০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, প্রাণিজ কল্যাণ আইনে গ্রেপ্তার ১ জয়পুরহাটে বাড়িতে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ভাতিজি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে ট্রাক–পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস–ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩ গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা গ্যারেজে আগুন, পুড়েছে ১৫ যানবাহন “‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ ‘টাইটানিক’–ধরনের হৃদয়ভাঙা, বলছেন সমালোচকেরা” “আরও গভীর পরিসংখ্যান নিয়ে ফিরলো অ্যাপল মিউজিক ‘রিপ্লে ২০২৫’” “মিইয়ে যাওয়া জিডিপি সংখ্যার আড়ালে অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা এখনো ‘গরম’” “নতুন নোভা এআই মডেল উন্মোচনে করপোরেট গ্রাহকদের মন জয়ে ঝুঁকল এডব্লিউএস” “মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের আঘাতে বিধ্বস্ত হংকং, তবু সামনে ‘দেশপ্রেমিকদের’ নির্বাচন”

উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক বৈষম্য কেন গুরুত্বপূর্ণ

অর্থনৈতিক বৈষম্য কি উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে আমরা এই প্রশ্নটি আলোচনা করেছি। সেখানে আমাদের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল উত্তর দেন, “কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে নাবৈষম্যের বিভিন্ন দিকসুযোগের বৈষম্যআয়ের বৈষম্যসম্পদের বৈষম্য এবং ক্ষমতার বৈষম্যসবকিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মাত্রা যদি খুব বেশি হয় বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়তাহলে সেটি উন্নয়নকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে আসল প্রশ্ন হলোআপনি তখন কী করবেনআর চিকিৎসা কি কখনও রোগের চেয়েও খারাপ হয়ে যায় না?”

কোনো দেশে উচ্চ মাত্রার অর্থনৈতিক বৈষম্য মানুষের সামাজিকঅর্থনৈতিক সিঁড়িতে ওপরে ওঠার সক্ষমতা সীমিত করেফলে সার্বজনীন প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের গতি কমে যায়। বিপরীতেউচ্চ বৈষম্য কমাতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়মানবসম্পদ শক্তিশালী হয় এবং দারিদ্র্য আরও দ্রুত কমে।

আমরা জানিভাগাভাগি সমৃদ্ধি বাড়ানো এবং প্রধান উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য বৈষম্য মোকাবিলা অপরিহার্য। কিন্তু বৈষম্য ঠিক কখন খুব বেশি” হয়ে ওঠেকোন নীতিগত সমাধানগুলো সবচেয়ে কার্যকর?

বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক বৈষম্য কীভাবে পর্যবেক্ষণ করে

বৈষম্য কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে আগে সেটিকে সঠিকভাবে মাপতে হয়। বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও বৈষম্য প্ল্যাটফর্ম ১৭২টি দেশের জন্য জিনি সূচকের হিসাব দেয়জনসংখ্যার মধ্যে আয় বা ভোগের বণ্টন কতটা সমান বা অসমান তার একটি পরিমাপযা বিশ্বের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষের আওতা জুড়ে। এই মূল্যবান সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাত্রা মূল্যায়নে সহায়তা করে। আমরা জিনি সূচক বেছে নিয়েছি আংশিকভাবে এর দীর্ঘদিনের ব্যবহার এবং বিস্তৃত পরিচিতির কারণে।

এই প্ল্যাটফর্মের উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২৪ সালে আমরা বিশ্বব্যাংকের করপোরেট স্কোরকার্ডে একটি নতুন বৈশ্বিক সূচক যুক্ত করেছি: উচ্চ বৈষম্যসম্পন্ন দেশের সংখ্যাযেসব দেশের জিনি সূচক ৪০-এর বেশি। সর্বশেষ তথ্য দেখায়বিশ্বের প্রতি চার জনে একজনেরও বেশি মানুষ উচ্চ বৈষম্যযুক্ত দেশে বসবাস করেনএদের বড় অংশ সাহারাদক্ষিণ আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত।

