০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিক্ষা: কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি ও আজীবন শিক্ষার চাবিকাঠি

শিক্ষা শুধু দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পথই নয়, এটি একটি ভালো চাকরি ও উন্নত জীবনের ভিত্তি। ভালো শিক্ষা মানুষকে পাঠ্যজ্ঞান, গণিতের দক্ষতা এবং সামাজিক-মানসিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে, যা কাজের জায়গায় ও জীবনে সমানভাবে প্রয়োজনীয়। আজকের শিশুরা আগামী দিনের কর্মী হবে, আর প্রাপ্তবয়স্করাও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে।

শিক্ষায় বিনিয়োগ কেন জরুরি

শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনও। গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার মাত্রা যত বাড়ে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তত উন্নত হয়, আয় বাড়ে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে ভালো চাকরি পান। প্রতিটি অতিরিক্ত শিক্ষাবর্ষ ভবিষ্যতের আয় গড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এমনকি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মিলে মানবসম্পদ প্রায় অর্ধেক পার্থক্য তৈরি করে মাথাপিছু আয়ে দেশভেদে।

তবুও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা এখনো অধরা রয়ে গেছে।

বৈশ্বিক দক্ষতা সংকট

বিশ্ব আজ একটি বড় দক্ষতা সংকটের মুখোমুখি। তিন থেকে ছয় বছর বয়সী প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে, অথচ এই সময়টি মেধা ও আবেগী দক্ষতা বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যারা স্কুলে যেতে পারছে, তাদের শিক্ষার ফলও দুর্বল—নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ১০ বছর বয়সে প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু একটি অনুচ্ছেদ পড়তে ও বুঝতে পারে না।

এ সংকট কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি কাজের ধরন পাল্টে দিচ্ছে, নতুন ডিজিটাল ও মানসিক দক্ষতার চাহিদা তৈরি করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মীকে পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে বদলে যাওয়া শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। আফ্রিকার তরুণ জনগোষ্ঠী ২০৫০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে, ফলে শিক্ষায় কৌশলী বিনিয়োগ সেখানে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

বিশ্বব্যাংকের কর্মপরিকল্পনা

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক শিক্ষা খাতে একটি রূপান্তরমূলক পরিকল্পনা নিয়েছে। লক্ষ্য হলো মানুষকে এমন দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা, যা দিয়ে তারা শুধু বাঁচবে না, বরং সফলও হবে।

এই পরিকল্পনায় চারটি কৌশলগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে:

প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করে দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করা।

          শিশুদের স্কুলে ধরে রাখা ও শেখানো নিশ্চিত করা—এর জন্য শিক্ষকদের সহায়তা, প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষাদান এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনা চালু করা।

উচ্চতর শিক্ষায় চাকরি-সম্পর্কিত দক্ষতা গড়ে তোলা—শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও বাজার-ভিত্তিক পাঠক্রম তৈরি করা।

অর্জিত দক্ষতাকে কাজে লাগানো—চাকরি খোঁজার সেবা, উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা।

চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো তরুণদের এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারে।

বেসরকারি খাতের ভূমিকা

এই যাত্রায় বেসরকারি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বিশ্বব্যাংক তার বেসরকারি শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (IFC)-এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে উদ্ভাবনী প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

এর মধ্যে রয়েছে এডটেক (EdTech) প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, যা শিক্ষার সুযোগ বাড়ায় এবং ফলাফল উন্নত করে। আবার শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যৌথভাবে এমন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে, যা সময়োপযোগী দক্ষতা প্রদান করে—যেমন কর্মক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা, উন্নত সার্টিফিকেশন এবং দক্ষতার স্বীকৃতি।

সফল উদ্যোগের বিস্তার

বিশ্বব্যাংক কার্যকর প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করে তা সম্প্রসারণে মনোযোগ দিচ্ছে।

  • বাংলাদেশে একটি প্রকল্প ইতোমধ্যেই ২ লাখ ৮০ হাজার তরুণকে চাকরির প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
  • আফ্রিকায় ২০ দেশে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৮১টি সেন্টার অব এক্সেলেন্স গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে বিজ্ঞান, কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও শিক্ষা খাতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।
  • চিলিতে IFC দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সান্তো তোমাসের সঙ্গে কাজ করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত ক্যারিয়ার সেবা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে নারীদের, নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের এবং কর্মরত অভিভাবকদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলাফলভিত্তিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহার

শিক্ষায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু খরচ নয়, ফলাফলের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তথ্য সংগ্রহে বিনিয়োগ অপরিহার্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) শিক্ষায় প্রবেশাধিকার বাড়াতে, শেখানো উন্নত করতে এবং শিক্ষার মান যাচাই করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

বিশ্বব্যাংক গ্রুপ একীভূতভাবে কাজ করছে—বহুমুখী দক্ষতা, উদ্ভাবনী অর্থায়ন ও প্রমাণভিত্তিক সমাধান কাজে লাগিয়ে। শাসন সংস্কার, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং নতুন টুল যেমন ঋণ-বিনিময়ে উন্নয়ন (Debt-for-development swaps) এর মাধ্যমে শিক্ষায় আরও অর্থায়ন জোগাড় করা হচ্ছে। সম্প্রতি আইভরি কোস্টে এমন একটি চুক্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য স্পষ্ট—শৈশব থেকেই শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করা এবং সারা জীবনের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করা। এর মাধ্যমেই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।

শিক্ষা: কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি ও আজীবন শিক্ষার চাবিকাঠি

