১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
“বাজারে গেলে এখন মনে হয় যুদ্ধ করতে এসেছি” চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান কেন কিনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার? জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলন: সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিবাদ কি স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারবে? অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন করে দমন-পীড়ন করছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ হাঙ্গেরির ‘প্রলয়ের গুরু’ ক্রাস্নাহরকাই জিতলেন ২০২৫ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার স্যাটানট্যাঙ্গো: এক অন্ধকার নৃত্য ‘আইস ব্যাটারি’ প্রযুক্তি: পরিবেশবান্ধব শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে নতুন দিগন্ত টেবিলের নিচে: পাকিস্তানে মেধাকেন্দ্রিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার গল্প পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০৪) এক মিনিটে শেখা খাদ্য উৎপাদনের কৌশল: নিউজিল্যান্ডের গার্ডেনার অ্যাড্রিয়ান সাদারল্যান্ডের অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৩)

তারপর বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাজক দিয়ে অবশিষ্টকে গুণ কর এবং বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে যোগ কর।

(গ) এটি আবার দুভাবে প্রকাশ করা যায়

(গ) মতির দ্বারা গুণ কর এবং ভাগশেষগুলির অন্তর দ্বারা ক্ষিপ্ত কর।

Should be multiplied by an optional integer (mati) and then interpolated (kşiptam) by the difference of remainder 1.

(গ) বুদ্ধির সাহায্যে গুণ কর এবং ভাগশেষগুলির অন্তর দ্বারা ক্ষিপ্ত কর

(Should be multiplied intelligently and then interpolated by the difference of the remainder).

প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে ক্ষিপ্তম্ এবং মতি শব্দ দুটির অর্থ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।

(ঘ) নীচের যে কোন সংখ্যাকে ঠিক উপরের সংখ্যা দিয়ে গুণ কর তারপর এর ঠিক নীচের সংখ্যা যোগ কর [Any number below (i. e. penultimate) is
multiplied by on just above it and then added by that just below it].

(৫) শেষ সংখ্যাকে ক্ষুদ্র ভাগশেষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাজক দিয়ে ভাগ দাও, তারপর বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাজক দিয়ে অবশিষ্টকে গুণ কর এবং বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে যোগ কর।

(চ) এটি দুভাবে প্রকাশ করা যায়

(চঃ) (ফল হবে) ভাজকদ্বয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংখ্যা।

(চ২) (ফল হবে) ভাজকদ্বয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবশেষ।

প্রথম আর্যভটের এই শ্লোকদুটির অর্থ আরও পরিষ্কার করে হৃদয়ঙ্গম করতে গেলে প্রথম ভাস্করাচার্য ও সূর্যদেব যজ্জার টীকা অনুধাবন করা প্রয়োজন। সুতরাং এক্ষেত্রে প্রথমে প্রথম ভাস্করাচার্যের টীকা এবং বঙ্গানুবাদ তুলে ধরা হোল তারপর সূর্যদেব মজ্জার টীকা ও অনুবাদ তুলে ধরা হবে।

প্রথম ভাস্করাচার্যের টীকা: অধিকাগ্রভাগহারং ‘ছিন্দাত। অগ্রং শেষঃ। অধিকাগ্রং যস্ত সোহরমধিকাগ্রঃ। অধিকাগ্রশ্চাসৌ ভাগহারশ অধিকাগ্রভাগহারঃ। তং অধিকাগ্রভাগহারম,, ছিন্দাত, বিভজেদিত্যর্থঃ। কেনেত্যাহ-উনাগ্রভাগহারেণ। শেষপরস্পরভক্তম,। লতেন নাস্তি প্রয়োজনম, সহ কর্ম ক্রিয়তে।

