সশস্ত্রবাহিনীতে যারাই যোগদান করেন তাদের সবাইকে পাটি ছাড়তে বলা হয়।
আনাতোলের পছন্দের বিষয় ছিল “গাণিতিক পদার্থবিদ্যা” বা ম্যাথেমেটিকেল ফিজিক্স, কিন্তু হলে কি হবে পদার্থবিদ্যা বিষয়ে তাঁর পর্যাপ্ত জানাশোনা ছিল না। তাই তিনি বীজগাণিতিক “নাম্বার থিয়োরি”-এ উপরে জোর দেন। ১৯৪১ সালের ৫ ডিসেম্বর আনাতোল গণিতে পিএইচডি পরীক্ষায় মৌখিক অংশে পাশ করেন।
পরদিন ১ ডিসেম্বর জাপান পার্ল হারবার আক্রমণ করে। ফলে, আর সব করণদের সঙ্গে আনাতোল-ও দেশের সেবার জন্য মার্কিন নেভিতে যোগদানের তালিকায় নাম লেখান।
আনাতোলের চোখের সমস্যা ছিল, তিনি দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতেন না অর্থাৎ আনাতোল ছিলেন ‘শর্ট সাইটেড”। ফলস্বরূপ, ‘ফিজিক্যাল ইগজ্যামে’ বা পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন, ফেল করেন। ফলে তিনি নেভিতে যোগদান। করতে পারেন না। তাকে করে তিনি খুব হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, পড়াটাছ আলাবামায় অবস্থিত ম্যাক্সওয়েল এয়ারফোর্স খাঁটিতে পদার্থবিদ্যা ও গণিত স্বাভাবিক। কবে ওঁর কপাল ভালো যে খুব কম সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পড়ানোর চাকরি পেয়ে যান। সেখানে তিনি অসামরিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৪১ সালে আনাতোল কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে দেন। ছেড়ে দেন কেনো-র কারণ বলতে আনাতোল বলেন: “১৯৪১ সালের ডিসেম্বর মাসে পার্টি ছেড়ে দেয়ার কারণ কিন্তু এই নয় যে পার্টি সম্বন্ধে আমার মোহমুক্তি ঘটে বরং ওনারা (কর্তৃপক্ষ) আমাকে পার্টি ছাড়তে বলেন। কেবলমাত্র আমাকেই নয়, সশস্ত্রবাহিনীতে যারাই যোগদান করেন তাদের সবাইকে পাটি ছাড়তে বলা হয়।
যবে থেকে জার্মানরা সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে সেই মুহূর্ত থেকে যুদ্ধ ঠেকানোর কর্মোদ্যমকে “পার্টি” সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছিল। আমাদেরকে ব্যাখ্যা করে বলা হয় যে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে- কমিউনিস্টদের আনুগত্য নিয়ে যাতে মতানৈক্য কি সন্দেহ সৃষ্টির কোনো ফাঁকফোকর না থাকে সেটি রোধ করার জন্য পার্টি ত্যাগের দাবি করা হয়েছে।”
(চলবে)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-২৩)
নাঈম হক 



















