২০২৫ সালের এপ্রিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কাম্বোডিয়া থেকে আমদানি করা সৌর সেল ও মডিউলের ওপর শুল্কহার কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩,৪০৩.৯৬% পর্যন্ত নির্ধারিত হয়। স্বাধীন প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ হার ৩,৫২১% পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। এর ফলে হোনেন সোলার ও সোলার লং PV টেকসহ কয়েকটি বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মারাত্মক চাপের মুখে পড়ে। নথিপত্রে দেখা যায়, তদন্তে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় ২০২৫ সালের আগস্টে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ভারত, লাওস ও ইন্দোনেশিয়া থেকে সৌর আমদানির ওপর সম্ভাব্য অ্যান্টি–ডাম্পিং ও ভর্তুকি তদন্ত শুরু করে। এর আগে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলো ইতিমধ্যেই উচ্চ শুল্কের আওতায় চলে আসে। এতে অনেক চীনা–স্বত্বভুক্ত প্রতিষ্ঠান উৎপাদন নতুন গন্তব্যে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
কাম্বোডিয়ার বেশ কয়েকটি কারখানা ইতিমধ্যেই উৎপাদন সঙ্কুচিত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রমুখী নতুন অর্ডারও ব্যাপকভাবে কমেছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে যে তারা চীনা পণ্য পুনঃরপ্তানি করছে। তাদের দাবি, স্থানীয়ভাবে এসেম্বলি ও উৎপাদনই করা হয়েছে। তবে শুল্ক–ঝুঁকি বাড়তে থাকায় শিল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।