পরস্পরেণ ভক্তৎ পরস্পরভক্তং, ইতরেতর ভক্তমিত্যর্থঃ। শেষেণ সহ পরস্পরভক্তং শেষপরস্পরভক্তম। মতিগুণং স্ববুদ্ধিগুণমিত্যর্থঃ। কথং পুনঃ স্ববুদ্ধিগুণঃ ক্রিয়তে? অয়ং রাশিঃ কেন গুণিতমিদমিগ্রান্তরং প্রক্ষিপ্য বিশোধ্য বা অস্য রাশেঃ শুদ্ধং ভাগং দাস্যতীতি। অগ্রান্তরে ক্ষিপ্তম।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০২)

জনপ্রিয় সংবাদ

“বাজারে গেলে এখন মনে হয় যুদ্ধ করতে এসেছি”

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৩)

০৩:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

তারপর বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাজক দিয়ে অবশিষ্টকে গুণ কর এবং বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে যোগ কর।

(গ) এটি আবার দুভাবে প্রকাশ করা যায়

(গ) মতির দ্বারা গুণ কর এবং ভাগশেষগুলির অন্তর দ্বারা ক্ষিপ্ত কর।

Should be multiplied by an optional integer (mati) and then interpolated (kşiptam) by the difference of remainder 1.

(গ) বুদ্ধির সাহায্যে গুণ কর এবং ভাগশেষগুলির অন্তর দ্বারা ক্ষিপ্ত কর

(Should be multiplied intelligently and then interpolated by the difference of the remainder).

প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন যে ক্ষিপ্তম্ এবং মতি শব্দ দুটির অর্থ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।

(ঘ) নীচের যে কোন সংখ্যাকে ঠিক উপরের সংখ্যা দিয়ে গুণ কর তারপর এর ঠিক নীচের সংখ্যা যোগ কর [Any number below (i. e. penultimate) is
multiplied by on just above it and then added by that just below it].

(৫) শেষ সংখ্যাকে ক্ষুদ্র ভাগশেষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাজক দিয়ে ভাগ দাও, তারপর বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভাজক দিয়ে অবশিষ্টকে গুণ কর এবং বৃহৎ ভাগশেষের সঙ্গে যোগ কর।

(চ) এটি দুভাবে প্রকাশ করা যায়

(চঃ) (ফল হবে) ভাজকদ্বয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংখ্যা।

(চ২) (ফল হবে) ভাজকদ্বয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবশেষ।

প্রথম আর্যভটের এই শ্লোকদুটির অর্থ আরও পরিষ্কার করে হৃদয়ঙ্গম করতে গেলে প্রথম ভাস্করাচার্য ও সূর্যদেব যজ্জার টীকা অনুধাবন করা প্রয়োজন। সুতরাং এক্ষেত্রে প্রথমে প্রথম ভাস্করাচার্যের টীকা এবং বঙ্গানুবাদ তুলে ধরা হোল তারপর সূর্যদেব মজ্জার টীকা ও অনুবাদ তুলে ধরা হবে।

প্রথম ভাস্করাচার্যের টীকা: অধিকাগ্রভাগহারং ‘ছিন্দাত। অগ্রং শেষঃ। অধিকাগ্রং যস্ত সোহরমধিকাগ্রঃ। অধিকাগ্রশ্চাসৌ ভাগহারশ অধিকাগ্রভাগহারঃ। তং অধিকাগ্রভাগহারম,, ছিন্দাত, বিভজেদিত্যর্থঃ। কেনেত্যাহ-উনাগ্রভাগহারেণ। শেষপরস্পরভক্তম,। লতেন নাস্তি প্রয়োজনম, সহ কর্ম ক্রিয়তে।

পরস্পরেণ ভক্তৎ পরস্পরভক্তং, ইতরেতর ভক্তমিত্যর্থঃ। শেষেণ সহ পরস্পরভক্তং শেষপরস্পরভক্তম। মতিগুণং স্ববুদ্ধিগুণমিত্যর্থঃ। কথং পুনঃ স্ববুদ্ধিগুণঃ ক্রিয়তে? অয়ং রাশিঃ কেন গুণিতমিদমিগ্রান্তরং প্রক্ষিপ্য বিশোধ্য বা অস্য রাশেঃ শুদ্ধং ভাগং দাস্যতীতি। অগ্রান্তরে ক্ষিপ্তম।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০২)