০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতে স্টিল পাইপ নির্মাতায় হানা—বিড রিগিং তদন্তে তল্লাশি” পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত জাতিসংঘের উদ্ভাবন সূচকে শীর্ষ-১০—জার্মানিকে সরিয়ে চীন ইইউর ১৯তম রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ স্থগিত—পরিধি নিয়ে মতভেদ অ্যামাজনের হার্ডওয়্যার ইভেন্ট ৩০ সেপ্টেম্বর—ইকো, ফায়ার টিভি, কিন্ডলে চমক টিকটক সমাধানে ‘ফ্রেমওয়ার্ক’—যুক্তরাষ্ট্রে চালু রাখতে অরাকলসহ কনসোর্টিয়াম স্কারবরো শোলে ফিলিপাইনি জাহাজে চীনের ওয়াটার ক্যানন রুশ হামলায় জাপোরিঝিয়ায় একজন নিহত, বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ফেড সুদ কমাতে পারে—এশিয়া শেয়ারে নতুন উত্থান চীনের বৈশ্বিক বন্দর প্রভাব কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের বড়সড় সামুদ্রিক উদ্যোগ

তুনহুয়াংয়ে আতিথেয়তার নতুন মাত্রা

তুনহুয়াং শহর মানেই ইতিহাস, মরুভূমির রহস্য আর রেশমপথের গল্প। এই প্রাচীন শহরের সৌন্দর্যে এবার যোগ হলো আধুনিক বিলাসিতার নতুন অধ্যায়, ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। আপস- এই সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা হোটেলটি যেন তুনহুয়াংয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একেবারে সঙ্গে মিশে গেছে।

মিংশা মাউন্টেন আর ক্রিসেন্ট লেক থেকে হাঁটাপথের দূরত্বে, আর আশেপাশেই রয়েছে তুনহুয়াং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার ও গ্র্যান্ড থিয়েটার। ফলে ভ্রমণ কিংবা ব্যবসা যেকোনো কারণেই এখানে আসা ভীষণ সুবিধাজনক।

এই হোটেলের প্রতিটি কোণ যেন গল্প বলে। প্রবেশদ্বারে চোখে পড়ে সোনালী পাতায় খচিত প্রাচীন ‘তিন খরগোশের কান ভাগাভাগি’ মোটিফ। ভেতরে ঢুকলেই মোগাও গুহার চিত্রকলা আর আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি শান্ত এক পরিবেশ। সরল রেখা, রঙ আর উড়ন্ত দেবতার চিত্র যেন আপনাকে ধ্যানমগ্ন করে তুলবে।

এই হোটেলে মাত্র ৬৯টি গেস্ট রুম কিন্তু প্রতিটি আলাদা বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। গুহাচিত্র, সিল্ক রোডের সংস্কৃতি, মরুভূমির প্রতীক আর বৌদ্ধ দর্শনের ছাপ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক প্রশান্ত অভিজ্ঞতা। যেন ক্যামেল বেলসের টুংটাং শব্দে ভেসে যাচ্ছে সময়।

হোটেলের রেস্টুরেন্টগুলোও আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। দিনের শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী সিনোমোরিয়াম পোরিজ দিয়ে। প্রাচীন রাজদরবারি রান্নার আধুনিক রূপ দেখা যায় এখানে।স্থানীয় অ্যাপোসিনাম চা আর কারুশিল্পে তৈরি পেস্ট্রিও পাওয়া যায় এখানে। প্রতিটি পদ যেন স্বাদের পাশাপাশি ইতিহাসেরও ভ্রমণ করায়।

২০০ বর্গমিটারের মাল্টিফাংশনাল হল একসঙ্গে ৮০ জন অতিথিকে জায়গা দিতে পারে। আধুনিক অডিও-ভিজ্যুয়াল সুবিধা আর কাস্টমাইজড কেটারিং, যা কর্পোরেট মিটিং কিংবা ব্যক্তিগত উদযাপন, সবকিছুর জন্যই উপযুক্ত।

এই হোটেল শুধু বিলাসিতা নয়, দেয় মানসিক শান্তিরও ব্যবস্থা। আয়েস করে বিশ্রাম নেওয়ার কক্ষ, খোলা আকাশের পুল, চা কক্ষ আর লাউঞ্জ বার, সব মিলিয়ে এটি যেন এক সাংস্কৃতিক আশ্রয়।

