সব ধরনের মানুষদের সঙ্গে তখন শিখরাও এসেছিলেন বিশেষ করে বিহার ও উত্তর ভারত থেকে নানকপন্থিরা।
অষ্টাদশ শতকের শুরুতে ঢাকা ছিল বিশ্বের দ্বাদশতম বৃহত্তর নগরী। সুতরাং, ঢাকার বৈভব অনুমেয়। রোজগারের ধান্ধায় ও সম্পদের আশায় শুধু ভারতবর্ষ নয়, ভারতবর্ষের নাইরে থেকেও মানুষজন আসতে লাগলেন। নানা ধর্মের, নানা বর্ণের মানুষ অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত ঢাকায় অভিবাসী হয়েছেন।
মুঘল রাজারা তখন ধর্মীয় দিক থেকে অনেকটা সহনশীল ছিলেন বিধায় মানুষজন নিজ নিজ ধর্ম পালনে খুব একটা বাধা তখন পাননি। ঢাকা পরিণত হয়েছিল এক মেট্রোপলিটন শহরে। গুরু বখশ জানাচ্ছেন, উত্তর ভারত থেকে অভিবাসন বেশি হয়েছিল এবং শায়েস্তা খান (১৬৬৪-১৬৭৮২ ১৬৮০-১৬৮৮) জানাচ্ছেন, বাংলার এটি হচ্ছে হিন্দুস্তানি ভাষার এক টুকরো বা অংশ।
শুধু তাই নয়, মুঘলরাও অভিবাসনে উৎসাহ জুগিয়েছেন। বহু বর্ণের, বহু ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করায় এক ধরনের উদারনীতি চালু ছিল। সব ধরনের মানুষদের সঙ্গে তখন শিখরাও এসেছিলেন বিশেষ করে বিহার ও উত্তর ভারত থেকে নানকপন্থিরা।
তারা বিভিন্ন জায়গায় সঙ্গত গড়ে তুলেছিলেন। এইসব সঙ্গত শুধু উপাসনালয়ই ছিল না এক ধরনের আশ্রয় কেন্দ্র বা সরাইখানাও ছিল। বৈরাগী সঙ্গও ছিল। এটি নানকপন্থিদের থেকে আলাদা ছিল, বলা যেতে পারে শিখ সাধুদের আখড়া। । সরকারের কাঠামোর ধরনেই এগুলো পরিচালিত হতো।
(চলবে)