১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৮) রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

পাকিস্তান জানিয়েছে ভবিষ্যতের পাক-ভারত সংঘর্ষ ভয়াবহ বিধ্বংসের হবে

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে যে ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে কোনো নতুন সংঘর্ষ ভয়াবহ বিধ্বংস ডেকে আনতে পারে এবং পাকিস্তান কোনো দ্বিধা ছাড়াই দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই বক্তব্য দিয়েছে আন্তঃসৈন্য জনসংযোগ বিভাগ (ISPR)। [সূত্র: Dawn]

উত্তেজনাপূর্ণ বিবৃতি ও প্রতিক্রিয়া

ISPR বলেছে, “ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেনা ও বিমান প্রধানদের উত্তেজক মন্তব্যের মুখে আমরা সতর্ক করছি যে ভবিষ্যতের সংঘর্ষ ভয়াবহ বিধ্বংস ডেকে আনতে পারে। যদি নতুন কোনো শত্রুতা শুরু হয়, পাকিস্তান কোনো দ্বিধা ছাড়াই প্রতিক্রিয়া জানাবে।”

আরও বলা হয়েছে, “যারা নতুন নর্মাল তৈরি করার চেষ্টা করছে, তাদের জানিয়ে রেখেছি যে পাকিস্তান ইতিমধ্যে একটি ‘নিউ নর্মাল রেসপন্স’ গড়ে তুলেছে — যা দ্রুত, সংকল্পবদ্ধ ও বিধ্বংসী হবে।”

উত্তেজনার মূল কারণ ও প্রেক্ষাপট

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV অনুসারে, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি সতর্ক করেছিলেন যে পাকিস্তান রাষ্ট্রপৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। তিনি বলেছিলেন, “এইবার আমরা কোনো সীমাবদ্ধতা দেখাব না।”

একই সঙ্গে, বিমানবাহিনী প্রধান অমর প্রীত সিং দাবি করেছেন যে মে মাসের যুদ্ধকালে তারা পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান (F-16 ও JF-17) গুলি করে নামিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “আমাদের সৈনিকরা অস্ত্র ও মনোবল দুই-ই রাখে। কোনো চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে টিকতে পারবে না।”

মে মাসের সংঘর্ষ: দুই বিপরীত দাবি

মে মাসে সংঘটিত যুদ্ধটি ভারতের হিন্দু পর্যটকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয়েছিল, যা ভারত দাবি করেছে পাকিস্তানের সমর্থনে হয়েছিল। পাকিস্তান তা অস্বীকার করে ভারতের বিবরণকে “ভিত্তিহীন” বলে।

দুই দেশই যুদ্ধকালে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তান দাবি করে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান নামিয়েছে, যার মধ্যে ফরাসি তৈরি রাফালে ছিল। ভারত “কিছু ক্ষতি” স্বীকার করলেও ছয়টি বিমানের ক্ষতি অস্বীকার করে।

ISPR-এর হুমকি ও দৃষ্টিভঙ্গি

ISPR বলেছে, তারা “ভৌগলিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার মিথ” ভেঙে দেবে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা অস্ত্রভাণ্ডারের পরিধি যত দূরেই হোক, সেখানে পৌঁছাবে।

“পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়ার” হুমকির জবাবে ISPR বলেছে — এই পরিস্থিতি এলে মুছে ফেলা হবে পারস্পরিকভাবে

ISPR জানিয়েছে, ভারতের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে আসা অযৌক্তিক, উত্তেজনাপূর্ণ ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বিবৃতিগুলোকে তারা গভীর উদ্বেগে দেখছে। এসব বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি হতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় পক্ষ “প্রাথমিক অনুসন্ধান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভয়” ভুলে গেছে এবং নতুন সংঘর্ষে আগ্রহী বলে মনে করছে।

বিশ্লেষণ ও প্রভাব

ISPR জানিয়েছে, পাকিস্তান ভবিষ্যতের যেকোনো উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রস্তুত এবং তাদের প্রতিক্রিয়া হবে দ্রুত, শক্তিশালী ও বিধ্বংসী।

এই ধরনের অবস্থান ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা যোগ করতে পারে এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

পাকিস্তান স্পষ্ট করেছে, ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনো যুদ্ধ শুরু হয়, তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতিসহ প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং কোনো দ্বিধা করবে না। ভারতীয় নেতাদের উত্তেজক মন্তব্যকেও তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তাৎক্ষণিক বিপদ হিসেবে দেখছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৮)

