০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে চার দফা দাবি বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের ট্রাম্প নীতির চাপে সংকটে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নয়নের চাপে সবুজবিনাশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা: সবচেয়ে সাধারণ ১০টি প্রশ্নের সহজ উত্তর ‘পাঁচটির মধ্যে চারটি দেশই’ মিঠা পানির অভাব মেটাচ্ছে সাগর থেকে এশিয়ার জেন জেড: প্রতিযোগিতার দৌড় থেকে সরে আসা এক প্রজন্ম স্ট্রিক্টলি কাম ড্যান্সিং: ২৩তম মৌসুমে তারকা ঝলক, চমক আর নাচের উৎসব সংখ্যা বলছে আবারও ইয়াঙ্কিস-ডজার্স বিশ্ব সিরিজ ফাইনাল হতে পারে আগ্নেয়গিরি থেকে পর্যটন ঢেউ: আইসল্যান্ডের পরিবর্তিত চেহারা হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনের প্রথম পরিচালনা ‘এলেনর দ্য গ্রেট’

ভারত–চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু: কে লাভবান হবে?

পাঁচ বছর পর নতুন যাত্রা

পাঁচ বছরেরও বেশি বিরতির পর ভারত ও মূল ভূখণ্ড চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল আবার শুরু হচ্ছে এই মাসের শেষের দিকে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, শীতকালীন ফ্লাইট সূচি অনুযায়ী (২৬ অক্টোবর থেকে) দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

এই চুক্তির বাস্তবায়ন নির্ভর করবে মনোনীত বিমান সংস্থাগুলোর বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এবং সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রমিক শর্ত পূরণের ওপর। ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইন ইন্ডিগো ২৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা–গুয়াংজু রুটে দৈনিক ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে। টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়াও বছরের শেষ নাগাদ দিল্লি–সাংহাই রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি কয়েকটি চীনা এয়ারলাইনও ভারতগামী ফ্লাইট চালু করবে বলে জানা গেছে।

কীভাবে শুরু হলো পুনরায় সংযোগ?

কোভিড-১৯ মহামারির সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারত–চীন সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সংঘাতের পর দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে বিমান চলাচল আর পুনরায় শুরু হয়নি।

চীন গত দুই–তিন বছর ধরে ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু ভারত তখন অনাগ্রহী ছিল। সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন দিল্লি–ওয়াশিংটন সম্পর্ক কিছুটা জটিলতায় পড়েছে, ফলে বিমান সংযোগ পুনরায় চালুর আশা জোরদার হয়েছে।

২০২৪ সালে পররাষ্ট্র ও বিমান পরিবহন মন্ত্রীর বৈঠকগুলোয় বিষয়টি আলোচনায় আসে, যদিও তেমন অগ্রগতি হয়নি। পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু এবং চীনের বেসামরিক বিমান প্রশাসক সং ঝিইয়ংয়ের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপিত হয়।

নভেম্বর ২০২৪-এ রিও দে জেনেইরোতে জি২০ সম্মেলনের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকের এক মাস আগেই ২১ অক্টোবর ভারত–চীন সীমান্ত টহল ব্যবস্থা বিষয়ে নতুন চুক্তি হয়, যা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দেয়। এরপর ব্রিকস সম্মেলনে রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি বৈঠক করেন।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিসরির বেইজিং সফরে প্রথমবারের মতো “নীতিগতভাবে” সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে ঐকমত্য হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের আগস্টে ওয়াং ইয়ের দিল্লি সফরে ঘোষণা আসে — উভয় দেশ “যত দ্রুত সম্ভব” সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে এবং পর্যটক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অন্যান্য দর্শনার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্তও নেয়।

বিমান সংস্থা ও যাত্রীদের জন্য সুফল

ভারত ও চীনের বিমান সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই পুনরায় চালুর অপেক্ষায় ছিল। ইন্ডিগোর প্রধান নির্বাহী পিটার এলবার্স আগেই জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পুনরায় চালুর অনুমতি পেলেই তারা প্রস্তুত থাকবে। চীনা সংস্থাগুলোর মধ্যেও একই আগ্রহ রয়েছে।

