দেউড়ির শব্দের সামনে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হতো। হাকিম হাবিবুর রহমান লিখছেন, উনিশ।
দস্তরবন্দ
যারা পাগড়ি বা মাথায় পরার জন্য বিশেষ টুপি তৈরি করতেন তাদের বলা হতো দস্তরবন্দ। ওয়াইজ জানিয়েছেন শহরে বের হলেই যেসব পাগড়ি দেখা যায় সেগুলি হলো-
১. লোর খোর- খাবার পরিবেশনের সময় পরিচারকরা পরে।
২. লাটুদার- মহাজন ও বানিয়া।
৩. খাইরা- আনুষ্ঠানিকতায় উচ্চবর্গের লোকেরা পরে।
৪. তামামা ও যোগালিয়া- যারা মোগল বংশের উত্তরাধিকার বলে মনে করে তারা পরে।
৫. কাটলি- নতুন পয়সাওয়ালারা পরে।
৬. শামলা- উকিল।
৭. জলাদয়া- আমলা পেশকার ও সেরেস্তাদার। দস্তরবন্দরা সবাই ছিলেন মুসলমান।’
দেউড়ি
মুঘল আমলে মুঘল রইসরা থাকার জন্য যে অট্টালিকা নির্মাণ করতেন, তাকে ঘিরে যে অঙ্গন সেটিই দেউড়ি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। দেউড়ির শব্দের সামনে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হতো। হাকিম হাবিবুর রহমান লিখছেন, উনিশ। শতকের শেষার্ধে বা বিশ শতকের প্রথমার্ধে তিনি। এরকম কয়েকটি দেউড়ির এলাকার নাম শুনেছেন যা ঐ সময়ই ছিল বিলুপ্ত। ঐ জায়গা তখনই আবাদ করা ছিল। এরকম দু’টি নতুন নাম পাই তার লেখায় একটি আমানত খান দেউড়ি, অন্যটি বাচ্চেরাম কি দেউড়ি। পরে সেগুলি কী নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল তা অবশ্য জানা যায়নি।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















