০২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা অ্যাশেজ ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া মাত্র এগারো দিনে, কথিত দুর্বল দলেই ইংল্যান্ডকে ধস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৭)

তারা জেলা বোর্ডের কাছে আবেদন জানায় কূপটি সংস্কারের জন্য। জেলা বোর্ড কূপটি সংস্কার করে দিয়েছিল।

পুকুরের পাশে একটি বরদারি। কুপটি পরিচিত গুরু নানকের কূপ বা কুয়ো নামে। জনশ্রুতি অনযায়ী গুরু নানক এই কুয়ো থেকে পানি পান করতেন। তিনি নাকি তার হাতের লাঠি দিয়ে রূপটি খনন করেছিলেন। ঢাকার সবচেয়ে দৃশ্যমান পুরনো স্থাপত্য বিনতবিবির ও আরেকটি মসজিদ ছাড়া এটিই ছিল ঢাকার প্রাচীন স্থাপত্যিক নিদর্শন। নাসিরুদ্দীন মোহাম্মদের সময় ১৪৫৮ সালে বিনতবিবির মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।

চৈত্র মাসে এই কূপকে ঘিরে মেলা বসতো। ওই সময় মাছ মাংস খাওয়া হতো না। অনেকে বিশ্বাস করতেন, এই কুয়োর পানি অসুখ-বিসুখ সারায়। ক্রমেই এটি লুপ্ত হওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায়। ওই সময় একটি শিখ রেজিমেন্ট ওই জায়গায় কয়েকদিনের জন্য তাঁবু পেতেছিল। তারা জেলা বোর্ডের কাছে আবেদন জানায় কূপটি সংস্কারের জন্য। জেলা বোর্ড কূপটি সংস্কার করে দিয়েছিল।

এরপর আসে সুজাতপুরের গুরু দোয়ারার কথা। ইসলাম খাঁ ঢাকায় রাজধানী স্থাপনের পর সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় ষষ্ঠ শুরু আলমাস্ট নামে একজনকে ঢাকায় পাঠান। তিনিই এই গুরু দোয়ারার পত্তন করেন। আলমাস্টের পর নাথি সাহেব এর দায়িত্ব পান। তিনি ছিলেন তৃতীয়। দ্বিতীয়জনের নাম পাওয়া যায়নি। সেই থেকে নাথি সাহেবের নামেই গুরু দোয়ারিটি পরিচিত। এর ফলকে লেখা আছে- সত্য ঈশ্বর, স্রষ্টার এবং গুরু নানকের নামে, আলমাস্ট রাজের নানকসভার গুরু গদ্দি। সুজাতপুরের নাথি সাহেবের সঙ্গত।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৬)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৭)

০৭:০০:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

তারা জেলা বোর্ডের কাছে আবেদন জানায় কূপটি সংস্কারের জন্য। জেলা বোর্ড কূপটি সংস্কার করে দিয়েছিল।

পুকুরের পাশে একটি বরদারি। কুপটি পরিচিত গুরু নানকের কূপ বা কুয়ো নামে। জনশ্রুতি অনযায়ী গুরু নানক এই কুয়ো থেকে পানি পান করতেন। তিনি নাকি তার হাতের লাঠি দিয়ে রূপটি খনন করেছিলেন। ঢাকার সবচেয়ে দৃশ্যমান পুরনো স্থাপত্য বিনতবিবির ও আরেকটি মসজিদ ছাড়া এটিই ছিল ঢাকার প্রাচীন স্থাপত্যিক নিদর্শন। নাসিরুদ্দীন মোহাম্মদের সময় ১৪৫৮ সালে বিনতবিবির মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।

চৈত্র মাসে এই কূপকে ঘিরে মেলা বসতো। ওই সময় মাছ মাংস খাওয়া হতো না। অনেকে বিশ্বাস করতেন, এই কুয়োর পানি অসুখ-বিসুখ সারায়। ক্রমেই এটি লুপ্ত হওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায়। ওই সময় একটি শিখ রেজিমেন্ট ওই জায়গায় কয়েকদিনের জন্য তাঁবু পেতেছিল। তারা জেলা বোর্ডের কাছে আবেদন জানায় কূপটি সংস্কারের জন্য। জেলা বোর্ড কূপটি সংস্কার করে দিয়েছিল।

এরপর আসে সুজাতপুরের গুরু দোয়ারার কথা। ইসলাম খাঁ ঢাকায় রাজধানী স্থাপনের পর সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় ষষ্ঠ শুরু আলমাস্ট নামে একজনকে ঢাকায় পাঠান। তিনিই এই গুরু দোয়ারার পত্তন করেন। আলমাস্টের পর নাথি সাহেব এর দায়িত্ব পান। তিনি ছিলেন তৃতীয়। দ্বিতীয়জনের নাম পাওয়া যায়নি। সেই থেকে নাথি সাহেবের নামেই গুরু দোয়ারিটি পরিচিত। এর ফলকে লেখা আছে- সত্য ঈশ্বর, স্রষ্টার এবং গুরু নানকের নামে, আলমাস্ট রাজের নানকসভার গুরু গদ্দি। সুজাতপুরের নাথি সাহেবের সঙ্গত।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৬)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৬)