২০১৯ সালে দুই দেশের মোট যাত্রী চলাচলের প্রায় ৪৫ শতাংশই সরাসরি ফ্লাইটে সম্পন্ন হতো। কিন্তু সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ থাকা ও কঠোর ভিসা নীতির কারণে উভয় দেশই সম্ভাব্য যাত্রী হারিয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন হাব—যেমন সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম—হয়ে এই যাত্রা সম্পন্ন হয়, যা ২০১৯ সালের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

ফলে এসব দেশের বিমানবন্দর ও এয়ারলাইনগুলো ভারত–চীন যাত্রী প্রবাহ থেকে লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে হংকং, যা যদিও চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে আলাদা ভিসা ব্যবস্থায় চলে, তবুও ভারত–চীন সংযোগের প্রধান হাব হিসেবে কাজ করছে।

সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে, যার ফলে টিকিটের দাম কমতে পারে, ফ্লাইটের সংখ্যা ও সময়সূচি বৃদ্ধি পাবে এবং যাত্রীদের জন্য বিকল্পও বাড়বে।

কারা বেশি লাভবান হবে?

বিশ্লেষকদের মতে, উভয় দেশই উপকৃত হবে, তবে চীনের হাতে প্রাথমিকভাবে বেশি সুবিধা থাকতে পারে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫৩৯টি নির্ধারিত সরাসরি ফ্লাইট চলত, যার মধ্যে ভারতীয় এয়ারলাইনগুলোর (ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া) ফ্লাইট ছিল মাত্র ১৬৮টি — প্রায় ৩১ শতাংশ। বাকিগুলো পরিচালনা করত এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন এবং শানডং এয়ারলাইনসের মতো চীনা সংস্থাগুলো।

তবে এবার চিত্র বদলাতে পারে। কারণ ২০১৯ সালের পর ভারতীয় বিমান খাতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এয়ার ইন্ডিয়া এখন বেসরকারীকরণ ও পুনঃপুঁজিকরণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে দ্রুত সম্প্রসারণে মনোযোগী। একইভাবে ইন্ডিগো, ভারতের সবচেয়ে বড় দেশীয় সংস্থা, এখন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক বাড়াতে আগ্রহী।

ফলে, এই পুনরায় চালুর ফলে কেবল দুই দেশের মধ্যকার যাত্রী চলাচলই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া–পূর্ব এশিয়ার বিমান বাজারেও নতুন প্রতিযোগিতা ও সংযোগের অধ্যায় শুরু হতে পারে।

ভারত–চীন সম্পর্কের নতুন এই উড়াল কূটনৈতিক আস্থার ইঙ্গিত দেয়। ফ্লাইট পুনরায় চালুর মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগই নয়, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন পথ খুলবে — যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের দূরত্ব কমাতে সহায়ক হতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব শিক্ষক দিবসে চার দফা দাবি বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের

ভারত–চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু: কে লাভবান হবে?

১২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

পাঁচ বছর পর নতুন যাত্রা

পাঁচ বছরেরও বেশি বিরতির পর ভারত ও মূল ভূখণ্ড চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল আবার শুরু হচ্ছে এই মাসের শেষের দিকে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, শীতকালীন ফ্লাইট সূচি অনুযায়ী (২৬ অক্টোবর থেকে) দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

এই চুক্তির বাস্তবায়ন নির্ভর করবে মনোনীত বিমান সংস্থাগুলোর বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এবং সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রমিক শর্ত পূরণের ওপর। ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইন ইন্ডিগো ২৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা–গুয়াংজু রুটে দৈনিক ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে। টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়াও বছরের শেষ নাগাদ দিল্লি–সাংহাই রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি কয়েকটি চীনা এয়ারলাইনও ভারতগামী ফ্লাইট চালু করবে বলে জানা গেছে।

কীভাবে শুরু হলো পুনরায় সংযোগ?

