তাঁর অনুমান এটি পালকি যা ঢাকা থেকে আগে উল্লেখ করা হয়েছে। পাটনা পাঠানো হয়েছিল। পরের চিঠিটি ১৬৯১ সালের।
গুরুকে দেখতে ভক্তদের ঢাকায় বেজায় ভিড়। অভিভূত হয়ে গুরু বললেন, ঢাকা হচ্ছে শিখ ধর্মের আধার। গুরুর ঢাকা ত্যাগের আগে মসনদ বুলাকির মা শুরুর একটি ছবি আঁকালেন। গুরুর বসার জন্য একটি চৌকি বানালেন। এগুলো এক সময় সংরক্ষিত হয়েছিল গুরু দোয়ারায় সঙ্গতটোলা নাকি সুজাতনগরে তা কেউ উল্লেখ করেননি। শুধু তাই নয় শুরু তেগ বাহাদুর, গোবিন্দ সিংহের অনেক চিঠিপত্র ছিল।
আরো ছিল ১৭২৩ সালে লেখ্য গ্রন্থ সাহেবের একটি কপিও। চিত্রিত এই কপিটি তৈরি করা হয়েছিল লালা নন্দলালের জন্য যিনি ছিলেন দেওয়ান মোহন সিংহের ডাই। এই কপিটি ছিল হাতে লেখা তৃতীয় এবং প্রথম একটি সম্পূর্ণ কপি। আরো অনেক পবিত্র স্মৃতিচিত্র রক্ষিত ছিল। কিন্তু এখন আর সেগুলো নেই।
গুরু বখশ কয়েকটি চিঠি দেখেছিলেন। একটি চিঠি ১৬৭৩ সালের। মনে করা হয় তেগ বাহাদুর এটি লিখেছিলেন। সম্বোধন করেছিলেন ভাই ভাগমল, চাহলিদাস, সাছিরিমল এবং নাথরমালকে। তিনি একটি চিরা এবং একটি আসওয়ারি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। চিরা শিরোভূষণ। হতে পারে মসলিনের একটি পাগড়ির শখ হয়েছিল তাঁর। আসওয়ারির মানে গুরু বখশও করতে পারেননি। তাঁর অনুমান এটি পালকি যা ঢাকা থেকে আগে উল্লেখ করা হয়েছে। পাটনা পাঠানো হয়েছিল। পরের চিঠিটি ১৬৯১ সালের।
চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল ভাই হুলাচান্দ, বখশী চান্দ, মেহর চান্দ, বুলাকি দাস, সেওক দাস, ধরম চান্দ, হাসিরাম, আনুল্লাই, দানীরাই, গুরবখশ, লালচান্দ, বৃন্দাবন, গুলাল চান্দ, জিওরমাল, প্রিতম দাস, সুখদেব, লালমন, বিহারীলাল ও সম্প্রদায়ের অন্যান্য ভাইকে। তারা সবাই লসকর ও আশেপাশের সঙ্গতের সদস্য। জানানো হয়েছিল সম্প্রদায়ের পক্ষে হুলাচান্দ গুরুর সঙ্গে দেখা করে ৮০০ টাকার হুন্ডি, আট খণ্ড কাপড় এবং তলোয়ার DISCUSSIL, উপহার দিয়েছেন এবং গুরু তা গ্রহণ করেছেন।
(চলবে)
পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৯৮)