০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২ স্নেক সাও-স্কেলড ভিপার: এক ভয়ঙ্কর সাপের জীবন এবং বৈশিষ্ট্য টেইলর শেরিডান কীভাবে টেলিভিশনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিট–কারখানায় পরিণত হলেন মোবাইলে ক্রোমে এআই মোড আরও সহজ করল গুগল রোলিং স্টোন স্পেশাল ও ডিজে স্নেকের গানে একদিনেই তিন ফ্রন্ট খুলল স্ট্রে কিডস হরর-কমেডি ‘মেকিং আ ব্রাইডসমেইড’ শেষ, এখন স্ট্রিমিং বিক্রির পথে কেক বানানোর কৌশল: ঘরে বসেই নিখুঁত বেকিংয়ের গাইড লস অ্যাঞ্জেলেসে গ্র্যান্ডে–এরিভোর চমক, ক্লাসিক ডুয়েটেই মাত করল হলিউড মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (অন্তিম পর্ব-৩৬৫) বলিউডের ‘হক’ মুক্তি, আলোচনায় বাস্তব মামলার অনুপ্রেরণা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৬)

অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর বাংলা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- আকাশবাণী। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ধ্বনি কেন্দ্র হয়ে যায় রেডিয়ো পাকিস্তানের একটি কেন্দ্র।

ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র

এই সুন্দর নামটি ঢাকা বেতারের। এটিও উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর যাত্রা শুরু। এর ৩২ বছর পর ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।

ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব মুড়াপাড়ার জমিদার রায় বাহাদুর কেশবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। পূর্ববঙ্গে শ্রেষ্ঠ তবলিয়া হিসেবে ছিলেন খ্যাত, তাঁর বাড়ি ছিল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের কেন্দ্র।

লায়লা আর্জুমান্দ বানু

অজয় সিংহরায় লিখেছেন- “ঢাকার উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রচার, প্রসার ও প্রভাব লক্ষ করে তিনি নিজ উদ্যোগে সিমলাতে তখনকার ইংরেজ কনট্রোলার অব ব্রডকাস্টিং ইন ইন্ডিয়া মিস্টার লায়োনেল ফিন্ডেন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফিল্ডেন প্রথমে রাজি না হলেও কেশবচন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘকাল আলোচনার পর কেশবচন্দ্রের যুক্তির সপক্ষে মত দেন।”

বর্তমান শেখ বোরহানউদ্দিন গ্র্যাজুয়েট কলেজে বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ঢাকার সঙ্গীতজ্ঞদের গান প্রচার একটি সংহত রূপ পেয়েছিল ধ্বনি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায়। কেন্দ্রের উদ্বোধনী দিনে গান পরিবেশন করেন লায়লা আর্জুমান্দ বানু ও অঞ্জলি রায়।

শৈলদেবী

তৎকালীন অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর অধীনে ছিল ধ্বনি কেন্দ্র। অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর বাংলা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- আকাশবাণী। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ধ্বনি কেন্দ্র হয়ে যায় রেডিয়ো পাকিস্তানের একটি কেন্দ্র। ১৯৭১-এর পর বাংলাদেশে বেতারের ঢাকা কেন্দ্র।

১৯৪০ সালে কবি নজরুল ধ্বনি কেন্দ্রের জন্য গীতি আলেখ্য পূর্বাণী রচনা করেন। এর ধারা বর্ণনা করে ছিলেন রূপন কুমারী। অংশ নিয়েছিলেন ঐ সময়ে খ্যাতনামা দুজন কণ্ঠশিল্পী সুপ্রভা সরকার ও শৈলদেবী। পূর্বাণীর একটি গান ‘আমি পূরব দেশের পুরনারী’ রেকর্ড আকারে বেরিয়েছিল যা সুপারহিট হয়। গেয়েছিলেন শৈলদেবী।

সুপ্রভা সরকার 

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিজনিতে ফিরছেন বিটিএসের জিমিন ও জাংকুক, আসছে ‘আর ইউ শিওর?!’ সিজন–২

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৬)

০৭:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর বাংলা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- আকাশবাণী। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ধ্বনি কেন্দ্র হয়ে যায় রেডিয়ো পাকিস্তানের একটি কেন্দ্র।

ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র

এই সুন্দর নামটি ঢাকা বেতারের। এটিও উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর যাত্রা শুরু। এর ৩২ বছর পর ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।

ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব মুড়াপাড়ার জমিদার রায় বাহাদুর কেশবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। পূর্ববঙ্গে শ্রেষ্ঠ তবলিয়া হিসেবে ছিলেন খ্যাত, তাঁর বাড়ি ছিল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের কেন্দ্র।

লায়লা আর্জুমান্দ বানু

অজয় সিংহরায় লিখেছেন- “ঢাকার উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রচার, প্রসার ও প্রভাব লক্ষ করে তিনি নিজ উদ্যোগে সিমলাতে তখনকার ইংরেজ কনট্রোলার অব ব্রডকাস্টিং ইন ইন্ডিয়া মিস্টার লায়োনেল ফিন্ডেন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফিল্ডেন প্রথমে রাজি না হলেও কেশবচন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘকাল আলোচনার পর কেশবচন্দ্রের যুক্তির সপক্ষে মত দেন।”

বর্তমান শেখ বোরহানউদ্দিন গ্র্যাজুয়েট কলেজে বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ঢাকার সঙ্গীতজ্ঞদের গান প্রচার একটি সংহত রূপ পেয়েছিল ধ্বনি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায়। কেন্দ্রের উদ্বোধনী দিনে গান পরিবেশন করেন লায়লা আর্জুমান্দ বানু ও অঞ্জলি রায়।

শৈলদেবী

তৎকালীন অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর অধীনে ছিল ধ্বনি কেন্দ্র। অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর বাংলা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- আকাশবাণী। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ধ্বনি কেন্দ্র হয়ে যায় রেডিয়ো পাকিস্তানের একটি কেন্দ্র। ১৯৭১-এর পর বাংলাদেশে বেতারের ঢাকা কেন্দ্র।

১৯৪০ সালে কবি নজরুল ধ্বনি কেন্দ্রের জন্য গীতি আলেখ্য পূর্বাণী রচনা করেন। এর ধারা বর্ণনা করে ছিলেন রূপন কুমারী। অংশ নিয়েছিলেন ঐ সময়ে খ্যাতনামা দুজন কণ্ঠশিল্পী সুপ্রভা সরকার ও শৈলদেবী। পূর্বাণীর একটি গান ‘আমি পূরব দেশের পুরনারী’ রেকর্ড আকারে বেরিয়েছিল যা সুপারহিট হয়। গেয়েছিলেন শৈলদেবী।

সুপ্রভা সরকার 

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৫৫)