তুনহুয়াং-এর ঐতিহাসিক ঐশ্বর্য আর আধুনিক আতিথেয়তার চমৎকার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। বলা যায়, উত্তর-পশ্চিম চীনের আতিথেয়তা জগতে এটি এক নতুন মানদণ্ড।

ভারতে স্টিল পাইপ নির্মাতায় হানা—বিড রিগিং তদন্তে তল্লাশি”

তুনহুয়াংয়ে আতিথেয়তার নতুন মাত্রা

০৫:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তুনহুয়াং শহর মানেই ইতিহাস, মরুভূমির রহস্য আর রেশমপথের গল্প। এই প্রাচীন শহরের সৌন্দর্যে এবার যোগ হলো আধুনিক বিলাসিতার নতুন অধ্যায়, ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। আপস- এই সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা হোটেলটি যেন তুনহুয়াংয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একেবারে সঙ্গে মিশে গেছে।

মিংশা মাউন্টেন আর ক্রিসেন্ট লেক থেকে হাঁটাপথের দূরত্বে, আর আশেপাশেই রয়েছে তুনহুয়াং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার ও গ্র্যান্ড থিয়েটার। ফলে ভ্রমণ কিংবা ব্যবসা যেকোনো কারণেই এখানে আসা ভীষণ সুবিধাজনক।

এই হোটেলের প্রতিটি কোণ যেন গল্প বলে। প্রবেশদ্বারে চোখে পড়ে সোনালী পাতায় খচিত প্রাচীন ‘তিন খরগোশের কান ভাগাভাগি’ মোটিফ। ভেতরে ঢুকলেই মোগাও গুহার চিত্রকলা আর আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি শান্ত এক পরিবেশ। সরল রেখা, রঙ আর উড়ন্ত দেবতার চিত্র যেন আপনাকে ধ্যানমগ্ন করে তুলবে।

এই হোটেলে মাত্র ৬৯টি গেস্ট রুম কিন্তু প্রতিটি আলাদা বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। গুহাচিত্র, সিল্ক রোডের সংস্কৃতি, মরুভূমির প্রতীক আর বৌদ্ধ দর্শনের ছাপ মিলেমিশে তৈরি করেছে এক প্রশান্ত অভিজ্ঞতা। যেন ক্যামেল বেলসের টুংটাং শব্দে ভেসে যাচ্ছে সময়।

হোটেলের রেস্টুরেন্টগুলোও আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। দিনের শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী সিনোমোরিয়াম পোরিজ দিয়ে। প্রাচীন রাজদরবারি রান্নার আধুনিক রূপ দেখা যায় এখানে।স্থানীয় অ্যাপোসিনাম চা আর কারুশিল্পে তৈরি পেস্ট্রিও পাওয়া যায় এখানে। প্রতিটি পদ যেন স্বাদের পাশাপাশি ইতিহাসেরও ভ্রমণ করায়।

২০০ বর্গমিটারের মাল্টিফাংশনাল হল একসঙ্গে ৮০ জন অতিথিকে জায়গা দিতে পারে। আধুনিক অডিও-ভিজ্যুয়াল সুবিধা আর কাস্টমাইজড কেটারিং, যা কর্পোরেট মিটিং কিংবা ব্যক্তিগত উদযাপন, সবকিছুর জন্যই উপযুক্ত।

এই হোটেল শুধু বিলাসিতা নয়, দেয় মানসিক শান্তিরও ব্যবস্থা। আয়েস করে বিশ্রাম নেওয়ার কক্ষ, খোলা আকাশের পুল, চা কক্ষ আর লাউঞ্জ বার, সব মিলিয়ে এটি যেন এক সাংস্কৃতিক আশ্রয়।

তুনহুয়াং-এর ঐতিহাসিক ঐশ্বর্য আর আধুনিক আতিথেয়তার চমৎকার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ওয়ান্ডা ভিস্তা কানমান তুনহুয়াং হোটেল। বলা যায়, উত্তর-পশ্চিম চীনের আতিথেয়তা জগতে এটি এক নতুন মানদণ্ড।