অর্থনৈতিক বৈষম্য পর্যবেক্ষণের চ্যালেঞ্জ

আমাদের এই সূচকটি উপকারী হলেওএটি বৈষম্য মাপার বহু পদ্ধতির একটি মাত্র এবং প্রতিটি পদ্ধতিরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপদারিদ্র্য ও বৈষম্য প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হিসাব মূলত গৃহস্থালি জরিপের তথ্যের ওপর নির্ভরশীলকিন্তু আয় বণ্টনের একেবারে নিচু ও একেবারে উঁচু প্রান্তের মানুষঅর্থাৎ চরম সীমার গোষ্ঠীঅনেক সময় কম প্রতিফলিত হনকম রিপোর্ট দেওয়া বা সাড়া না দেওয়ার কারণেও এমনটি ঘটে।

তথ্য হালনাগাদের ঘনত্বও দেশে দেশে ভিন্ন। কোথাও বছরে একবার করে হিসাব আপডেট হয়আবার কোথাও তা আরও কম ঘনঘন। এর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা এবং বহু উচ্চ-আয় দেশ সাধারণত ব্যয়ের পর হাতে থাকা আয়ের তথ্য (ডিসপোজেবল ইনকাম) ব্যবহার করেবিপরীতে অধিকাংশ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ভোগ ব্যয়ের তথ্যের ওপর নির্ভর করেমূলত তথ্যের প্রাপ্যতার কারণে।

আরও কিছু বিষয়ের কারণে দেশভেদে বৈষম্যের হিসাব তুলনাযোগ্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমনকোনো কোনো দেশ গ্রাম ও শহরের দামের পার্থক্য সমন্বয় করে প্রকৃত গৃহস্থালি আয় বা ভোগ নির্ণয় করেআবার কিছু দেশ তা করে না। সময়ের সঙ্গে তুলনায়ও সমস্যা হতে পারেকারণ অনেক দেশ তাদের জরিপের নকশা ও পদ্ধতি পরিবর্তন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ঘাটতি কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছেযেমন গৃহস্থালি জরিপকে করের নথি বা অন্যান্য প্রশাসনিক তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা। তবে উচ্চ-আয় দেশের বাইরে সমন্বিত ব্যক্তিগত আয়করের তথ্য অনেক সময় সীমিত থাকে।

নীতিনির্ধারণ শক্তিশালী করতে উন্নত তথ্যভিত্তিতে বিনিয়োগ

আরও সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্য পাওয়া গেলে অর্থনৈতিক বৈষম্য মাপা ও পর্যবেক্ষণ আরও উন্নত হবেযা ভালো নীতি প্রণয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংক দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে তাদের কল্যাণসংক্রান্ত তথ্যের মানোন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাতথ্যঘাটতি পূরণে কর ও প্রশাসনিক তথ্যের ব্যবহার বাড়ানো এবং আয় ও সম্পদের বণ্টন আরও ভালোভাবে ধরতে উদ্ভাবনী পদ্ধতি উন্নয়ন।

উদাহরণ হিসেবেনিম্ন-আয় দেশগুলোর জন্য আমাদের তহবিল আইডিএইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনএর ২১তম পুনঃপূরণের (আইডিএ২১) অংশ হিসেবে আমরা ৩০টি আইডিএ দেশকে গৃহস্থালি জরিপে বিনিয়োগে সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিযাতে তারা আরও উন্নতপ্রমাণভিত্তিক নীতি নকশা করতে পারে।

দারিদ্র্য দূর করা এবং বাসযোগ্য গ্রহে ভাগাভাগি সমৃদ্ধি বাড়ানোর আমাদের লক্ষ্য এমন এক পৃথিবীর কথা কল্পনা করেযেখানে প্রবৃদ্ধি শুধু শক্তিশালীই নয়পাশাপাশি বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলকওঅর্থাৎ আয়ের বণ্টনের সব স্তরের মানুষবিশেষ করে সবচেয়ে নিচের স্তরের মানুষপদ্ধতিগতভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

