রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগামী কনফারেন্সের অধিবেশন মহররমের বন্ধের সময় ২৪ পরগণায় হওয়ার কথা সকলকে নিমন্ত্রণ করেন।
গোপালচন্দ্র উল্লেখ করেছেন, ক্রাউন থিয়েটারে বেলা দুটোয় প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল এবং রবীন্দ্রনাথ একটি দেশের গান গেয়েছিলেন। সেটি হলো ‘আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না…”। কিন্তু পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে তথ্যাটি সঠিক না, বেলা তিনটায় অধিবেশন শুরু হয়েছিল এবং রবীন্দ্রনাথ একটি দেশের গান গেয়েছিলেন এবং সেটি হচ্ছে- ‘বন্দে মাতরম’।
বাড়তি তথ্যটুকু হলো সভাপতি রেভারেন্ড কালীচরণ ইংরেজিতে বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “তাঁহার বক্তৃতার কাতকাংশের বাঙ্গালা অনুবাদ সুমধুর স্বরে প্রাঞ্জল ভাষায় পাঠ করেন…।”
দ্বিতীয় দিনেও রবীন্দ্রনাথ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গোপালচন্দ্র লিখেছেন, তিনি শুধু ঐদিন সুরেন্দ্রনাথের একটি প্রস্তাব বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। সেটি ঠিক, ভারতীতে তার উল্লেখ আছে, প্রতিবেদনে অবশ্য নেই। কিন্তু প্রতিবেদনে বাড়তি কিছু তথ্য আছে। যেমন-
“… সভাপতির অনুমতিক্রমে বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আগামী কনফারেন্সের অধিবেশন মহররমের বন্ধের সময় ২৪ পরগণায় হওয়ার কথা সকলকে নিমন্ত্রণ করেন। তিনি ভারত মাতার উদ্দেশ্যে একটি গান করিলেন এবং ধন্যবাদ প্রশংসাদির পরে এবারের মত কনফারেন্স সভা ভঙ্গ করা হয়।…
কনফারেন্সের বক্তৃতায় বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত প্রশংসা লাভ করাতে আমরা সুখী হইয়াছি। বাবু কালীচরণ ব্যানার্জি ও বাবু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির বক্তৃতার কোন কোন অংশ তিনি শ্রুতমাত্র সেই সভাস্থলে বসিয়াই এমনভাবে বঙ্গানুবাদ করিয়াছিলেন, যাহা পরে তদীয় সুকণ্ঠের পাঠ শুনিয়া সকলেই পুলকিত ও বিস্মিত হইয়াছেন।” উল্লেখ্য, তখন কবির বয়স মাত্র ৩৭বছর।
(চলবে)