০১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন শান্তি চুক্তির আরও কাছাকাছি, তবু ডনবাসে রয়ে গেল জটিলতা জেজু এয়ার দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তিতে সত্য উন্মোচনের অঙ্গীকার, নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা রাষ্ট্রপতির ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর বৈঠক আজ, গাজা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ মিয়ানমারে ব্যালটের নীরবতা, ভোট হলেও আস্থা নেই থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক ধীরগতির ছায়ায় বিদেশমুখী ক্রুঙ্গসরি ব্যাংক আলোর দিকে হেঁটে যাওয়া, বন্ধুত্বের ছায়ায় ফাটল নিউইয়র্কে টারটুফের নতুন পাঠ, মলিয়েরের ব্যঙ্গ আজকের রাজনীতির আয়নায় নীরব পর্দায় অর্গানের জাদু: শতবর্ষ পেরিয়েও কেন সিনেমা হলে ফিরে আসছে জীবন্ত সুর স্বাধীনতার সাহস থেকে ভবিষ্যতের প্রেম: নতুন বইয়ে দাসত্ব, ধনকুবের আর জলবায়ুর গল্প শব্দের ঘর কি ভেঙে পড়ছে অভিধান টিকে থাকবে তো

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৬২)

ষোলো শতাব্দীতে বু-চেন-ইন্ লিখিত ‘বাঁদর’ নামক বিখ্যাত কৌতুকাবহ আখ্যায়িকায় তিনি এক ঐন্দ্রজালিক শক্তিসম্পন্ন সাধু পর্যটকরূপে অঙ্কিত হয়েছেন। 

তাঁর জাপানী শ্রমণ শিষ্যরাই জাপানে যোগাচার দর্শনের প্রবর্তন করেন।

সম্রাট থাইচুও তাঁকে একটি মঠের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করেছিলেন। এখানে তিনি প্রত্যহ নিয়মিতভাবে চার ঘণ্টা অধ্যাপনা করতেন। তাছাড়া মঠের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করা আর তাঁর নিজের অনুবাদ কাজ তো ছিলই। সাম্রাজ্যের বহু রাজন্য, মন্ত্রী ও অন্যান্য বিশিষ্ট লোক তাঁর বক্তৃতা ও উপদেশ শুনতে আসতেন।

৬৫৪ খৃস্টাব্দে মধ্যভারতের মহাবোধি সঙ্ঘারাম, সম্ভবতঃ নালন্দার জনকয়েক ভিক্ষু সঙ্ঘারামের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁর কাছে এসেছিলেন। হিউ এনচাঙ ‘এই সম্মানের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আর অনুরোধ করেন যে তিনি সিন্ধুনদী পার হওয়ার সময়ে যে অনুলিপিগুলি নদীতে নষ্ট হয়েছিল সে অনুলিপি আবার লিখে যেন তাঁকে পাঠানো হয়।

পর্যটনকালে পর্বত অতিক্রম করবার সময়ে তাঁর একটি ব্যাধি হয়। এ ব্যাধি তাঁর কখনো সারে নি, যদিও সম্রাটের প্রেরিত চিকিৎসকদের ঔষধে কিছু কমেছিল।
৬৬৪ খৃস্টাব্দের পৌষ মাসে একদিন মৃত্যু আসন্ন জেনে চক্ষু মুদ্রিত করে তিনি নিশ্চলভাবে শয়ন করলেন। কিছু পরে মৈত্রেয় দেবের নামে একটি স্তব আবৃত্তি করলেন। এর পর থেকে তাঁর অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হতে হতে ত্রয়োদশীর দিন তাঁর মৃত্যু হয়।

হিউএনচাঙ (ও তাঁর ভ্রমণ কাহিনী) চীন দেশে পৌরাণিক উপকথার বস্তু হয়ে গিয়েছেন। ষোলো শতাব্দীতে বু-চেন-ইন্ লিখিত ‘বাঁদর’ নামক বিখ্যাত কৌতুকাবহ আখ্যায়িকায় তিনি এক ঐন্দ্রজালিক শক্তিসম্পন্ন সাধু পর্যটকরূপে অঙ্কিত হয়েছেন।

