌরব থেকে ঘৃণায় পরিণত হলো, তা বোঝা যায় সমাজবিজ্ঞান ও রাজনৈতিক বাস্তবতার আলোকে। শব্দের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণ করে জনগণের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি। জনগণের কাছে যারা জবাবদিহিতাহীন, আত্মসর্বস্ব এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী হিসেবে প্রতিভাত হয়, তাদের পরিচয় যত শক্তিশালী হোক না কেন, সেটিই ঘৃণার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

২০২৪ সালের সমন্বয়কেরা যদি সত্যিই জনকল্যাণে কাজ করতেন, তবে হয়তো ২০২৫ সালে ‘সমন্বয়ক’ শব্দটি এখনও শ্রদ্ধার সুরেই উচ্চারিত হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তাই আজ ‘সমন্বয়ক’ মানেই ক্ষমতার দম্ভ, জনবিচ্ছিন্নতা আর সমাজের ঘৃণিত  প্রতিচ্ছবি।