০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই ব্যাংক একীভূতকরণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ: পদত্যাগ দাবি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২২)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 55

Juozas Urbšys) চুক্তি সই করেন ও চুক্তিবলে জার্মান রাইখের কাছে “ক্লাইপেডা” (Klaipeda) ভূখণ্ড সমর্পণের মাধ্যমে লিথুয়ানিয়া নন-অ্যাগ্রেশনের নিশ্চয়তা অর্জন করে।

মিউনিক চুক্তি সই করার ঠিক পরদিন, ত্রিশে সেপ্টেম্বর- ইংরেজ প্রধানমন্ত্রী আর্থার নেভিল চেইবারলেনের প্রস্তাব মতো যুক্তরাজ্য-জার্মানি শান্তিচুক্তি (৩০.০৯.১৯৩৮) স্বাক্ষরিত হয়। ফ্রান্সকে এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

ইত্যবসরে, প্যারিসে অনুষ্ঠিত পোলিশ রাষ্ট্রদূত লুকাসিয়েতিচের (Lukasiewicz) ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী “এডোয়ার্ড ডালাজিয়ের”-য়ের (Édouard Daladier) সঙ্গে দীর্ঘ বিস্তৃত ‘প্রশ্নোত্তর’ সেশন থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে পোল্যান্ডের আকাশে সোভিয়েত বিমান উড়লে পোল্যান্ড গুলিবিদ্ধ করে ভূপাতিত করতে দ্বিধা করবে না এবং জার্মানি যদি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, ফ্রান্সের সাহায্যে পোল্যান্ড ফ্রান্সকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না এবং পোল্যান্ড যে “পেছন থেকে আমাদের (ফ্রান্সের) পিঠে ছুরিকাঘাত করবে না” তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই কোনো ফ্রাঙ্কো-পোলিশ মৈত্রী চুক্তি সম্পাদিত হয় না।

৬ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালে (০৬.১২.১৯৩৮) যথাক্রমে ফ্রান্স ও জার্মানির দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী “বনেট” (Bonnet) এবং “রিবেনট্রপ” (Ribbentrop) ফ্রাঙ্কো-জার্মান অনাক্রমণ ঘোষণা সই করেন। ১৯৩৯ সালের ২২ মার্চ বার্লিনে- জার্মানি ও রিপাবলিক অব লিথুনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় (রিবেনট্রপ-ইয়োেজাস উর্বশিস, Juozas Urbšys) চুক্তি সই করেন ও চুক্তিবলে জার্মান রাইখের কাছে “ক্লাইপেডা” (Klaipeda) ভূখণ্ড সমর্পণের মাধ্যমে লিথুয়ানিয়া নন-অ্যাগ্রেশনের নিশ্চয়তা অর্জন করে।

একইভাবে, বাকি দুই বাল্টিক রিপাবলিক লাটভিয়া ও অ্যাস্তোনিয়া: ৭ জুন ১৯৩৯ সালে (০৭.০৬.১৯৩৯) জার্মান রাইখের সঙ্গে বার্লিনে অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদন করে। স্পষ্টত যে অ্যাংলো-ফরাসিরা তিন বাল্টিক রিপাবলিককে সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হয় এবং জার্মান রাইখ পূর্বমুখী অগ্রগতি বা অ্যাডভান্স অব্যাহত রাখে। জার্মান রাইখের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের ‘রেইসে’ সর্বশেষ দেশ হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মান রাইখের সঙ্গে ২৩ আগস্ট ১৯৩৯ সালে (২৩.০৮.১৯৩৯) রিবেট্রপ-মলোতভ চুক্তি নামক অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদিত হয়।

১৯৩৮ সালের ১১-১৩ মার্চের মধ্যে জার্মান কনফেডারেশনের প্রাক্তন সদস্য অস্ট্রিয়া (আনশুষ, Anschluss) জার্মান রাইখের অংশে পরিণত হয়। হাঙ্গেরি “অক্ষ বাহিনী”র দলে নাম লেখায়।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২১)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২১)

