০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
মেটার ‘বিশ্বস্ত’ সংস্থার সহায়তায় আমি নিজেই একটি প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন চালিয়েছি কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ, সেবা ব্যবস্থায় চাপ বাড়ছে রাজবংশের হাতে গড়া লিংইন মন্দির শুধু দর্শনের জন্য জন্য নয় সরাসরি ইতিহাস পাঠ বন্য প্রাণীর চলাচলে জীবনরেখা ক্যানোপি সেতু, সুনগাই পিনে নতুন আশার গল্প ঘূর্ণিঝড় দিত্বাহর ধ্বংসযজ্ঞের পর শ্রীলঙ্কার পাশে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ চীনা ঐতিহ্যেই ব্র্যান্ডের নতুন গল্প, বদলাচ্ছে বিপণনের ভাষা দুর্যোগের আগেই পাশে দাঁড়ায় যে মানবতার শক্তি, মালয়েশিয়ায় ইউনাইটেড শিখসের নীরব সেবা থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা থামাতে কুয়ালালামপুর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে জাপানের পারমাণবিক প্রত্যাবর্তন ফুকুশিমার পনেরো বছর পর আবার চালু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম কেন্দ্র প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত: মাইকেল মিলার

শেখ হাসিনার হয়ে লড়তে চেয়েও আদালতের অনুমতি পাননি চার আইনজীবী

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চেয়েছিলেন চারজন আইনজীবী। কিন্তু আইনে সুযোগ না থাকায় আদালত তাদের অনুমতি দেননি।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এই আদেশ দেন।

শুনানিতে বিচারক বলেন, আসামিকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। আসামি আদালতে হাজির হলে তবেই আইনজীবীরা তার হয়ে কথা বলতে পারবেন। অন্যথায় তাদের আইনজীবী হিসেবে লড়ার সুযোগ নেই।

ওই চার আইনজীবী হলেন— মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও তপু।

আইনজীবীদের পক্ষ থেকে শাহীন জানান, শেখ হাসিনার মামলাগুলোতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য তারা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি। তিনি প্রশ্ন তোলেন— ট্রাইব্যুনাল ও অন্যান্য আদালতে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে পারলে দুর্নীতির মামলায় কেন পারবেন না?

আবেদনে আরও বলা হয়, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তারা।

রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুদক।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সদস্য কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

সম্প্রতি এসব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে।

ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে শেখ হাসিনার এসব মামলার বিচার চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেটার ‘বিশ্বস্ত’ সংস্থার সহায়তায় আমি নিজেই একটি প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন চালিয়েছি

শেখ হাসিনার হয়ে লড়তে চেয়েও আদালতের অনুমতি পাননি চার আইনজীবী

০৪:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চেয়েছিলেন চারজন আইনজীবী। কিন্তু আইনে সুযোগ না থাকায় আদালত তাদের অনুমতি দেননি।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এই আদেশ দেন।

শুনানিতে বিচারক বলেন, আসামিকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। আসামি আদালতে হাজির হলে তবেই আইনজীবীরা তার হয়ে কথা বলতে পারবেন। অন্যথায় তাদের আইনজীবী হিসেবে লড়ার সুযোগ নেই।

ওই চার আইনজীবী হলেন— মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও তপু।

আইনজীবীদের পক্ষ থেকে শাহীন জানান, শেখ হাসিনার মামলাগুলোতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য তারা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি। তিনি প্রশ্ন তোলেন— ট্রাইব্যুনাল ও অন্যান্য আদালতে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে পারলে দুর্নীতির মামলায় কেন পারবেন না?

আবেদনে আরও বলা হয়, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তারা।

রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুদক।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সদস্য কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

সম্প্রতি এসব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে।

ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে শেখ হাসিনার এসব মামলার বিচার চলছে।