হ্যানয়ে স্বাধীনতার ৮০ বছর উপলক্ষে ভিয়েতনাম তার সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ দেখাল। রাজধানীর প্রধান সড়কে ট্যাংক, মিসাইল ক্যারিয়ার ও ড্রোনের সারি, আকাশে যুদ্ধবিমানের ফ্লাইপাস্ট—সব মিলিয়ে রাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা ও জাতীয় গর্বের একটি কোরিওগ্রাফি তৈরি হলো। বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতি এবং ব্যাপক জনসমাগম এই প্রদর্শনীর রাজনৈতিক বার্তাকে আরও স্পষ্ট করেছে।
এই প্রদর্শনীর কেন্দ্রে ছিল ‘স্বাধীনতা রক্ষা’ ও ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা’—দুইটি কীওয়ার্ড। দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা, সাপ্লাই চেইন পুনর্বিন্যাস, এবং প্রযুক্তি–উদ্ভাবনে প্রতিযোগিতায় হ্যানয়ের এই আয়োজন দেশটির কৌশলগত আত্মবিশ্বাসকে তুলে ধরে। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা—যেমন প্রশিক্ষণ, জয়েন্ট এক্সারসাইজ ও সরঞ্জাম আধুনিকায়ন— এগোচ্ছে। সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় কোস্টগার্ড সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বারবার উচ্চারিত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশ ও মাছধরা বিরোধে কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটি একটি সিগন্যাল। ‘চীন-প্লাস-ওয়ান’ প্রবণতায় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যখন উৎপাদন নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে, ভিয়েতনাম জানাতে চায় যে তার অবকাঠামো, সিকিউরিটি ও নীতিগত ধারাবাহিকতা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ। উচ্চগতির সড়ক, বন্দর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সম্প্রসারণের সঙ্গে ট্যালেন্ট আপস্কিলিংয়ের সরকারি প্রোগ্রাম দেশটির আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। কুচকাওয়াজ তাই কেবল সামরিক শো নয়, একটি অর্থনৈতিক পিচও। শ্রম মানোন্নয়ন, সবুজ জ্বালানি সংযুক্তি এবং তারা ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মান ধরতে চাইছে—বহুজাতিকদের জন্য এটি নিশ্চয়তা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















