১২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
সৌরশক্তিনির্ভর কৃষি পাকিস্তানকে জলসংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রিন্স উইলিয়াম ঘোষণা দিলেন: রাজা হলে রাজতন্ত্রে আসবে বড় পরিবর্তন ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে নতুন অধ্যায় — কৃষিপণ্য ও ওষুধে বাড়ছে রপ্তানি-আমদানির পরিকল্পনা মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৪৯) যুক্তরাজ্যে ইয়ম কিপুর হামলায় কাঁপন: নিহত ২, দেশজুড়ে ইহুদি উপাসনালয়ে কঠোর নিরাপত্তা বিন্দি আর্ভিনের হৃদস্পন্দন আমাদের সুন্দর গ্রহকে রক্ষার জন্য ইসলামাবাদ প্রেসক্লাবে পুলিশের অভিযান সিন্ধুতে বাঁধ ভাঙা নয়, ভৌগোলিক বাস্তবতাই পাকিস্তানের ভরসা  পাকিস্তানে বন্যা ও পশুর জন্যে জীবন মরণ লড়াই বন্য হাতির তাণ্ডব — থাইল্যান্ডের মুদি দোকানে ঢুকে নাশতা লুটপাট

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৩)

খানিকটা প্রকাশ করেছিলেন ভারতীতে-“কলিকাতার প্লেগ রেগুলেশন যে উগ্রমূর্তি ধারণ করিয়া উঠে নাই

গোপালচন্দ্র যা উল্লেখ করেছেন দ্বিতীয় অধিবেশন সম্পর্কে তা বেঠিক নয়। তবে তা এভাবে বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ এ অধিবেশনেই ‘ভারতমাতা’কে উদ্দেশ্য করে এই গানটি গেয়েছিলেন-

আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না

একি শুধু হাসি খেলা, প্রমোদের মেলা

শুধু মিছে কথা ছলনা।

আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না।

সভাপতি গান শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁকে ‘সুহা সিঙ্গার সব ইজরারেল’ বলে সম্বোধন করেন। গান-বাজনায় তখন ইজরায়েলিদেরই শ্রেষ্ঠ মনে করা হতো। এরপর এ অধিবেশনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্লেণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব করেছিলেন যার বঙ্গানুবাদ তিনি করেছিলেন। এর খানিকটা প্রকাশ করেছিলেন ভারতীতে-“কলিকাতার প্লেগ রেগুলেশন যে উগ্রমূর্তি ধারণ করিয়া উঠে নাই, সে জন্যে আমাদের নব বঙ্গাধিপের প্রতি বঙ্গদেশের কৃতজ্ঞতা উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিয়াছে।

যমদুতের উৎপীড়নের সহিত রাজদূতের বিভীষিকা যোগ হইলে প্রজাগণ একেবারে হতাশ হইয়া পড়িত। সতর্ক থাকিলে প্লেগের হস্ত অনেকে এড়াইবে, কিন্তু রেগুলেশনের হস্তে কাহারও রক্ষা নাই।”

ঢাকার শিখ সম্প্রদায়

সুজাতপুরে বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের পাশে গুরু দোয়ারাটিকেই [দ্র. প্রথম খণ্ড। আমরা মনে করতাম ঢাকা/পূর্ববঙ্গের একমাত্র শিখ নিদর্শন হিসেবে। কিন্তু এখন দেখছি এ ধারণাটি ঠিক নয়।

শিখদের মন্দির গুরু দোয়ারা। কিন্তু শিখ বা শুরু দোয়ারা নিয়ে মাথা ঘামাইনি। আরো পরে, যখন ঢাকা নিয়ে লেখালেখি শুরু করি তখন স্বাভাবিকভাবেই গুরু দোয়ারা নিয়ে কিছু জানার ইচ্ছে হয়। শুধু জানলাম সাত মসজিদ ও সঙ্গতটোলায় দুটি গুরু দোয়ারা ছিল কিন্তু তা এখন বিলুপ্ত। সঙ্গতটোলা নামটিই শুধু ঢাকায় এখন শিখদের স্মৃতি বহন করছে। আর দৃশ্যমান হলো সুজাতপুর অর্থাৎ কলা ভবনের পাশের গুরু দোয়ারিটি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯২)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯২)

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌরশক্তিনির্ভর কৃষি পাকিস্তানকে জলসংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৩)

০৭:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খানিকটা প্রকাশ করেছিলেন ভারতীতে-“কলিকাতার প্লেগ রেগুলেশন যে উগ্রমূর্তি ধারণ করিয়া উঠে নাই

গোপালচন্দ্র যা উল্লেখ করেছেন দ্বিতীয় অধিবেশন সম্পর্কে তা বেঠিক নয়। তবে তা এভাবে বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ এ অধিবেশনেই ‘ভারতমাতা’কে উদ্দেশ্য করে এই গানটি গেয়েছিলেন-

আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না

একি শুধু হাসি খেলা, প্রমোদের মেলা

শুধু মিছে কথা ছলনা।

আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না।

সভাপতি গান শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁকে ‘সুহা সিঙ্গার সব ইজরারেল’ বলে সম্বোধন করেন। গান-বাজনায় তখন ইজরায়েলিদেরই শ্রেষ্ঠ মনে করা হতো। এরপর এ অধিবেশনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্লেণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব করেছিলেন যার বঙ্গানুবাদ তিনি করেছিলেন। এর খানিকটা প্রকাশ করেছিলেন ভারতীতে-“কলিকাতার প্লেগ রেগুলেশন যে উগ্রমূর্তি ধারণ করিয়া উঠে নাই, সে জন্যে আমাদের নব বঙ্গাধিপের প্রতি বঙ্গদেশের কৃতজ্ঞতা উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিয়াছে।

যমদুতের উৎপীড়নের সহিত রাজদূতের বিভীষিকা যোগ হইলে প্রজাগণ একেবারে হতাশ হইয়া পড়িত। সতর্ক থাকিলে প্লেগের হস্ত অনেকে এড়াইবে, কিন্তু রেগুলেশনের হস্তে কাহারও রক্ষা নাই।”

ঢাকার শিখ সম্প্রদায়

সুজাতপুরে বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের পাশে গুরু দোয়ারাটিকেই [দ্র. প্রথম খণ্ড। আমরা মনে করতাম ঢাকা/পূর্ববঙ্গের একমাত্র শিখ নিদর্শন হিসেবে। কিন্তু এখন দেখছি এ ধারণাটি ঠিক নয়।

শিখদের মন্দির গুরু দোয়ারা। কিন্তু শিখ বা শুরু দোয়ারা নিয়ে মাথা ঘামাইনি। আরো পরে, যখন ঢাকা নিয়ে লেখালেখি শুরু করি তখন স্বাভাবিকভাবেই গুরু দোয়ারা নিয়ে কিছু জানার ইচ্ছে হয়। শুধু জানলাম সাত মসজিদ ও সঙ্গতটোলায় দুটি গুরু দোয়ারা ছিল কিন্তু তা এখন বিলুপ্ত। সঙ্গতটোলা নামটিই শুধু ঢাকায় এখন শিখদের স্মৃতি বহন করছে। আর দৃশ্যমান হলো সুজাতপুর অর্থাৎ কলা ভবনের পাশের গুরু দোয়ারিটি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯২)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯২)