পাকিস্তান জানিয়েছে ভবিষ্যতের পাক-ভারত সংঘর্ষ ভয়াবহ বিধ্বংসের হবে

১২:২০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে যে ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে কোনো নতুন সংঘর্ষ ভয়াবহ বিধ্বংস ডেকে আনতে পারে এবং পাকিস্তান কোনো দ্বিধা ছাড়াই দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই বক্তব্য দিয়েছে আন্তঃসৈন্য জনসংযোগ বিভাগ (ISPR)। [সূত্র: Dawn]

উত্তেজনাপূর্ণ বিবৃতি ও প্রতিক্রিয়া

ISPR বলেছে, “ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেনা ও বিমান প্রধানদের উত্তেজক মন্তব্যের মুখে আমরা সতর্ক করছি যে ভবিষ্যতের সংঘর্ষ ভয়াবহ বিধ্বংস ডেকে আনতে পারে। যদি নতুন কোনো শত্রুতা শুরু হয়, পাকিস্তান কোনো দ্বিধা ছাড়াই প্রতিক্রিয়া জানাবে।”

আরও বলা হয়েছে, “যারা নতুন নর্মাল তৈরি করার চেষ্টা করছে, তাদের জানিয়ে রেখেছি যে পাকিস্তান ইতিমধ্যে একটি ‘নিউ নর্মাল রেসপন্স’ গড়ে তুলেছে — যা দ্রুত, সংকল্পবদ্ধ ও বিধ্বংসী হবে।”

উত্তেজনার মূল কারণ ও প্রেক্ষাপট

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV অনুসারে, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি সতর্ক করেছিলেন যে পাকিস্তান রাষ্ট্রপৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। তিনি বলেছিলেন, “এইবার আমরা কোনো সীমাবদ্ধতা দেখাব না।”

একই সঙ্গে, বিমানবাহিনী প্রধান অমর প্রীত সিং দাবি করেছেন যে মে মাসের যুদ্ধকালে তারা পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান (F-16 ও JF-17) গুলি করে নামিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “আমাদের সৈনিকরা অস্ত্র ও মনোবল দুই-ই রাখে। কোনো চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে টিকতে পারবে না।”

মে মাসের সংঘর্ষ: দুই বিপরীত দাবি

মে মাসে সংঘটিত যুদ্ধটি ভারতের হিন্দু পর্যটকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয়েছিল, যা ভারত দাবি করেছে পাকিস্তানের সমর্থনে হয়েছিল। পাকিস্তান তা অস্বীকার করে ভারতের বিবরণকে “ভিত্তিহীন” বলে।

দুই দেশই যুদ্ধকালে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছিল। পাকিস্তান দাবি করে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান নামিয়েছে, যার মধ্যে ফরাসি তৈরি রাফালে ছিল। ভারত “কিছু ক্ষতি” স্বীকার করলেও ছয়টি বিমানের ক্ষতি অস্বীকার করে।

ISPR-এর হুমকি ও দৃষ্টিভঙ্গি

ISPR বলেছে, তারা “ভৌগলিক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার মিথ” ভেঙে দেবে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা অস্ত্রভাণ্ডারের পরিধি যত দূরেই হোক, সেখানে পৌঁছাবে।

“পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়ার” হুমকির জবাবে ISPR বলেছে — এই পরিস্থিতি এলে মুছে ফেলা হবে পারস্পরিকভাবে

ISPR জানিয়েছে, ভারতের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে আসা অযৌক্তিক, উত্তেজনাপূর্ণ ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বিবৃতিগুলোকে তারা গভীর উদ্বেগে দেখছে। এসব বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি হতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় পক্ষ “প্রাথমিক অনুসন্ধান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভয়” ভুলে গেছে এবং নতুন সংঘর্ষে আগ্রহী বলে মনে করছে।

বিশ্লেষণ ও প্রভাব

ISPR জানিয়েছে, পাকিস্তান ভবিষ্যতের যেকোনো উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রস্তুত এবং তাদের প্রতিক্রিয়া হবে দ্রুত, শক্তিশালী ও বিধ্বংসী।

এই ধরনের অবস্থান ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা যোগ করতে পারে এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

পাকিস্তান স্পষ্ট করেছে, ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনো যুদ্ধ শুরু হয়, তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতিসহ প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং কোনো দ্বিধা করবে না। ভারতীয় নেতাদের উত্তেজক মন্তব্যকেও তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তাৎক্ষণিক বিপদ হিসেবে দেখছে।