জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, দলের ইতিহাস প্রমাণ করে—যারা মূলধারা থেকে সরে গিয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছে, তারা শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জিএম কাদেরের অনুসারীরা।
তার ভাষ্যে, চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এখন ঐক্যবদ্ধ। জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে। কোনো ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত না হয়ে দলীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য
শনিবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে তীব্র রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের দূরে সরিয়ে দেওয়ায় রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসন ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে দেশের ঐক্য, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়েছে।
তরুণদের প্রতি আহ্বান
শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, জাতীয় পার্টি গঠনমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি তরুণ, যুবক ও ছাত্রদের দলীয় পতাকার নিচে এসে দেশ পরিচালনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তার দাবি, সরকার দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ দূর অন্বেষণ হয়ে গেছে। দেশ বাঁচাতে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাচনকালীন সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের সক্ষমতা ও সদিচ্ছা প্রদর্শন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শেরীফা কাদের, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিললুর রহমান খলিল বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন মৃধা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোড়ল জিয়াউর রহমান।
তরুণ পার্টির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক তালুকদার, মো. মইনুদ্দিন মন্ডল খোকা, মো. শেখ কামাল উদ্দিন, মো. বোরহান, সুলতান আহমেদ, শ্রী শ্রী উৎপল সাহা, নূর মোহাম্মদ, মো. কাউসার আহমেদ, মাহবুবুল আলম তালুকদার, জহিরুল ইসলাম, মো. বদিউর রহমান, মনিরুজ্জামান হিরা, জাকির হোসেন রাজু, শাহীন হোসেন বুলেট, শেখ মোস্তফা, মো. সানোয়ার, মো. সোহেব মুন্সি, মো. বুলবুল খান, মো. আলমগীর হোসেন, মো. বিপ্লব আলম, মো. বেলাল হোসেন, আ.স.ম হাসান খান, মো. রাজ্জাক চৌধুরী, মো. মিরাজ হোসেন, আব্দুল হালিম হাওলাদার, মো. আমির হোসেন, আজিজুর রহমান শোভন প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, এডভোকেট লিয়াকত আলী খান, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু, চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ হান্নান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, শেখ মো. সরোয়ার হোসেন, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. জুবায়ের আহমেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ টুলু, মো. সামছুল হক, মো. ফারুক সুজন, জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

