এই লক্ষ্য অর্জনে অর্থনৈতিক বৈষম্যের চালকগুলোকে বুঝতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন আরও ভালো তথ্যশক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং উন্মুক্ত সংলাপ। চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ ও সহযোগিতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবেযাতে প্রবৃদ্ধির সুফল সবার কাছে পৌঁছায় এবং কেউ পিছিয়ে না থাকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, প্রাণিজ কল্যাণ আইনে গ্রেপ্তার ১

উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক বৈষম্য কেন গুরুত্বপূর্ণ

০৮:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

অর্থনৈতিক বৈষম্য কি উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে আমরা এই প্রশ্নটি আলোচনা করেছি। সেখানে আমাদের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল উত্তর দেন, “কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে নাবৈষম্যের বিভিন্ন দিকসুযোগের বৈষম্যআয়ের বৈষম্যসম্পদের বৈষম্য এবং ক্ষমতার বৈষম্যসবকিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মাত্রা যদি খুব বেশি হয় বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়তাহলে সেটি উন্নয়নকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে আসল প্রশ্ন হলোআপনি তখন কী করবেনআর চিকিৎসা কি কখনও রোগের চেয়েও খারাপ হয়ে যায় না?”

কোনো দেশে উচ্চ মাত্রার অর্থনৈতিক বৈষম্য মানুষের সামাজিকঅর্থনৈতিক সিঁড়িতে ওপরে ওঠার সক্ষমতা সীমিত করেফলে সার্বজনীন প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের গতি কমে যায়। বিপরীতেউচ্চ বৈষম্য কমাতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়মানবসম্পদ শক্তিশালী হয় এবং দারিদ্র্য আরও দ্রুত কমে।

আমরা জানিভাগাভাগি সমৃদ্ধি বাড়ানো এবং প্রধান উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য বৈষম্য মোকাবিলা অপরিহার্য। কিন্তু বৈষম্য ঠিক কখন খুব বেশি” হয়ে ওঠেকোন নীতিগত সমাধানগুলো সবচেয়ে কার্যকর?

বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক বৈষম্য কীভাবে পর্যবেক্ষণ করে

বৈষম্য কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে আগে সেটিকে সঠিকভাবে মাপতে হয়। বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও বৈষম্য প্ল্যাটফর্ম ১৭২টি দেশের জন্য জিনি সূচকের হিসাব দেয়জনসংখ্যার মধ্যে আয় বা ভোগের বণ্টন কতটা সমান বা অসমান তার একটি পরিমাপযা বিশ্বের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষের আওতা জুড়ে। এই মূল্যবান সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাত্রা মূল্যায়নে সহায়তা করে। আমরা জিনি সূচক বেছে নিয়েছি আংশিকভাবে এর দীর্ঘদিনের ব্যবহার এবং বিস্তৃত পরিচিতির কারণে।

এই প্ল্যাটফর্মের উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২৪ সালে আমরা বিশ্বব্যাংকের করপোরেট স্কোরকার্ডে একটি নতুন বৈশ্বিক সূচক যুক্ত করেছি: উচ্চ বৈষম্যসম্পন্ন দেশের সংখ্যাযেসব দেশের জিনি সূচক ৪০-এর বেশি। সর্বশেষ তথ্য দেখায়বিশ্বের প্রতি চার জনে একজনেরও বেশি মানুষ উচ্চ বৈষম্যযুক্ত দেশে বসবাস করেনএদের বড় অংশ সাহারাদক্ষিণ আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত।

অর্থনৈতিক বৈষম্য পর্যবেক্ষণের চ্যালেঞ্জ

আমাদের এই সূচকটি উপকারী হলেওএটি বৈষম্য মাপার বহু পদ্ধতির একটি মাত্র এবং প্রতিটি পদ্ধতিরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপদারিদ্র্য ও বৈষম্য প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হিসাব মূলত গৃহস্থালি জরিপের তথ্যের ওপর নির্ভরশীলকিন্তু আয় বণ্টনের একেবারে নিচু ও একেবারে উঁচু প্রান্তের মানুষঅর্থাৎ চরম সীমার গোষ্ঠীঅনেক সময় কম প্রতিফলিত হনকম রিপোর্ট দেওয়া বা সাড়া না দেওয়ার কারণেও এমনটি ঘটে।

