আরবী গ্রন্থ অনুবাদের ফলে ইউরোপে ভারতীয় প্রভাব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
আমরা জানি পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপে ছাপাখানার প্রচলন হয় এবং অল্প মূল্যে এইসব গ্রন্থের অনুবাদ ও নূতন গ্রন্থ প্রণয়ন ইত্যাদির ব্যাপক প্রসার লাভ হেতু জান বিজ্ঞান চর্চা দ্রুত এগিয়ে চলতে থাকে। গ্রীক জ্ঞান বিজ্ঞানের গ্রন্থ এবং আরবীয় জ্ঞান বিজ্ঞানের গ্রন্থ অনুবাদ হেতু ইউরোপীয় দেশ সমূহ নানা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে থাকে এবং তারপর নিজেরাই নূতন নূতন তত্ত্ব আবিষ্কার করতে থাকে।
নানা গ্রন্থ অনুবাদের মধ্যে বীজগণিতও অনূদিত হতে থাকে অবশ্য বীজগণিতের অনুবাদ আগেও কিছু কিছু হয়েছিল। মধ্যযুগে আলখারেজিমির আলজাত্রার অন্ততঃ তিনটি ল্যাটিনে অনুবাদ করা হয়। একটি করেন ঘেরার্ডো এবং দ্বিতীয়টি করেন রেকর্ডে।
যোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে ডায়োফান্টাসের একটি গ্রন্থ জাইলাণ্ডার অনুবাদ করেন। সুতরাং স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে আরবী ও গ্রীক গ্রন্থ অনুবাদের ফলে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রভাব ইউরোপ সহজেই পড়তে থাকে। অনেক পণ্ডিত মনে করেন আরবী গ্রন্থ অনুবাদের ফলে ইউরোপে ভারতীয় প্রভাব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
ইউরোপে যাঁরা বীজগণিতকে আধুনিক পর্যায়ে নিয়ে যান তাঁদের মধ্যে গিরেলামো কার্দানো, তার্তাগালিয়া প্রমুখের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। অবশ্য লিওনার্দো অব পীসা’র নাম না করলে এ ব্যাপারে কিছুটা অন্যায় করা হবে। তাছাড়া লুকাশ ডি বুরগো, ফেরারী, মার্সেম্যান, ফের্মা প্রমুখেরা বীজগণিতের উন্নতি সাধনে উল্লেখ-যোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
১৫৫৯ খ্রীষ্টাব্দে লিখিত একটি সমীকরণে দেখা যায় একটি গ্রীক অক্ষর আছে এটিকে ডায়োফাল্টাস । এবং আমরা এটিকে রূপে লিখি। এটি অবশ্য অজ্ঞাত ও নির্ণেয় সংখ্যা। ◇ এটি ডায়োফাল্টাসের সময় এবং বর্তমানে x ² লেখা হয়। বাঁদিকের তৃতীয় বন্ধনী থাকায় একটি সমান চিহ্ন “=” ধরা হয়। তাছাড়া P অক্ষরটি চারবার আছে। এটি ল্যাটিনের Plus এর আদ্যাক্ষর।
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 



















