০৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্প নীতির চাপে সংকটে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

  • Sarakhon Report
  • ০৪:২৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • 15

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে

শিকাগোর ডিপল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭৫৫ জন কমেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভর্তি কমে যাওয়ায় ৩০ শতাংশ বাজেট সংকোচনের কারণে তারা তাৎক্ষণিকভাবে খরচ কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সম্ভাব্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নতুন নিয়োগ স্থগিত, উচ্চপদস্থদের বেতন কমানো এবং বিভিন্ন খাতে খরচের সীমাবদ্ধতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রবার্ট ম্যানুয়েল জানান, বিশেষ করে প্রথম বর্ষের আন্তর্জাতিক স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ কমেছে। তিনি এই পতনের জন্য দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার জটিলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার আগ্রহ কমে যাওয়া—যা সাম্প্রতিক ফেডারেল নীতির পরিবর্তনের ফল।


ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রভাব

ডিপল বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র নয়—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শিক্ষা ও অভিবাসন নীতির কারণে বাজেট কাটছাঁট করছে। এই নীতিগুলোর ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণকারী গবেষণা অনুদানও বিপদের মুখে।

ছাত্রদের ভিসা প্রক্রিয়াও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। নতুন ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে, অনেকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এমনকি আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যাতে তাদের রাজনৈতিক মনোভাব যাচাই করা যায়।


হার্ভার্ডেও সরকারি হস্তক্ষেপ

মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধ করে দেয়, অভিযোগ ছিল—বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। আদালত সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও সরকার ইতোমধ্যে আপিল করেছে।

US colleges feel hit from fewer foreign students

ডিপলের সভাপতি ম্যানুয়েল শিক্ষকদের উদ্দেশে লিখেছেন, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এত চাপে রয়েছে যে, আজকাল উচ্চশিক্ষাকে চেনাই কঠিন হয়ে পড়ছে।”


প্রশাসনের কঠোর বার্তা

মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ট্রিশিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেন, “যে কেউ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছে, সে এখানে অতিথি। যদি কেউ হামাস বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করে, ইহুদিদের হয়রানি করে বা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তবে তাদের ভিসা বাতিল করা হবে এবং দেশে ফিরে যেতে হবে।”


অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট

ডিপল ছাড়াও অন্তত ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান কাটা পড়ায় ২,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৫টি পদ এবং সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩০টিরও বেশি পদ বিলোপ করেছে।


বিদেশি শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তা

অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার পরিকল্পনা স্থগিত করছেন। ভারতের এক শিক্ষার্থী ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ডেভিস)–এ ভর্তি স্থগিত রেখেছেন, কারণ ভিসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। অন্যদিকে, চীনের এক শিক্ষার্থী নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর যুক্তরাজ্যে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা তহবিল ও ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে।

Fewer foreign students, fewer dollars: US colleges feel the pinch

আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা

২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ১২ লক্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু এনএএফএসএ (NAFSA)–এর হিসেবে, এ বছর সেই সংখ্যা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে, যার ফলে মার্কিন অর্থনীতি প্রায় ৭০০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২.৪ শতাংশ কমে ৯৪২,১৩১-এ নেমে এসেছে।


নতুন সীমা নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি

হোয়াইট হাউস সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন শর্ত জারি করেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের মতে, “বিদেশি শিক্ষার্থীর উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমেরিকান শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ কমিয়ে দিতে পারে।”

ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস সতর্ক করেছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সংখ্যা কমলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবে ঝুঁকিতে পড়তে পারে—বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানের আয় নির্ভর করে উচ্চ টিউশন ফি–এর বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতি ও ভিসা জটিলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা এখন এক অদ্ভুত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাজেট ঘাটতি ও ভর্তি হ্রাসের দ্বৈত চাপে পড়েছে, আর অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী এখন অন্য দেশে উচ্চশিক্ষার বিকল্প খুঁজছেন।

এ যেন এক নতুন অধ্যায়—যেখানে শিক্ষা, রাজনীতি ও অর্থনীতি একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্প নীতির চাপে সংকটে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

