০২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
শরীর হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া রোগ জিবিএস, লক্ষণ আর চিকিৎসা কী শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর ২৭ ঘণ্টায় যা যা ঘটেছিল সন্তান লালনপালনে আসল বিষয় হারিয়ে ফেলছে ‘প্যারেন্টিং’ ট্রেন্ড এক পরিবারের তিন প্রজন্ম ও এক টয়োটা করোলার জীবনযাত্রা উৎপাদন থেকে কৃষি—কানাডার শিল্পখাতে ডিজিটাল রূপান্তরের ঢেউ টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়াচ্ছে হেমোরয়েডের ঝুঁকি ৭৪ বছর বয়সে মারা গেলেন ব্যান্ডের মূল সদস্য ও ‘স্পেসম্যান’ হিসেবে পরিচিত এই সংগীত তারকা প্রতিদিনের ভুল বালিশে লুকিয়ে থাকা ঘাড় ও মেরুদণ্ডের বিপদ ,স্নায়ুর ক্ষতি তুফান এরহুরমান নির্বাচিত উত্তর সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট হামলা-প্রতিহামলার পর ইসরায়েল ও হামাসকে ফের আলোচনার টেবিলে আনতে ওয়াশিংটনের উদ্যোগ

ট্রেন থেকে নিক্ষেপিত ২,০০০ কিমি পাল্লার ভারতের ‘অগ্নি-প্রাইম’: কেন এই পরীক্ষা ঐতিহাসিক

ভারতের পারমাণবিক সক্ষম ‘অগ্নি-প্রাইম’ ক্ষেপণাস্ত্রটি চলন্ত ট্রেন থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয়েছে—বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ‘প্রথম ধরনের’ উৎক্ষেপণকে মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রেলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সক্ষমতা থাকা কয়েকটি নির্বাচিত দেশের সারিতে ভারত যুক্ত হলো।

অগ্নি-প্রাইম—প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র—বিশেষভাবে নকশা করা রেলকারে স্থাপিত ক্যানিস্টারযুক্ত লঞ্চ সিস্টেম থেকে নিক্ষেপ করা হয়, যা ভারতীয় রেলের একটি লোকোমোটিভ দ্বারা টেনে নেওয়া হচ্ছিল।

সিং ডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই অর্জন চলন্ত রেল নেটওয়ার্ক থেকে ক্যানিস্টারযুক্ত লঞ্চ সিস্টেম বিকাশে ভারতের সক্ষমতাকে প্রমাণ করেছে এবং দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রসমূহের দলে নাম লিখিয়েছে।

কেন এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ

গুরুত্বের কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি নয়, বরং উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্মটি। প্রায় ৭০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতের রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এখন দেশজুড়ে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছড়িয়ে রাখা ও গোপন রাখা সম্ভব—শত্রু স্যাটেলাইটের নজর এড়াতে সেগুলোকে সুড়ঙ্গেও, প্রয়োজনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাখা যাবে। এতে প্রথম আঘাতের পরিস্থিতিতে দুর্বলতা কমে এবং সড়ক-সহায়তা ছাড়াই দুর্গম অঞ্চল থেকেও উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়।

অগ্নি-প্রাইম রেল উৎক্ষেপণ সম্পর্কে ৫টি তথ্য

১. ঐতিহাসিক প্রথম:
ভারত চলন্ত ট্রেন থেকে পারমাণবিক সক্ষম অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নিক্ষেপ করেছে—একে ‘প্রথম ধরনের’ উৎক্ষেপণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

২. বিশেষ ক্লাব:
এই পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে রেলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সক্ষমতা সম্পন্ন দেশের অভিজাত ক্লাবে ভারতও যোগ দিল।

৩. কৌশলগত সুবিধা:
২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন ভারতের ৭০,০০০ কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্ক জুড়ে মোতায়েন করা, সুড়ঙ্গে, লুকিয়ে রাখা এবং দূরবর্তী স্থান থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব—ফলে শনাক্ত করা কঠিন হবে।

৪. যুদ্ধকালীন প্রাধান্য:
রেলভিত্তিক ব্যবস্থা চমকপ্রদ আক্রমণ, দ্রুত গতিশীলতা এবং ছড়ানোছিটানো সংরক্ষণের সুযোগ দেয়—শত্রুর হামলায় সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হলে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।

