১২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
কম্পিউটিং দুনিয়ায় নতুন বিপ্লবের দুয়ারে বিশ্ব: সামনে আসছে কোয়ান্টাম যুগ তিউনিসিয়ায় কারাগারে বর্বর নির্যাতন! বিরোধী নেতার পরিবারে চরম ক্ষোভ প্রো- ও অ্যান্টি-লকডাউন মিছিল গাজীপুরে পেট্রল ঢেলে বরিশালের উজিরপুরে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী টাঙ্গাইল ও ফেনীতে দুই বাসে আগুন ফরিদপুরে রাস্তায় গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ বরগুনায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ যাত্রী কমায় ফাঁকা দূরপাল্লার বাস—নিষিদ্ধ দলের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাব পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ: ট্রাকে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ

পুতিনের খেলা: পশ্চিমা ঐক্য ভাঙার কৌশল

আলাস্কার পর ক্রেমলিনে বার্তা
১৬ আগস্ট, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার শীর্ষ নেতাদের ডাকেন ক্রেমলিনের ঐতিহাসিক ‘অর্ডার অব সেন্ট ক্যাথারিন’ হলে। একসময় রুশ সাম্রাজ্যের গৌরব প্রদর্শনের জন্য নির্মিত এই হলে তিনি আলাস্কা সফরের অর্জন তুলে ধরেন। আলাস্কা একসময় রাশিয়ার উপনিবেশ ছিল। তিনি ট্রাম্পের সততা ও যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “এটি আমাদের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে।”

তিন বছর আগে একই হলে পুতিন নিজের উপদেষ্টাদের টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে একে একে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিতে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটিই ছিল ইউক্রেন আক্রমণের সূচনা। কিন্তু এবার তার বার্তা ভিন্ন—যুদ্ধ হয়তো শেষের দিকে, তবে রাশিয়ার শর্তেই। এই বার্তা একদিকে যুদ্ধের ক্লান্তি প্রকাশ করে, অন্যদিকে পুতিনের আত্মবিশ্বাস দেখায়—তিনি মনে করছেন যুদ্ধক্ষেত্রে বা আলোচনার টেবিলে জয় আসবেই।

ট্রাম্পের প্রতি নির্ভরতা
পুতিন শান্ত স্বরে বলেন, “আমরা আমেরিকার প্রশাসনের অবস্থানকে সম্মান করি, যারা চায় যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। আমরাও তাই চাই।” ট্রাম্পই একমাত্র যিনি এই বক্তব্য সরলভাবে গ্রহণ করছেন। মাসের পর মাস তিনি পুতিনের প্রতি অস্বাভাবিক নির্ভরশীলতা দেখিয়েছেন এবং প্রতিবারই ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের চাপ প্রয়োগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ওয়াশিংটনে ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এক হট মাইকে ট্রাম্পকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁকে ফিসফিস করে বলতে শোনা যায়: “আমার মনে হয় পুতিন আমার জন্য একটা চুক্তি করতে চায়।” প্রতিশ্রুতি দিয়েও ট্রাম্প কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি এবং আলোচনার শর্ত হিসেবে যুদ্ধবিরতির দাবি থেকেও সরে এসেছেন।

কূটনীতির আড়ালে ক্ষমতা খোঁজা
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনকে নিয়ে প্রকাশ্য সমর্থনের আশ্বাস পুতিনকে বিচলিত করেনি। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় ছাড়া কিছু করবেন না। অন্যদিকে ট্রাম্পের সৌজন্যে পুতিন লালগালিচা সংবর্ধনা পান, কূটনৈতিক একঘরে দশা থেকে মুক্তি পান এবং ইউরোপীয় শক্তি খেলোয়াড় হিসেবে নিজ অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

রুশ দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন উচ্ছ্বসিতভাবে মন্তব্য করেন, “এটি ছিল এক নিখুঁত বৈঠক। সবকিছু জেতা আর কিছু না হারানো—এটি কেবল আলেকজান্ডার তৃতীয়ই পারতেন।” তবে বৈঠকে আসলে কী চুক্তি হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়।

রুশ জনমত ও অভ্যন্তরীণ চাপ
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৭০ শতাংশ রুশ মনে করেন তাদের দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, তবে ৬০ শতাংশ শান্তি আলোচনার পক্ষে। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ খুব একটা নেই। রুশ অভিজাত মহলে এক ব্যবসায়ী বলেন, “এটা কেমনভাবে শেষ হবে, কেউ পরোয়া করে না। শুধু শেষ হলেই হলো। পুতিন যেকোনো কিছুকেই বিজয় বলে বিক্রি করতে পারবেন।”