০৬:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

শিক্ষা শুধু দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পথই নয়, এটি একটি ভালো চাকরি ও উন্নত জীবনের ভিত্তি। ভালো শিক্ষা মানুষকে পাঠ্যজ্ঞান, গণিতের দক্ষতা এবং সামাজিক-মানসিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে, যা কাজের জায়গায় ও জীবনে সমানভাবে প্রয়োজনীয়। আজকের শিশুরা আগামী দিনের কর্মী হবে, আর প্রাপ্তবয়স্করাও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারবে।

শিক্ষায় বিনিয়োগ কেন জরুরি

শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক প্রয়োজনও। গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার মাত্রা যত বাড়ে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তত উন্নত হয়, আয় বাড়ে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে ভালো চাকরি পান। প্রতিটি অতিরিক্ত শিক্ষাবর্ষ ভবিষ্যতের আয় গড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এমনকি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মিলে মানবসম্পদ প্রায় অর্ধেক পার্থক্য তৈরি করে মাথাপিছু আয়ে দেশভেদে।

তবুও সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা এখনো অধরা রয়ে গেছে।

বৈশ্বিক দক্ষতা সংকট

বিশ্ব আজ একটি বড় দক্ষতা সংকটের মুখোমুখি। তিন থেকে ছয় বছর বয়সী প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে, অথচ এই সময়টি মেধা ও আবেগী দক্ষতা বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যারা স্কুলে যেতে পারছে, তাদের শিক্ষার ফলও দুর্বল—নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ১০ বছর বয়সে প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু একটি অনুচ্ছেদ পড়তে ও বুঝতে পারে না।

এ সংকট কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি কাজের ধরন পাল্টে দিচ্ছে, নতুন ডিজিটাল ও মানসিক দক্ষতার চাহিদা তৈরি করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মীকে পুনঃপ্রশিক্ষণ নিতে হবে বদলে যাওয়া শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। আফ্রিকার তরুণ জনগোষ্ঠী ২০৫০ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে, ফলে শিক্ষায় কৌশলী বিনিয়োগ সেখানে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

বিশ্বব্যাংকের কর্মপরিকল্পনা

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক শিক্ষা খাতে একটি রূপান্তরমূলক পরিকল্পনা নিয়েছে। লক্ষ্য হলো মানুষকে এমন দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা, যা দিয়ে তারা শুধু বাঁচবে না, বরং সফলও হবে।

এই পরিকল্পনায় চারটি কৌশলগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে:

প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করে দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করা।

          শিশুদের স্কুলে ধরে রাখা ও শেখানো নিশ্চিত করা—এর জন্য শিক্ষকদের সহায়তা, প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষাদান এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনা চালু করা।

উচ্চতর শিক্ষায় চাকরি-সম্পর্কিত দক্ষতা গড়ে তোলা—শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও বাজার-ভিত্তিক পাঠক্রম তৈরি করা।

অর্জিত দক্ষতাকে কাজে লাগানো—চাকরি খোঁজার সেবা, উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা।

চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো তরুণদের এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারে।

বেসরকারি খাতের ভূমিকা

এই যাত্রায় বেসরকারি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বিশ্বব্যাংক তার বেসরকারি শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (IFC)-এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে উদ্ভাবনী প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

এর মধ্যে রয়েছে এডটেক (EdTech) প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, যা শিক্ষার সুযোগ বাড়ায় এবং ফলাফল উন্নত করে। আবার শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যৌথভাবে এমন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে, যা সময়োপযোগী দক্ষতা প্রদান করে—যেমন কর্মক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা, উন্নত সার্টিফিকেশন এবং দক্ষতার স্বীকৃতি।

সফল উদ্যোগের বিস্তার

বিশ্বব্যাংক কার্যকর প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করে তা সম্প্রসারণে মনোযোগ দিচ্ছে।

  • বাংলাদেশে একটি প্রকল্প ইতোমধ্যেই ২ লাখ ৮০ হাজার তরুণকে চাকরির প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
  • আফ্রিকায় ২০ দেশে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ৮১টি সেন্টার অব এক্সেলেন্স গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে বিজ্ঞান, কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও শিক্ষা খাতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।
  • চিলিতে IFC দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সান্তো তোমাসের সঙ্গে কাজ করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত ক্যারিয়ার সেবা কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে নারীদের, নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের এবং কর্মরত অভিভাবকদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলাফলভিত্তিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহার

শিক্ষায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু খরচ নয়, ফলাফলের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তথ্য সংগ্রহে বিনিয়োগ অপরিহার্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) শিক্ষায় প্রবেশাধিকার বাড়াতে, শেখানো উন্নত করতে এবং শিক্ষার মান যাচাই করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

বিশ্বব্যাংক গ্রুপ একীভূতভাবে কাজ করছে—বহুমুখী দক্ষতা, উদ্ভাবনী অর্থায়ন ও প্রমাণভিত্তিক সমাধান কাজে লাগিয়ে। শাসন সংস্কার, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং নতুন টুল যেমন ঋণ-বিনিময়ে উন্নয়ন (Debt-for-development swaps) এর মাধ্যমে শিক্ষায় আরও অর্থায়ন জোগাড় করা হচ্ছে। সম্প্রতি আইভরি কোস্টে এমন একটি চুক্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য স্পষ্ট—শৈশব থেকেই শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করা এবং সারা জীবনের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করা। এর মাধ্যমেই আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।