তিদিন, অধিক থেকে অধিকতর মানুষ মারা যেতে থাকে।
ডঃ দুশান জবাভিতেল। সৌজন্যে: কপিরাইট নাদিরা মজুমদার
… … ক্ষুর্ধাত মানুষের দল গ্রাম ছেড়ে শহরে ছুটে আসতে থাকে, বিশেষ করে কোলকাতায়। কিন্তু কোলকাতাও অনুরূপ বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলো না। গণহারে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যেতে থাকে স্রেফ খেতে না পেয়ে।
প্রতিদিন ইমারজেন্সি ইউনিটগুলো শ’য়ে শ’য়ে কঙ্কালসার মৃতদেহ- যারা সরাসরি রাস্তায় মরে পড়ে থাকে- সরিয়ে নেয়ার কাজ করে। প্রতিদিন, অধিক থেকে অধিকতর মানুষ মারা যেতে থাকে।
নাম-ঠিকানাহীনদের শবদেহ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
চরম খাদ্যাভাবের সঙ্গে অতঃপর যুক্ত হয় মারাত্মক রোগের মহামারী এবং পুষ্টিহীনতা ও অপরিসীম দুর্বলতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন টিকে থাকার ক্ষমতা তাদের আর ছিলো না। ফলে দিনের পর দিন মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।
ক্ষুধার্ত মা, এক শিশু সন্তান মারা গেছে, দ্বিতীয়জন মারা যাচ্ছে। সৌজন্যে: দি স্টেটসম্যান, কোলকাতা, ২২ আগস্ট, ১৯৪৩ সাল; উইকিমিডিয়া কমনস; পাবলিক ডমেইন।
মস্ত মাপের এই দুর্ভিক্ষটির “দর্প”-কে সম্যক উপলব্ধির জন্য- পরিচিতি পায় “মহাদুর্ভিক্ষ বা মহামন্বন্তর”। কতো মানুষ যে না খেতে পেয়ে এই দুর্ভিক্ষে মারা গেছে, তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই। জানা না থাকায় ভালো হয়েছে- নয়তো অন্যান্য ক্ষেত্রে বিবেকবান পারফেক্টশনিস্ট ব্রিটিশ প্রশাসন পরিসংখ্যান নিয়ে কিভাবে দম্ভোক্তি করত! তবে আনুমানিক হিসাব হলো যে কম করে হলেও সাড়ে তিন মিলিয়ন মানুষ মারা যায়…।”
(চলবে)