১৯৪১ সালের চৌদ্দ আগস্ট দুই নেতা চোখে নিউফাউন্ডল্যান্ডে, সেখানে আর্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলেনো রুজভেল্টের চোখ রেখে প্রথম কথা বলেন।
ব্রিটিশ দখলদারির বিরুদ্ধে বর্মী জাতীয়তাবাদী ও স্বাধীন বার্মা আন্দোলন জাপানি বাহিনীকে সাদর অভ্যর্থনা জানায় এবং ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জাপানি বাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধের ফলাফল হয় যে বার্মা রণাঙ্গণে ব্রিটিশ-ভারতীয় বাহিনীর দ্রুত ও অবমাননাকর পরাজয় ঘটে।
অপরদিকে ইউরোপে, জার্মান বাহিনী (ভেরমাপ্ত) যখন ফিনল্যান্ডের বাহিনীসহ বাইশে জুন, ১৯৪১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে, প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্য আবিস্কার করে যে ইউরোপ মহাদেশে হিটলারকে মোকাবেলা করার জন্য সে একেবারেই একা এবং সামর্থ্যও নেই এবং একই সঙ্গে দ্বিতীয় ধারণা হয় যে ছয় সপ্তাহের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত হবে এবং জার্মানির জন্য যুদ্ধের মীমাংসা হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয় না।
ইউরোপের এমন টালমাটাল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল কল্পনাতীত ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ থেকে চলে যান সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাত করেন। ১৯৪১ সালের চৌদ্দ আগস্ট দুই নেতা চোখে নিউফাউন্ডল্যান্ডে, সেখানে আর্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডিলেনো রুজভেল্টের চোখ রেখে প্রথম কথা বলেন। এই মিটিং-য়ে “আটলান্টিক চার্টার” এবং অ্যাংলো-আমেরিকান জোট জন্য নেয়। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪২ সালের চৌদ্দই জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটনে টানা লম্বা রুজভেল্ট, চার্চিল এবং উভয়পক্ষের সামরিক কর্তাব্যক্তিরা বাইশে ডিসেম্বর কনফারেন্স কয়েন: সৃষ্টি হয় অ্যাংলো-আমেরিকান “কম্বাইন্ড চীফ অব স্টাফ। এই কনফারেন্স “ওয়াশিংটন” “আর্কেডিয়া” দুই নামেই পরিচিত।
এই কনফারেন্সে ইউরোপ, আটলান্টিক অঞ্চল, উত্তর আফ্রিকা প্রাধান্য পায় বা “ইউরোপ ফার্স্ট অথবা “জার্মানি ফার্স্ট” নামে পরিচিত, কিছু কালিনকে প্রদত্ত ইউরোপে দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলার মাধ্যমে শক্তিশালী জার্মান বাহিনীকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি এবং চীন-বার্মা-ইন্ডিয়া থিয়েটার মোটেই সিরিয়াস মনোযোগ পায়নি। ১৯৪২ সালের এপ্রিল মাদে “ফায়ারসাইড চ্যাটে” প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট জাতিকে অবহিত করে বলেন যে “ইউরোপীয় ফ্রন্টের গুরুত্বপূর্ণতম পরিস্থিতি হলো… এই রুশ বাহিনী, আমাদের শত্রুবাহিনীর সামরিক শক্তি: ট্রপস, বিমান, ট্যাঙ্কস ও অস্ত্রশস্ত্র যে পরিমাণে ফাংস করেছে এবং ধ্বংস করে যাচ্ছে- আমাদের সম্মিলিত সব জাতীয় বাহিনীও তা করতে পারেনি, পারছে না।”
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, বিশ্বীয় কূটনীতির চমকপ্রদ দিক হলো যে রুজভেল্ট ও চার্চিলের মধ্যে এগারোবার স্বশরীরে দেখা সাক্ষাত হয় এবং ১৯৪১ সাল ও ১৯৪৪ সালের মধ্যে চার্চিল চারবার যুক্তরাষ্ট্রে যান রুজভেল্টের সঙ্গে একান্তে মিটিং করতে। এসব মিটিং-য়ের কেন্দ্রবিন্দু ছিল যুদ্ধ-স্ট্র্যাটেজির পরিকল্পনা নির্ধারণ করা। ইউরোপে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার এগারোদিনের মাথায়, ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এগারো তারিখে চার্চিল রুজভেল্টকে প্রথম চিঠি লেখেন এবং ১৯৪০ সালের মে মাসের দশ তারিখে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত সময়মীমার মধ্যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাকুল্যে তেরোটি চিঠি লেখেন। এই তেরোটি চিঠির প্রতিউত্তরে চার্চিলকে রুজভেল্ট মাত্র চারটি চিঠি লেখেন; এই চারটি চিঠি বর্তমানে প্রকাশিত হয়েছে।
(চলবে)
নাঈম হক 



















