১৯৪০ সালে তিনি ঢাকায় তিনি ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজে ভর্তি হন।
প্রতিবেদনটি পড়ে আইনস্টাইন অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি বোসের প্রতিবেদনটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন এবং বোসের ইচ্ছানুযায়ী মর্যাদাকর জার্মান পদার্থবিদ্যা সাময়িকী “Zeitschrift fur Physik”-এ প্রকাশ করেন, গ্রন্থকার: “বোস”।
বোসের প্রতি আইনস্টাইনের আনুকূল্য প্রদর্শনের আরেকটি কারণ ছিল যে ১৯১৯ সালে বোস তাঁর “আপেক্ষিক তত্ত্ব”-এর ইংরেজি অনুবাদ ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করেছিলেন। (চিঠিতে, নিজের পরিচয় দিতে বোস আইনস্টাইনকে (মেঘনাথ সাহার সঙ্গে) আপেক্ষিক তত্ত্বের ইংরেজিতে অনুবাদ ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু, লন্ডন ১৯২৫ সাল।
সৌজন্যে: উইকিমিডিয়া কমনস; পাবলিক ডমেইন।
বোসের এই প্রতিবেদনটি “বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান” বা স্ট্যাটিস্টিক্স নামে পরিচিত। ইউরোপের বিখ্যাত গবেষণাগারগুলোতে- আইনস্টাইন ও ম্যাডাম মেরি কুরি-র সঙ্গে গবেষণাকর্মে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পান ফিরে আসেন। বোসের ডক্টরেট ডিগ্রী ছিল না, তিনি পর্দার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করেননি, বোস। ইউরোপে দুই বছর কাটানোর পরে ১৯২৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সে কাজ করেন। আইনস্টাইনের সুপারিশক্রমে তিনি প্রফেসরশিপের পোস্ট অ্যাপ্লাইড ম্যাথেমেটিক্স নিয়ে পড়াশুনো করেন তিনি, পরে ম্যাথেমেটিকেল পান এবং পরে পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান হন।
প্রফেসর করিমের জন্ম বরিশালের এক কৃষক পরিবারে, ১৯২৫ সালে। স্বল্পবয়সে তিনি গ্রামের বাজারে শাকসব্জি বিক্রি করেছেন। ১৯৪০ সালে তিনি ঢাকায় তিনি ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজে ভর্তি হন। সেসময়ে ঢাকা কলেজ ছিল প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন এবং কলেজে পড়বেন বলে ঢাকায় আসেন। রাস্তার ওপারে কার্জন হলের উল্টোদিকে।
ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে প্রফেসর করিম জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ঠিক এই সময়ে কমিউনিস্ট করিম পুনরুক্তি করেন যে “ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় আমি যতটা না পার্টি তাঁকে পাকড়াও করে দলে টেনে নেয়। তা হলেও, আত্মজীবনীতে প্রফেসর কমিউনিস্ট, তার চেয়ে বেশি জাতীয়তাবাদী ছিলাম”।
(চলবে)