চীন দেশের অনেক বৌদ্ধ মন্দিরে তাঁর মূর্তি রাখা আছে আর তিনি অহংরূপে পূজিত হন। অরেলস্টাইন মধ্য এশিয়ায় পর্যটন কালে হিউ এনচাঙের মূর্তি সম্বলিত এক প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির দেখেছিলেন।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন শান্তি চুক্তির আরও কাছাকাছি, তবু ডনবাসে রয়ে গেল জটিলতা

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৬২)

০৯:০০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

ষোলো শতাব্দীতে বু-চেন-ইন্ লিখিত ‘বাঁদর’ নামক বিখ্যাত কৌতুকাবহ আখ্যায়িকায় তিনি এক ঐন্দ্রজালিক শক্তিসম্পন্ন সাধু পর্যটকরূপে অঙ্কিত হয়েছেন। 

তাঁর জাপানী শ্রমণ শিষ্যরাই জাপানে যোগাচার দর্শনের প্রবর্তন করেন।

সম্রাট থাইচুও তাঁকে একটি মঠের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করেছিলেন। এখানে তিনি প্রত্যহ নিয়মিতভাবে চার ঘণ্টা অধ্যাপনা করতেন। তাছাড়া মঠের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করা আর তাঁর নিজের অনুবাদ কাজ তো ছিলই। সাম্রাজ্যের বহু রাজন্য, মন্ত্রী ও অন্যান্য বিশিষ্ট লোক তাঁর বক্তৃতা ও উপদেশ শুনতে আসতেন।

৬৫৪ খৃস্টাব্দে মধ্যভারতের মহাবোধি সঙ্ঘারাম, সম্ভবতঃ নালন্দার জনকয়েক ভিক্ষু সঙ্ঘারামের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁর কাছে এসেছিলেন। হিউ এনচাঙ ‘এই সম্মানের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আর অনুরোধ করেন যে তিনি সিন্ধুনদী পার হওয়ার সময়ে যে অনুলিপিগুলি নদীতে নষ্ট হয়েছিল সে অনুলিপি আবার লিখে যেন তাঁকে পাঠানো হয়।

পর্যটনকালে পর্বত অতিক্রম করবার সময়ে তাঁর একটি ব্যাধি হয়। এ ব্যাধি তাঁর কখনো সারে নি, যদিও সম্রাটের প্রেরিত চিকিৎসকদের ঔষধে কিছু কমেছিল।
৬৬৪ খৃস্টাব্দের পৌষ মাসে একদিন মৃত্যু আসন্ন জেনে চক্ষু মুদ্রিত করে তিনি নিশ্চলভাবে শয়ন করলেন। কিছু পরে মৈত্রেয় দেবের নামে একটি স্তব আবৃত্তি করলেন। এর পর থেকে তাঁর অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হতে হতে ত্রয়োদশীর দিন তাঁর মৃত্যু হয়।

হিউএনচাঙ (ও তাঁর ভ্রমণ কাহিনী) চীন দেশে পৌরাণিক উপকথার বস্তু হয়ে গিয়েছেন। ষোলো শতাব্দীতে বু-চেন-ইন্ লিখিত ‘বাঁদর’ নামক বিখ্যাত কৌতুকাবহ আখ্যায়িকায় তিনি এক ঐন্দ্রজালিক শক্তিসম্পন্ন সাধু পর্যটকরূপে অঙ্কিত হয়েছেন।

চীন দেশের অনেক বৌদ্ধ মন্দিরে তাঁর মূর্তি রাখা আছে আর তিনি অহংরূপে পূজিত হন। অরেলস্টাইন মধ্য এশিয়ায় পর্যটন কালে হিউ এনচাঙের মূর্তি সম্বলিত এক প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির দেখেছিলেন।

(চলবে)