৫. ঝুঁকিও আছে:
রেললাইনের ওপর নির্ভরতা, উৎক্ষেপণের নির্ভুলতায় সীমাবদ্ধতা এবং সংঘাতে রেল নেটওয়ার্ক নাশকতার ঝুঁকি—এসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবু বিশ্লেষকদের মতে, সুফলগুলো কুফলের চেয়ে বেশি।

সামাজিক মাধ্যমে সিং ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই সফল উড্ডয়ন পরীক্ষা ভারতের প্রতিক্রিয়া সময় কমিয়েছে ও দেশজুড়ে দ্রুত মোতায়েনের সুযোগ বাড়িয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরীক্ষার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে রেলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা গড়ে তুলল। উত্তর কোরিয়াও অনুরূপ সক্ষমতার দাবি করলেও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

কৌশলগত প্রান্তিকতা ও চ্যালেঞ্জ

রেলভিত্তিক লঞ্চার একাধিক সুবিধা দেয়—গতিশীলতা, আকস্মিকতা, বিস্তৃত উৎক্ষেপণ পয়েন্ট এবং যুদ্ধকালে অতিরিক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা। তবে সীমাবদ্ধতাও আছে: বিদ্যমান রেললাইনে সীমিত থাকা, নির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদে নিখুঁত ভেদক্ষমতা বজায় রাখা কঠিন হওয়া এবং সংঘাতে রেল অবকাঠামো নাশকতার ঝুঁকি। তবু প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঝুঁকির তুলনায় সুবিধাগুলোই বেশি কার্যকর—এটি ভারতে অধিক নমনীয়তা ও টিকে থাকার সক্ষমতা এনে দেয়।

শীতল যুদ্ধের উত্তরাধিকার

রেলকারভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নতুন কিছু নয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮০-এর দশকে আরটিই-২৩ ‘মোলোদেৎস’ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই ব্যবস্থা চালু করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রও ‘পিসকিপার রেল গ্যারিসন’ কর্মসূচি চালু করেছিল, যদিও শীতল যুদ্ধের অবসানের পর তা বাতিল করা হয়। রাশিয়া এখনো রেলকারভিত্তিক আইসিবিএম সংরক্ষণ করে আসছে।

ভারতের ক্ষেত্রে অগ্নি-প্রাইমের রেল উৎক্ষেপণ দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ সক্ষমতায় এক গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তন—যার ফলে এ সক্ষমতা কেবল সাইলো বা সড়কচলমান প্ল্যাটফর্মে সীমাবদ্ধ নয়; এমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠছে যা প্রতিপক্ষের নজরদারি এড়াতে বেশি সক্ষম।

এই উৎক্ষেপণ ভারতের অবস্থানকে এক অত্যন্ত নির্বাচিত ক্লাবে পৌঁছে দিয়েছে—যেখানে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম একত্রে যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীর হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া রোগ জিবিএস, লক্ষণ আর চিকিৎসা কী

ট্রেন থেকে নিক্ষেপিত ২,০০০ কিমি পাল্লার ভারতের ‘অগ্নি-প্রাইম’: কেন এই পরীক্ষা ঐতিহাসিক

০৫:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের পারমাণবিক সক্ষম ‘অগ্নি-প্রাইম’ ক্ষেপণাস্ত্রটি চলন্ত ট্রেন থেকে সফলভাবে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয়েছে—বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ‘প্রথম ধরনের’ উৎক্ষেপণকে মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রেলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সক্ষমতা থাকা কয়েকটি নির্বাচিত দেশের সারিতে ভারত যুক্ত হলো।

অগ্নি-প্রাইম—প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র—বিশেষভাবে নকশা করা রেলকারে স্থাপিত ক্যানিস্টারযুক্ত লঞ্চ সিস্টেম থেকে নিক্ষেপ করা হয়, যা ভারতীয় রেলের একটি লোকোমোটিভ দ্বারা টেনে নেওয়া হচ্ছিল।

সিং ডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই অর্জন চলন্ত রেল নেটওয়ার্ক থেকে ক্যানিস্টারযুক্ত লঞ্চ সিস্টেম বিকাশে ভারতের সক্ষমতাকে প্রমাণ করেছে এবং দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রসমূহের দলে নাম লিখিয়েছে।