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২২)

০৯:০০:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Juozas Urbšys) চুক্তি সই করেন ও চুক্তিবলে জার্মান রাইখের কাছে “ক্লাইপেডা” (Klaipeda) ভূখণ্ড সমর্পণের মাধ্যমে লিথুয়ানিয়া নন-অ্যাগ্রেশনের নিশ্চয়তা অর্জন করে।

মিউনিক চুক্তি সই করার ঠিক পরদিন, ত্রিশে সেপ্টেম্বর- ইংরেজ প্রধানমন্ত্রী আর্থার নেভিল চেইবারলেনের প্রস্তাব মতো যুক্তরাজ্য-জার্মানি শান্তিচুক্তি (৩০.০৯.১৯৩৮) স্বাক্ষরিত হয়। ফ্রান্সকে এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

ইত্যবসরে, প্যারিসে অনুষ্ঠিত পোলিশ রাষ্ট্রদূত লুকাসিয়েতিচের (Lukasiewicz) ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী “এডোয়ার্ড ডালাজিয়ের”-য়ের (Édouard Daladier) সঙ্গে দীর্ঘ বিস্তৃত ‘প্রশ্নোত্তর’ সেশন থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে পোল্যান্ডের আকাশে সোভিয়েত বিমান উড়লে পোল্যান্ড গুলিবিদ্ধ করে ভূপাতিত করতে দ্বিধা করবে না এবং জার্মানি যদি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, ফ্রান্সের সাহায্যে পোল্যান্ড ফ্রান্সকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না এবং পোল্যান্ড যে “পেছন থেকে আমাদের (ফ্রান্সের) পিঠে ছুরিকাঘাত করবে না” তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই কোনো ফ্রাঙ্কো-পোলিশ মৈত্রী চুক্তি সম্পাদিত হয় না।

৬ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালে (০৬.১২.১৯৩৮) যথাক্রমে ফ্রান্স ও জার্মানির দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী “বনেট” (Bonnet) এবং “রিবেনট্রপ” (Ribbentrop) ফ্রাঙ্কো-জার্মান অনাক্রমণ ঘোষণা সই করেন। ১৯৩৯ সালের ২২ মার্চ বার্লিনে- জার্মানি ও রিপাবলিক অব লিথুনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয় (রিবেনট্রপ-ইয়োেজাস উর্বশিস, Juozas Urbšys) চুক্তি সই করেন ও চুক্তিবলে জার্মান রাইখের কাছে “ক্লাইপেডা” (Klaipeda) ভূখণ্ড সমর্পণের মাধ্যমে লিথুয়ানিয়া নন-অ্যাগ্রেশনের নিশ্চয়তা অর্জন করে।

একইভাবে, বাকি দুই বাল্টিক রিপাবলিক লাটভিয়া ও অ্যাস্তোনিয়া: ৭ জুন ১৯৩৯ সালে (০৭.০৬.১৯৩৯) জার্মান রাইখের সঙ্গে বার্লিনে অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদন করে। স্পষ্টত যে অ্যাংলো-ফরাসিরা তিন বাল্টিক রিপাবলিককে সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হয় এবং জার্মান রাইখ পূর্বমুখী অগ্রগতি বা অ্যাডভান্স অব্যাহত রাখে। জার্মান রাইখের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের ‘রেইসে’ সর্বশেষ দেশ হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মান রাইখের সঙ্গে ২৩ আগস্ট ১৯৩৯ সালে (২৩.০৮.১৯৩৯) রিবেট্রপ-মলোতভ চুক্তি নামক অনাক্রমণ চুক্তি সম্পাদিত হয়।

১৯৩৮ সালের ১১-১৩ মার্চের মধ্যে জার্মান কনফেডারেশনের প্রাক্তন সদস্য অস্ট্রিয়া (আনশুষ, Anschluss) জার্মান রাইখের অংশে পরিণত হয়। হাঙ্গেরি “অক্ষ বাহিনী”র দলে নাম লেখায়।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২১)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২১)