০৪:২৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে

শিকাগোর ডিপল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭৫৫ জন কমেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভর্তি কমে যাওয়ায় ৩০ শতাংশ বাজেট সংকোচনের কারণে তারা তাৎক্ষণিকভাবে খরচ কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সম্ভাব্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে নতুন নিয়োগ স্থগিত, উচ্চপদস্থদের বেতন কমানো এবং বিভিন্ন খাতে খরচের সীমাবদ্ধতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রবার্ট ম্যানুয়েল জানান, বিশেষ করে প্রথম বর্ষের আন্তর্জাতিক স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ কমেছে। তিনি এই পতনের জন্য দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার জটিলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার আগ্রহ কমে যাওয়া—যা সাম্প্রতিক ফেডারেল নীতির পরিবর্তনের ফল।


ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রভাব

ডিপল বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র নয়—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শিক্ষা ও অভিবাসন নীতির কারণে বাজেট কাটছাঁট করছে। এই নীতিগুলোর ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণকারী গবেষণা অনুদানও বিপদের মুখে।

ছাত্রদের ভিসা প্রক্রিয়াও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। নতুন ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে, অনেকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এমনকি আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যাতে তাদের রাজনৈতিক মনোভাব যাচাই করা যায়।


হার্ভার্ডেও সরকারি হস্তক্ষেপ

মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধ করে দেয়, অভিযোগ ছিল—বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। আদালত সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও সরকার ইতোমধ্যে আপিল করেছে।

US colleges feel hit from fewer foreign students

ডিপলের সভাপতি ম্যানুয়েল শিক্ষকদের উদ্দেশে লিখেছেন, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এত চাপে রয়েছে যে, আজকাল উচ্চশিক্ষাকে চেনাই কঠিন হয়ে পড়ছে।”


প্রশাসনের কঠোর বার্তা

মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ট্রিশিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেন, “যে কেউ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছে, সে এখানে অতিথি। যদি কেউ হামাস বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করে, ইহুদিদের হয়রানি করে বা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তবে তাদের ভিসা বাতিল করা হবে এবং দেশে ফিরে যেতে হবে।”


অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট

ডিপল ছাড়াও অন্তত ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান কাটা পড়ায় ২,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৫টি পদ এবং সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩০টিরও বেশি পদ বিলোপ করেছে।


বিদেশি শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তা

অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার পরিকল্পনা স্থগিত করছেন। ভারতের এক শিক্ষার্থী ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ডেভিস)–এ ভর্তি স্থগিত রেখেছেন, কারণ ভিসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। অন্যদিকে, চীনের এক শিক্ষার্থী নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর যুক্তরাজ্যে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা তহবিল ও ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে।

Fewer foreign students, fewer dollars: US colleges feel the pinch

আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা

২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ১২ লক্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু এনএএফএসএ (NAFSA)–এর হিসেবে, এ বছর সেই সংখ্যা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে, যার ফলে মার্কিন অর্থনীতি প্রায় ৭০০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২.৪ শতাংশ কমে ৯৪২,১৩১-এ নেমে এসেছে।


নতুন সীমা নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি

হোয়াইট হাউস সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন শর্ত জারি করেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের মতে, “বিদেশি শিক্ষার্থীর উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমেরিকান শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ কমিয়ে দিতে পারে।”

ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস সতর্ক করেছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সংখ্যা কমলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবে ঝুঁকিতে পড়তে পারে—বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানের আয় নির্ভর করে উচ্চ টিউশন ফি–এর বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতি ও ভিসা জটিলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা এখন এক অদ্ভুত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাজেট ঘাটতি ও ভর্তি হ্রাসের দ্বৈত চাপে পড়েছে, আর অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী এখন অন্য দেশে উচ্চশিক্ষার বিকল্প খুঁজছেন।

এ যেন এক নতুন অধ্যায়—যেখানে শিক্ষা, রাজনীতি ও অর্থনীতি একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করছে।