কোভিড-১৯ মহামারির সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারত–চীন সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সংঘাতের পর দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে বিমান চলাচল আর পুনরায় শুরু হয়নি।

চীন গত দুই–তিন বছর ধরে ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু ভারত তখন অনাগ্রহী ছিল। সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন দিল্লি–ওয়াশিংটন সম্পর্ক কিছুটা জটিলতায় পড়েছে, ফলে বিমান সংযোগ পুনরায় চালুর আশা জোরদার হয়েছে।

২০২৪ সালে পররাষ্ট্র ও বিমান পরিবহন মন্ত্রীর বৈঠকগুলোয় বিষয়টি আলোচনায় আসে, যদিও তেমন অগ্রগতি হয়নি। পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু এবং চীনের বেসামরিক বিমান প্রশাসক সং ঝিইয়ংয়ের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপিত হয়।

নভেম্বর ২০২৪-এ রিও দে জেনেইরোতে জি২০ সম্মেলনের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকের এক মাস আগেই ২১ অক্টোবর ভারত–চীন সীমান্ত টহল ব্যবস্থা বিষয়ে নতুন চুক্তি হয়, যা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দেয়। এরপর ব্রিকস সম্মেলনে রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি বৈঠক করেন।

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিসরির বেইজিং সফরে প্রথমবারের মতো “নীতিগতভাবে” সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর বিষয়ে ঐকমত্য হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের আগস্টে ওয়াং ইয়ের দিল্লি সফরে ঘোষণা আসে — উভয় দেশ “যত দ্রুত সম্ভব” সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে এবং পর্যটক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অন্যান্য দর্শনার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্তও নেয়।

বিমান সংস্থা ও যাত্রীদের জন্য সুফল

ভারত ও চীনের বিমান সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই পুনরায় চালুর অপেক্ষায় ছিল। ইন্ডিগোর প্রধান নির্বাহী পিটার এলবার্স আগেই জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পুনরায় চালুর অনুমতি পেলেই তারা প্রস্তুত থাকবে। চীনা সংস্থাগুলোর মধ্যেও একই আগ্রহ রয়েছে।

২০১৯ সালে দুই দেশের মোট যাত্রী চলাচলের প্রায় ৪৫ শতাংশই সরাসরি ফ্লাইটে সম্পন্ন হতো। কিন্তু সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ থাকা ও কঠোর ভিসা নীতির কারণে উভয় দেশই সম্ভাব্য যাত্রী হারিয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন হাব—যেমন সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম—হয়ে এই যাত্রা সম্পন্ন হয়, যা ২০১৯ সালের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

ফলে এসব দেশের বিমানবন্দর ও এয়ারলাইনগুলো ভারত–চীন যাত্রী প্রবাহ থেকে লাভবান হয়েছে। বিশেষ করে হংকং, যা যদিও চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে আলাদা ভিসা ব্যবস্থায় চলে, তবুও ভারত–চীন সংযোগের প্রধান হাব হিসেবে কাজ করছে।

সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে, যার ফলে টিকিটের দাম কমতে পারে, ফ্লাইটের সংখ্যা ও সময়সূচি বৃদ্ধি পাবে এবং যাত্রীদের জন্য বিকল্পও বাড়বে।

কারা বেশি লাভবান হবে?

বিশ্লেষকদের মতে, উভয় দেশই উপকৃত হবে, তবে চীনের হাতে প্রাথমিকভাবে বেশি সুবিধা থাকতে পারে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫৩৯টি নির্ধারিত সরাসরি ফ্লাইট চলত, যার মধ্যে ভারতীয় এয়ারলাইনগুলোর (ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া) ফ্লাইট ছিল মাত্র ১৬৮টি — প্রায় ৩১ শতাংশ। বাকিগুলো পরিচালনা করত এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন এবং শানডং এয়ারলাইনসের মতো চীনা সংস্থাগুলো।

তবে এবার চিত্র বদলাতে পারে। কারণ ২০১৯ সালের পর ভারতীয় বিমান খাতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এয়ার ইন্ডিয়া এখন বেসরকারীকরণ ও পুনঃপুঁজিকরণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে দ্রুত সম্প্রসারণে মনোযোগী। একইভাবে ইন্ডিগো, ভারতের সবচেয়ে বড় দেশীয় সংস্থা, এখন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক বাড়াতে আগ্রহী।

ফলে, এই পুনরায় চালুর ফলে কেবল দুই দেশের মধ্যকার যাত্রী চলাচলই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া–পূর্ব এশিয়ার বিমান বাজারেও নতুন প্রতিযোগিতা ও সংযোগের অধ্যায় শুরু হতে পারে।

ভারত–চীন সম্পর্কের নতুন এই উড়াল কূটনৈতিক আস্থার ইঙ্গিত দেয়। ফ্লাইট পুনরায় চালুর মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংযোগই নয়, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন পথ খুলবে — যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের দূরত্ব কমাতে সহায়ক হতে পারে।