তবে পুতিন ন্যূনতম যে শর্তগুলো চাইবেন, সেগুলো হলো—ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী করিডোর দখলের স্বীকৃতি, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের স্থায়ী বাধা এবং ইউক্রেনে নতুন নির্বাচন। রুশ মহলে ধারণা, জেলেনস্কি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত এসব শর্তে কোনো চুক্তি সম্ভব নয়।

অর্থনীতি ও যুদ্ধক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা
রাশিয়ার অর্থনীতি মন্দার পথে। এ বছরের প্রথম সাত মাসেই বাজেট ঘাটতি পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি ব্যয়ের অন্তত ৫ শতাংশ এখন সেনাবাহিনী চালাতে খরচ হচ্ছে। তৃতীয় বছরের মতো ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন ভাঙতে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের শুরুর পর থেকে খুব সামান্য অতিরিক্ত ভূখণ্ডই দখল করতে পেরেছে।

পুতিন আর বড় মাত্রায় সেনা সমাবেশ করতে চান না। যুদ্ধ আরেক বছর চললে তার সীমাহীন মানবিক ও অর্থনৈতিক খরচ ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে। একজন রুশ ধনকুবের বলেন, “সবাই জানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন। শেষ করার সময় এসেছে।” তবুও পুতিন আগামী দুই মাসে বড় ধরনের সাফল্য চাইছেন। ইউক্রেন জনশক্তি সংকটে ভুগছে, পলায়নও বাড়ছে। তাই কূটনৈতিক দরজা খুলে রাখা তার বিকল্প পরিকল্পনা।

অন্তহীন কূটনীতির লক্ষ্য
পুতিনের জন্য কূটনীতি যুদ্ধের অংশমাত্র। এর মাধ্যমে তিনি ট্রাম্পকে পাশে রাখছেন এবং পশ্চিমা ঐক্যের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করছেন ইউক্রেন পশ্চিম ডনবাসের ভূখণ্ড ছেড়ে দিক, যা তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে দখল করতে পারেননি। এটি ইউক্রেনের ভেতরে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি জানেন, জেলেনস্কি এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না। আবার ট্রাম্পও হয়তো তাকে চাপ দিতে ব্যর্থ হলে জেলেনস্কিকে পরিত্যাগ করতে পারেন।

পুতিনের আসল লক্ষ্য হলো শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা কাঠামো ভেঙে ফেলা, ইউক্রেনকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করা, ইউরোপ থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে দেওয়া এবং ইউরোপের ইউক্রেন সমর্থন দুর্বল করা। এখনও তিনি তা অর্জন করতে পারেননি। তবে যুদ্ধ থেমে গেলেও পশ্চিমা ঐক্য ভাঙার তার প্রচেষ্টা চলতেই থাকবে।


জনপ্রিয় সংবাদ

কম্পিউটিং দুনিয়ায় নতুন বিপ্লবের দুয়ারে বিশ্ব: সামনে আসছে কোয়ান্টাম যুগ

পুতিনের খেলা: পশ্চিমা ঐক্য ভাঙার কৌশল

১১:০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

আলাস্কার পর ক্রেমলিনে বার্তা
১৬ আগস্ট, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পর ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার শীর্ষ নেতাদের ডাকেন ক্রেমলিনের ঐতিহাসিক ‘অর্ডার অব সেন্ট ক্যাথারিন’ হলে। একসময় রুশ সাম্রাজ্যের গৌরব প্রদর্শনের জন্য নির্মিত এই হলে তিনি আলাস্কা সফরের অর্জন তুলে ধরেন। আলাস্কা একসময় রাশিয়ার উপনিবেশ ছিল। তিনি ট্রাম্পের সততা ও যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, “এটি আমাদের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে।”

তিন বছর আগে একই হলে পুতিন নিজের উপদেষ্টাদের টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে একে একে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিতে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটিই ছিল ইউক্রেন আক্রমণের সূচনা। কিন্তু এবার তার বার্তা ভিন্ন—যুদ্ধ হয়তো শেষের দিকে, তবে রাশিয়ার শর্তেই। এই বার্তা একদিকে যুদ্ধের ক্লান্তি প্রকাশ করে, অন্যদিকে পুতিনের আত্মবিশ্বাস দেখায়—তিনি মনে করছেন যুদ্ধক্ষেত্রে বা আলোচনার টেবিলে জয় আসবেই।

