০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

তুনহুয়াংয়ে আতিথেয়তার নতুন মাত্রা

তুনহুয়াং শহর মানেই ইতিহাস, মরুভূমির রহস্য আর রেশমপথের গল্প। এই প্রাচীন শহরের সৌন্দর্যে এবার যোগ হলো আধুনিক বিলাসিতার নতুন অধ্যায়, ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। আপস- এই সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা হোটেলটি যেন তুনহুয়াংয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একেবারে সঙ্গে মিশে গেছে।

মিংশা মাউন্টেন আর ক্রিসেন্ট লেক থেকে হাঁটাপথের দূরত্বে, আর আশেপাশেই রয়েছে তুনহুয়াং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার ও গ্র্যান্ড থিয়েটার। ফলে ভ্রমণ কিংবা ব্যবসা যেকোনো কারণেই এখানে আসা ভীষণ সুবিধাজনক।

এই হোটেলের প্রতিটি কোণ যেন গল্প বলে। প্রবেশদ্বারে চোখে পড়ে সোনালী পাতায় খচিত প্রাচীন ‘তিন খরগোশের কান ভাগাভাগি’ মোটিফ। ভেতরে ঢুকলেই মোগাও গুহার চিত্রকলা আর আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি শান্ত এক পরিবেশ। সরল রেখা, রঙ আর উড়ন্ত দেবতার চিত্র যেন আপনাকে ধ্যানমগ্ন করে তুলবে।

এই হোটেলে মাত্র ৬৯টি গেস্ট রুম কিন্তু প্রতিটি আলাদা বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। গুহাচিত্র, সিল্ক রোডের সংস্কৃতি, মরুভূমির প্রতীক আর বৌদ্ধ দর্শনের ছাপ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক প্রশান্ত অভিজ্ঞতা। যেন ক্যামেল বেলসের টুংটাং শব্দে ভেসে যাচ্ছে সময়।

হোটেলের রেস্টুরেন্টগুলোও আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। দিনের শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী সিনোমোরিয়াম পোরিজ দিয়ে। প্রাচীন রাজদরবারি রান্নার আধুনিক রূপ দেখা যায় এখানে।স্থানীয় অ্যাপোসিনাম চা আর কারুশিল্পে তৈরি পেস্ট্রিও পাওয়া যায় এখানে। প্রতিটি পদ যেন স্বাদের পাশাপাশি ইতিহাসেরও ভ্রমণ করায়।

২০০ বর্গমিটারের মাল্টিফাংশনাল হল একসঙ্গে ৮০ জন অতিথিকে জায়গা দিতে পারে। আধুনিক অডিও-ভিজ্যুয়াল সুবিধা আর কাস্টমাইজড কেটারিং, যা কর্পোরেট মিটিং কিংবা ব্যক্তিগত উদযাপন, সবকিছুর জন্যই উপযুক্ত।

এই হোটেল শুধু বিলাসিতা নয়, দেয় মানসিক শান্তিরও ব্যবস্থা। আয়েস করে বিশ্রাম নেওয়ার কক্ষ, খোলা আকাশের পুল, চা কক্ষ আর লাউঞ্জ বার, সব মিলিয়ে এটি যেন এক সাংস্কৃতিক আশ্রয়।

তুনহুয়াং-এর ঐতিহাসিক ঐশ্বর্য আর আধুনিক আতিথেয়তার চমৎকার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। বলা যায়, উত্তর-পশ্চিম চীনের আতিথেয়তা জগতে এটি এক নতুন মানদণ্ড।

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

তুনহুয়াংয়ে আতিথেয়তার নতুন মাত্রা

০৫:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তুনহুয়াং শহর মানেই ইতিহাস, মরুভূমির রহস্য আর রেশমপথের গল্প। এই প্রাচীন শহরের সৌন্দর্যে এবার যোগ হলো আধুনিক বিলাসিতার নতুন অধ্যায়, ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। আপস- এই সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা হোটেলটি যেন তুনহুয়াংয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একেবারে সঙ্গে মিশে গেছে।

মিংশা মাউন্টেন আর ক্রিসেন্ট লেক থেকে হাঁটাপথের দূরত্বে, আর আশেপাশেই রয়েছে তুনহুয়াং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার ও গ্র্যান্ড থিয়েটার। ফলে ভ্রমণ কিংবা ব্যবসা যেকোনো কারণেই এখানে আসা ভীষণ সুবিধাজনক।

এই হোটেলের প্রতিটি কোণ যেন গল্প বলে। প্রবেশদ্বারে চোখে পড়ে সোনালী পাতায় খচিত প্রাচীন ‘তিন খরগোশের কান ভাগাভাগি’ মোটিফ। ভেতরে ঢুকলেই মোগাও গুহার চিত্রকলা আর আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি শান্ত এক পরিবেশ। সরল রেখা, রঙ আর উড়ন্ত দেবতার চিত্র যেন আপনাকে ধ্যানমগ্ন করে তুলবে।

এই হোটেলে মাত্র ৬৯টি গেস্ট রুম কিন্তু প্রতিটি আলাদা বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। গুহাচিত্র, সিল্ক রোডের সংস্কৃতি, মরুভূমির প্রতীক আর বৌদ্ধ দর্শনের ছাপ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক প্রশান্ত অভিজ্ঞতা। যেন ক্যামেল বেলসের টুংটাং শব্দে ভেসে যাচ্ছে সময়।

হোটেলের রেস্টুরেন্টগুলোও আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। দিনের শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী সিনোমোরিয়াম পোরিজ দিয়ে। প্রাচীন রাজদরবারি রান্নার আধুনিক রূপ দেখা যায় এখানে।স্থানীয় অ্যাপোসিনাম চা আর কারুশিল্পে তৈরি পেস্ট্রিও পাওয়া যায় এখানে। প্রতিটি পদ যেন স্বাদের পাশাপাশি ইতিহাসেরও ভ্রমণ করায়।

২০০ বর্গমিটারের মাল্টিফাংশনাল হল একসঙ্গে ৮০ জন অতিথিকে জায়গা দিতে পারে। আধুনিক অডিও-ভিজ্যুয়াল সুবিধা আর কাস্টমাইজড কেটারিং, যা কর্পোরেট মিটিং কিংবা ব্যক্তিগত উদযাপন, সবকিছুর জন্যই উপযুক্ত।

এই হোটেল শুধু বিলাসিতা নয়, দেয় মানসিক শান্তিরও ব্যবস্থা। আয়েস করে বিশ্রাম নেওয়ার কক্ষ, খোলা আকাশের পুল, চা কক্ষ আর লাউঞ্জ বার, সব মিলিয়ে এটি যেন এক সাংস্কৃতিক আশ্রয়।

তুনহুয়াং-এর ঐতিহাসিক ঐশ্বর্য আর আধুনিক আতিথেয়তার চমৎকার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। বলা যায়, উত্তর-পশ্চিম চীনের আতিথেয়তা জগতে এটি এক নতুন মানদণ্ড।