তথ্য হালনাগাদের ঘনত্বও দেশে দেশে ভিন্ন। কোথাও বছরে একবার করে হিসাব আপডেট হয়আবার কোথাও তা আরও কম ঘনঘন। এর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা এবং বহু উচ্চ-আয় দেশ সাধারণত ব্যয়ের পর হাতে থাকা আয়ের তথ্য (ডিসপোজেবল ইনকাম) ব্যবহার করেবিপরীতে অধিকাংশ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ভোগ ব্যয়ের তথ্যের ওপর নির্ভর করেমূলত তথ্যের প্রাপ্যতার কারণে।

আরও কিছু বিষয়ের কারণে দেশভেদে বৈষম্যের হিসাব তুলনাযোগ্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমনকোনো কোনো দেশ গ্রাম ও শহরের দামের পার্থক্য সমন্বয় করে প্রকৃত গৃহস্থালি আয় বা ভোগ নির্ণয় করেআবার কিছু দেশ তা করে না। সময়ের সঙ্গে তুলনায়ও সমস্যা হতে পারেকারণ অনেক দেশ তাদের জরিপের নকশা ও পদ্ধতি পরিবর্তন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ঘাটতি কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছেযেমন গৃহস্থালি জরিপকে করের নথি বা অন্যান্য প্রশাসনিক তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা। তবে উচ্চ-আয় দেশের বাইরে সমন্বিত ব্যক্তিগত আয়করের তথ্য অনেক সময় সীমিত থাকে।

নীতিনির্ধারণ শক্তিশালী করতে উন্নত তথ্যভিত্তিতে বিনিয়োগ

আরও সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্য পাওয়া গেলে অর্থনৈতিক বৈষম্য মাপা ও পর্যবেক্ষণ আরও উন্নত হবেযা ভালো নীতি প্রণয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংক দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে তাদের কল্যাণসংক্রান্ত তথ্যের মানোন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাতথ্যঘাটতি পূরণে কর ও প্রশাসনিক তথ্যের ব্যবহার বাড়ানো এবং আয় ও সম্পদের বণ্টন আরও ভালোভাবে ধরতে উদ্ভাবনী পদ্ধতি উন্নয়ন।

উদাহরণ হিসেবেনিম্ন-আয় দেশগুলোর জন্য আমাদের তহবিল আইডিএইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনএর ২১তম পুনঃপূরণের (আইডিএ২১) অংশ হিসেবে আমরা ৩০টি আইডিএ দেশকে গৃহস্থালি জরিপে বিনিয়োগে সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিযাতে তারা আরও উন্নতপ্রমাণভিত্তিক নীতি নকশা করতে পারে।

দারিদ্র্য দূর করা এবং বাসযোগ্য গ্রহে ভাগাভাগি সমৃদ্ধি বাড়ানোর আমাদের লক্ষ্য এমন এক পৃথিবীর কথা কল্পনা করেযেখানে প্রবৃদ্ধি শুধু শক্তিশালীই নয়পাশাপাশি বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলকওঅর্থাৎ আয়ের বণ্টনের সব স্তরের মানুষবিশেষ করে সবচেয়ে নিচের স্তরের মানুষপদ্ধতিগতভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

এই লক্ষ্য অর্জনে অর্থনৈতিক বৈষম্যের চালকগুলোকে বুঝতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন আরও ভালো তথ্যশক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং উন্মুক্ত সংলাপ। চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণ ও সহযোগিতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবেযাতে প্রবৃদ্ধির সুফল সবার কাছে পৌঁছায় এবং কেউ পিছিয়ে না থাকে।