০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কেন পেঁপে সবার জন্য নিরাপদ নয়

পেঁপে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হজমে সহায়ক এনজাইমে ভরপুর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই কারণে একে “সুপারফ্রুট” বলা হয়। তবে সব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও পেঁপে সবার জন্য উপযুক্ত নয়। বিশেষ কিছু মানুষের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে—বিশেষ করে কাঁচা বা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য ঝুঁকি

কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্স ও পাপাইন থাকে, যা জরায়ু সংকোচন ঘটাতে পারে এবং জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী নারীদের পেঁপে পুরোপুরি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।

হৃদযন্ত্রের অনিয়ম

পেঁপেতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে সামান্য সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর নয়, তবে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত খেলে সমস্যা বাড়তে পারে।

ল্যাটেক্স অ্যালার্জি

পেঁপের কিছু প্রোটিন ল্যাটেক্স অ্যালার্জিতে ভোগা মানুষের শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এতে হাঁচি, চুলকানি থেকে শুরু করে গুরুতর শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকলে পেঁপে পুরোপুরি এড়ানো উচিত।

হাইপোথাইরয়ডিজম

পেঁপেতে গোইট্রোজেন থাকে, যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। এতে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, ঠান্ডা সংবেদনশীলতা ও বিপাকীয় গতি ধীর হওয়ার মতো লক্ষণ বাড়তে পারে। হাইপোথাইরয়ডিজমে আক্রান্তদের নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি

পেঁপে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। শরীরে ভিটামিন সি অক্সালেটে রূপান্তরিত হয়, যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। যাদের আগে কিডনিতে পাথর হয়েছে, তাদের পেঁপে সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

শেষকথা 

যদিও পেঁপে পুষ্টিগুণে ভরপুর, এটি সবার জন্য নিরাপদ নয়। গর্ভবতী নারী, হৃদরোগী, ল্যাটেক্স অ্যালার্জি আক্রান্ত, হাইপোথাইরয়ডিজম রোগী বা কিডনিতে পাথরের ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সঠিক পরিমাণে খাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই পেঁপের উপকার ভোগ করার সঠিক উপায়। মেটা বর্ণনা: পেঁপে পুষ্টিকর হলেও সবার জন্য নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থা, অ্যালার্জি, থাইরয়েড সমস্যা বা কিডনি পাথরে কারা পেঁপে এড়াবেন জেনে নিন।

কেন পেঁপে সবার জন্য নিরাপদ নয়

০৬:৩৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

পেঁপে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হজমে সহায়ক এনজাইমে ভরপুর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই কারণে একে “সুপারফ্রুট” বলা হয়। তবে সব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও পেঁপে সবার জন্য উপযুক্ত নয়। বিশেষ কিছু মানুষের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে—বিশেষ করে কাঁচা বা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য ঝুঁকি

কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্স ও পাপাইন থাকে, যা জরায়ু সংকোচন ঘটাতে পারে এবং জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী নারীদের পেঁপে পুরোপুরি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।

হৃদযন্ত্রের অনিয়ম

পেঁপেতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে সামান্য সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর নয়, তবে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত খেলে সমস্যা বাড়তে পারে।

ল্যাটেক্স অ্যালার্জি

পেঁপের কিছু প্রোটিন ল্যাটেক্স অ্যালার্জিতে ভোগা মানুষের শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এতে হাঁচি, চুলকানি থেকে শুরু করে গুরুতর শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকলে পেঁপে পুরোপুরি এড়ানো উচিত।

হাইপোথাইরয়ডিজম

পেঁপেতে গোইট্রোজেন থাকে, যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। এতে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, ঠান্ডা সংবেদনশীলতা ও বিপাকীয় গতি ধীর হওয়ার মতো লক্ষণ বাড়তে পারে। হাইপোথাইরয়ডিজমে আক্রান্তদের নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি

পেঁপে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। শরীরে ভিটামিন সি অক্সালেটে রূপান্তরিত হয়, যা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। যাদের আগে কিডনিতে পাথর হয়েছে, তাদের পেঁপে সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

শেষকথা 

যদিও পেঁপে পুষ্টিগুণে ভরপুর, এটি সবার জন্য নিরাপদ নয়। গর্ভবতী নারী, হৃদরোগী, ল্যাটেক্স অ্যালার্জি আক্রান্ত, হাইপোথাইরয়ডিজম রোগী বা কিডনিতে পাথরের ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সঠিক পরিমাণে খাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই পেঁপের উপকার ভোগ করার সঠিক উপায়। মেটা বর্ণনা: পেঁপে পুষ্টিকর হলেও সবার জন্য নিরাপদ নয়। গর্ভাবস্থা, অ্যালার্জি, থাইরয়েড সমস্যা বা কিডনি পাথরে কারা পেঁপে এড়াবেন জেনে নিন।