কেন এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ

গুরুত্বের কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি নয়, বরং উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্মটি। প্রায় ৭০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারতের রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এখন দেশজুড়ে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছড়িয়ে রাখা ও গোপন রাখা সম্ভব—শত্রু স্যাটেলাইটের নজর এড়াতে সেগুলোকে সুড়ঙ্গেও, প্রয়োজনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাখা যাবে। এতে প্রথম আঘাতের পরিস্থিতিতে দুর্বলতা কমে এবং সড়ক-সহায়তা ছাড়াই দুর্গম অঞ্চল থেকেও উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়।

অগ্নি-প্রাইম রেল উৎক্ষেপণ সম্পর্কে ৫টি তথ্য

১. ঐতিহাসিক প্রথম:
ভারত চলন্ত ট্রেন থেকে পারমাণবিক সক্ষম অগ্নি-প্রাইম ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নিক্ষেপ করেছে—একে ‘প্রথম ধরনের’ উৎক্ষেপণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

২. বিশেষ ক্লাব:
এই পরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে রেলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সক্ষমতা সম্পন্ন দেশের অভিজাত ক্লাবে ভারতও যোগ দিল।

৩. কৌশলগত সুবিধা:
২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন ভারতের ৭০,০০০ কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্ক জুড়ে মোতায়েন করা, সুড়ঙ্গে, লুকিয়ে রাখা এবং দূরবর্তী স্থান থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব—ফলে শনাক্ত করা কঠিন হবে।

৪. যুদ্ধকালীন প্রাধান্য:
রেলভিত্তিক ব্যবস্থা চমকপ্রদ আক্রমণ, দ্রুত গতিশীলতা এবং ছড়ানোছিটানো সংরক্ষণের সুযোগ দেয়—শত্রুর হামলায় সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হলে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।

৫. ঝুঁকিও আছে:
রেললাইনের ওপর নির্ভরতা, উৎক্ষেপণের নির্ভুলতায় সীমাবদ্ধতা এবং সংঘাতে রেল নেটওয়ার্ক নাশকতার ঝুঁকি—এসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবু বিশ্লেষকদের মতে, সুফলগুলো কুফলের চেয়ে বেশি।

সামাজিক মাধ্যমে সিং ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই সফল উড্ডয়ন পরীক্ষা ভারতের প্রতিক্রিয়া সময় কমিয়েছে ও দেশজুড়ে দ্রুত মোতায়েনের সুযোগ বাড়িয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরীক্ষার ফলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে রেলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা গড়ে তুলল। উত্তর কোরিয়াও অনুরূপ সক্ষমতার দাবি করলেও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

কৌশলগত প্রান্তিকতা ও চ্যালেঞ্জ

রেলভিত্তিক লঞ্চার একাধিক সুবিধা দেয়—গতিশীলতা, আকস্মিকতা, বিস্তৃত উৎক্ষেপণ পয়েন্ট এবং যুদ্ধকালে অতিরিক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা। তবে সীমাবদ্ধতাও আছে: বিদ্যমান রেললাইনে সীমিত থাকা, নির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদে নিখুঁত ভেদক্ষমতা বজায় রাখা কঠিন হওয়া এবং সংঘাতে রেল অবকাঠামো নাশকতার ঝুঁকি। তবু প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এসব ঝুঁকির তুলনায় সুবিধাগুলোই বেশি কার্যকর—এটি ভারতে অধিক নমনীয়তা ও টিকে থাকার সক্ষমতা এনে দেয়।

শীতল যুদ্ধের উত্তরাধিকার

রেলকারভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নতুন কিছু নয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮০-এর দশকে আরটিই-২৩ ‘মোলোদেৎস’ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই ব্যবস্থা চালু করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রও ‘পিসকিপার রেল গ্যারিসন’ কর্মসূচি চালু করেছিল, যদিও শীতল যুদ্ধের অবসানের পর তা বাতিল করা হয়। রাশিয়া এখনো রেলকারভিত্তিক আইসিবিএম সংরক্ষণ করে আসছে।

ভারতের ক্ষেত্রে অগ্নি-প্রাইমের রেল উৎক্ষেপণ দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ সক্ষমতায় এক গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তন—যার ফলে এ সক্ষমতা কেবল সাইলো বা সড়কচলমান প্ল্যাটফর্মে সীমাবদ্ধ নয়; এমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠছে যা প্রতিপক্ষের নজরদারি এড়াতে বেশি সক্ষম।

এই উৎক্ষেপণ ভারতের অবস্থানকে এক অত্যন্ত নির্বাচিত ক্লাবে পৌঁছে দিয়েছে—যেখানে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম একত্রে যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ায়।