ট্রাম্পের প্রতি নির্ভরতা
পুতিন শান্ত স্বরে বলেন, “আমরা আমেরিকার প্রশাসনের অবস্থানকে সম্মান করি, যারা চায় যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। আমরাও তাই চাই।” ট্রাম্পই একমাত্র যিনি এই বক্তব্য সরলভাবে গ্রহণ করছেন। মাসের পর মাস তিনি পুতিনের প্রতি অস্বাভাবিক নির্ভরশীলতা দেখিয়েছেন এবং প্রতিবারই ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের চাপ প্রয়োগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ওয়াশিংটনে ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এক হট মাইকে ট্রাম্পকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁকে ফিসফিস করে বলতে শোনা যায়: “আমার মনে হয় পুতিন আমার জন্য একটা চুক্তি করতে চায়।” প্রতিশ্রুতি দিয়েও ট্রাম্প কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেননি এবং আলোচনার শর্ত হিসেবে যুদ্ধবিরতির দাবি থেকেও সরে এসেছেন।

কূটনীতির আড়ালে ক্ষমতা খোঁজা
হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনকে নিয়ে প্রকাশ্য সমর্থনের আশ্বাস পুতিনকে বিচলিত করেনি। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় ছাড়া কিছু করবেন না। অন্যদিকে ট্রাম্পের সৌজন্যে পুতিন লালগালিচা সংবর্ধনা পান, কূটনৈতিক একঘরে দশা থেকে মুক্তি পান এবং ইউরোপীয় শক্তি খেলোয়াড় হিসেবে নিজ অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

রুশ দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন উচ্ছ্বসিতভাবে মন্তব্য করেন, “এটি ছিল এক নিখুঁত বৈঠক। সবকিছু জেতা আর কিছু না হারানো—এটি কেবল আলেকজান্ডার তৃতীয়ই পারতেন।” তবে বৈঠকে আসলে কী চুক্তি হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়।

রুশ জনমত ও অভ্যন্তরীণ চাপ
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৭০ শতাংশ রুশ মনে করেন তাদের দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, তবে ৬০ শতাংশ শান্তি আলোচনার পক্ষে। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ খুব একটা নেই। রুশ অভিজাত মহলে এক ব্যবসায়ী বলেন, “এটা কেমনভাবে শেষ হবে, কেউ পরোয়া করে না। শুধু শেষ হলেই হলো। পুতিন যেকোনো কিছুকেই বিজয় বলে বিক্রি করতে পারবেন।”

তবে পুতিন ন্যূনতম যে শর্তগুলো চাইবেন, সেগুলো হলো—ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী করিডোর দখলের স্বীকৃতি, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের স্থায়ী বাধা এবং ইউক্রেনে নতুন নির্বাচন। রুশ মহলে ধারণা, জেলেনস্কি ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত এসব শর্তে কোনো চুক্তি সম্ভব নয়।

অর্থনীতি ও যুদ্ধক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা
রাশিয়ার অর্থনীতি মন্দার পথে। এ বছরের প্রথম সাত মাসেই বাজেট ঘাটতি পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি ব্যয়ের অন্তত ৫ শতাংশ এখন সেনাবাহিনী চালাতে খরচ হচ্ছে। তৃতীয় বছরের মতো ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন ভাঙতে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের শুরুর পর থেকে খুব সামান্য অতিরিক্ত ভূখণ্ডই দখল করতে পেরেছে।

পুতিন আর বড় মাত্রায় সেনা সমাবেশ করতে চান না। যুদ্ধ আরেক বছর চললে তার সীমাহীন মানবিক ও অর্থনৈতিক খরচ ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে। একজন রুশ ধনকুবের বলেন, “সবাই জানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন। শেষ করার সময় এসেছে।” তবুও পুতিন আগামী দুই মাসে বড় ধরনের সাফল্য চাইছেন। ইউক্রেন জনশক্তি সংকটে ভুগছে, পলায়নও বাড়ছে। তাই কূটনৈতিক দরজা খুলে রাখা তার বিকল্প পরিকল্পনা।

অন্তহীন কূটনীতির লক্ষ্য
পুতিনের জন্য কূটনীতি যুদ্ধের অংশমাত্র। এর মাধ্যমে তিনি ট্রাম্পকে পাশে রাখছেন এবং পশ্চিমা ঐক্যের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করছেন ইউক্রেন পশ্চিম ডনবাসের ভূখণ্ড ছেড়ে দিক, যা তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে দখল করতে পারেননি। এটি ইউক্রেনের ভেতরে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে। তিনি জানেন, জেলেনস্কি এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না। আবার ট্রাম্পও হয়তো তাকে চাপ দিতে ব্যর্থ হলে জেলেনস্কিকে পরিত্যাগ করতে পারেন।

পুতিনের আসল লক্ষ্য হলো শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা কাঠামো ভেঙে ফেলা, ইউক্রেনকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করা, ইউরোপ থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে দেওয়া এবং ইউরোপের ইউক্রেন সমর্থন দুর্বল করা। এখনও তিনি তা অর্জন করতে পারেননি। তবে যুদ্ধ থেমে গেলেও পশ্চিমা ঐক্য ভাঙার তার প্রচেষ্টা চলতেই থাকবে।