০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
রুশ গ্যাস প্ল্যান্টে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা, বড় অগ্নিকাণ্ড এআই ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ এখন ‘নিজস্ব প্ল্যান্টে ডিএমজে পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনার পলায়ন তরুণদের মধ্যে ক্যান্সারের বৃদ্ধি: কারণ ও প্রভাব বিমানবন্দর অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ তৎপরতা যশোর এখন বাংলাদেশের শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র ওমানের দুর্ঘটনায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে আট মাস পর ভারতে আটক ১২ বাংলাদেশি নাবিকের দেশে ফেরা নারী অধিকার ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্নে ইলা মিত্রের শতবর্ষে নওগাঁয় র‌্যালি যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ভেনিজুয়েলা: সামরিক প্রস্তুতি ও দুর্বলতা

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুকুন্দলাল সরকারের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুকুন্দলাল সরকারের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হবে। দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সমাজসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।


ঐতিহাসিক নেতার স্মরণে

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট নেতা মুকুন্দলাল সরকারের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হবে। তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং জীবনভর দেশপ্রেম ও সমাজসেবার কাজে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন।


স্মরণানুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল

উপলক্ষে সোমবার সকালে বিভিন্ন স্মরণানুষ্ঠান ও সমাজসেবামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এদিন গোপালগঞ্জের হাইসুর বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাসিন্দাদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। একই স্থানে সকাল ১১টায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হবে।


ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা

মুকুন্দলাল সরকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা দেশপ্রেমিক নেতা, যিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। তিনি জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেন।

এই আন্দোলনের কারণে তাঁকে একাধিকবার ব্রিটিশ প্রশাসন কারাবন্দি করে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকারের ‘‘ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস’’-এর অধীনে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।


শিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অবদান

রাজনীতি ছাড়াও মুকুন্দলাল সরকার সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ ও খুলনা অঞ্চলে একাধিক কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো পেতে পারে। তাঁর এই উদ্যোগ আজও সেই অঞ্চলের শিক্ষাবিস্তারে অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত।


দেশপ্রেম, শিক্ষা বিস্তার ও সমাজকল্যাণে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়। মুকুন্দলাল সরকার ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যার সংগ্রাম, ত্যাগ ও মানবসেবার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।


#মুক্তিযুদ্ধ #মুকুন্দলালসরকার #ব্রিটিশবিরোধীআন্দোলন #গোপালগঞ্জ #স্মরণানুষ্ঠান #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

রুশ গ্যাস প্ল্যান্টে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা, বড় অগ্নিকাণ্ড

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুকুন্দলাল সরকারের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার

০২:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুকুন্দলাল সরকারের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হবে। দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সমাজসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।


ঐতিহাসিক নেতার স্মরণে

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট নেতা মুকুন্দলাল সরকারের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হবে। তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং জীবনভর দেশপ্রেম ও সমাজসেবার কাজে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন।


স্মরণানুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল

উপলক্ষে সোমবার সকালে বিভিন্ন স্মরণানুষ্ঠান ও সমাজসেবামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এদিন গোপালগঞ্জের হাইসুর বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাসিন্দাদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। একই স্থানে সকাল ১১টায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হবে।


ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা

মুকুন্দলাল সরকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা দেশপ্রেমিক নেতা, যিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। তিনি জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেন।

এই আন্দোলনের কারণে তাঁকে একাধিকবার ব্রিটিশ প্রশাসন কারাবন্দি করে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকারের ‘‘ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস’’-এর অধীনে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়।


শিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অবদান

রাজনীতি ছাড়াও মুকুন্দলাল সরকার সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ ও খুলনা অঞ্চলে একাধিক কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো পেতে পারে। তাঁর এই উদ্যোগ আজও সেই অঞ্চলের শিক্ষাবিস্তারে অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত।


দেশপ্রেম, শিক্ষা বিস্তার ও সমাজকল্যাণে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়। মুকুন্দলাল সরকার ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যার সংগ্রাম, ত্যাগ ও মানবসেবার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।


#মুক্তিযুদ্ধ #মুকুন্দলালসরকার #ব্রিটিশবিরোধীআন্দোলন #গোপালগঞ্জ #স্মরণানুষ্ঠান #সারাক্ষণরিপোর্ট