লঘু-ভাস্করীয়ের ভান্তকার হিসাবে শঙ্করনারায়ণ, পরমেশ্বর প্রমুখের নাম স্মরণীয়।
নারায়ণ পণ্ডিত (১৩৫০ খ্রীঃ) তাঁর গণিত কৌমুদী এবং বীজগণিতবতাংশ গ্রন্থন্বয়ে একমাত্রার সমীকরণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছেন। কমলাকর (১৬৫৮ নীঃ) তাঁর সিদ্ধান্ত তত্ত্ববিবেক গ্রন্থে এটি পূর্বের পদ্ধতির সাহায্যেই একমাত্রার অনির্ণেয় সমীকরণ সমাধান করেছেন। এঁরা ছাড়াও আরও বহু গণিতবিদ আছেন যাঁরা এই সমীকরণটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এঁরা অধিকাংশই অবশ্য আর্যভটীয়, মহা-
ভারতীয় একমাত্রার সমীকরণ সম্পর্কে আধুনিক সমালোচকদের বিচার বিশ্লেষণ ২১৯১ ভাস্করীয়, ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত, সিদ্ধান্ত শেখর, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের বীজগণিত প্রভৃতি গ্রন্থ সমূহের টীকাকার হিসাবেই প্রসিদ্ধ এবং এই গ্রন্থগুলির টীকা করতে গিয়েই প্রসঙ্গক্রমে একমাত্রার সমীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আর্যভটীয়ের ভাষ্মকার যাঁরা একমাত্রার সমীকরণ নিয়ে ভাষ্য দিয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে প্রভাকর, সোমেশ্বর, সূর্যদেব যজ, যত্ন, নীলকণ্ঠ সোমাজত্বন, রঘুনাথ রাজ, মাধব, পরমেশ্বর, গতিগোপ, ভুতিবিষ্ণু, কদন্দরাম প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। মহাভাস্করীয়ের ভাষ্যকার হিসাবে গোবিন্দস্বামী, সূর্যদেব, মক্ষীভট্ট, পরমেশ্বর প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। লঘু-ভাস্করীয়ের ভান্তকার হিসাবে শঙ্করনারায়ণ, পরমেশ্বর প্রমুখের নাম স্মরণীয়। ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তের টীকাকার হিসাবে পৃথুদকস্বামীর নাম উল্লেখযোগ্য।
দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের বীজগণিতের বহু ভান্তকার আছেন। এঁদের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ দৈবজ্ঞের নাম উল্লেখযোগ্য। দেবরাজ শুধুমাত্র অনির্ণেয় সমীকরণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এ সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ কুট্টকার শিরোমণি প্রণয়ন করেন।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৯২)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 



















