যে রাশি ধরা হইয়াছিল অর্থাৎ ৩ ইহার সহিত উ, ই এবং যোগ করা হইল, অর্থাৎ ৪,২, যোগফল হইল টু’।
ন্যাসঃ। শুণঃ ৫। স্বত্রিভাগঃ উ। হরঃ ১০। রাখ্যাংশাঃ উইউ দৃশ্যম্ ৬৮ অত্র কিল কল্পিত রাশিঃ ৩। পঞ্চস্নঃ ১৫। স্বত্রিভাগোনঃ। দশভক্তঃ ১। কল্পিত ৩ রাশেদ্ব্যংশার্থপ্যাদৈঃ ৪, ৩, ৪ সমন্বিতো হরো জাতঃ টু’ অথ দৃষ্টম্। ৬৮।। ইষ্টেন ৩। গুণিতম ১০৪০’ হরেণ ভক্তং জাতো রাশিঃ ৪৮।
এবং সর্ব্বত্রোদাহরণে রাশিঃ কেন চিদগুণিতো ভক্তো বা রাখাংশেন রহিতো যুতো বা ইষ্টস্তত্রেষ্টং রাশিং প্রকল্প্য তস্মিন্ন দেশকালাপবৎকৰ্ম্মণি কৃতে যঙ্গিপদ্যতে তেন দৃষ্ট মিষ্টগুণং ফলং রাশিঃ স্যাৎ।
অনুবাদ-বর্ণনা: দ্বারা গুণ। উ তাহা হইতে বিয়োগ। দশ দ্বারা ভাগ। যোগ করিতে হইবে। নির্ণেয় রাশি ৬৮ হইবে। ধরিয়া পরে ইহার সহিত উই লওয়া হইল রাশি ৩। ৫ দিয়া গুণ করা হইল=১৫। একের তিন অংশ বাদ দেওয়া হইল-১০। দশ দ্বারা ভাগ করা হইল-১। যে রাশি ধরা হইয়াছিল অর্থাৎ ৩ ইহার সহিত উ, ই এবং যোগ করা হইল, অর্থাৎ ৪,২, যোগফল হইল টু’। ৬৮কে ইহার দ্বারা ভাগ করা হইল। অতএব ৬৮০৩+১=৪৮। এইভাবে যে কোন রাশি এক ধরিয়া লইলে সকল ক্ষেত্রেই একই রকম হইবে।
এইভাবে যে কোন রাশি গ্রহণ করিলে এবং তাহাকে গুণ করিলে অথবা যে কোন ভগ্নাংশ লইয়া যোগ করিলে বা বিয়োগ করিলে যে রাশি ধরিয়া লওয়া হইয়াছিল তাহাই হইবে। যে ফল হইবে তাহাকে প্রদত্ত রাশি দ্বারা ভাগ করিলে ভাগফল সেই অনুসন্ধেয় রাশি হইবে।
উপরোক্ত উদাহরণটি আধুনিক ৰীজগণিতের ভাষায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায়-

দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য এই উদাহরণটির পর আর একটি উদাহরণ দিয়েছেন। উদাহরণটি হচ্ছে এইরকম-
“মুখার্দ্ধং সত্রিভাগং বন বিচরবৃতং কুজ্ঞরাণাঞ্চ ইষ্টং যড়ভাগশ্চৈব ন্যাং পিবতি চ সলিলং সপ্তমাংশেন মিশ্রঃ। পদ্মিন্যা চার্জমাংশঃ স্বনবম সহিতঃ ক্রীড়তে মানুরাগো নাগেন্দ্রা হস্তিনীভিস্ত্রিস্বভি রনুগতঃ কা ভবেৎ যুখসঙ্খ্যা।” অর্থাৎ একটি হস্তির দল হইতে ইহার তৃতীয়াংশ হইতে অর্ধেক বন মধ্যে বিচরণ করিতেছিল। ইহার সপ্তমাংশের সহিত একের ষষ্ঠাংশ নদীতে জলপান করিতে গিয়াছিল।
(চলবে)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 



















