১১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা অ্যাশেজ ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া মাত্র এগারো দিনে, কথিত দুর্বল দলেই ইংল্যান্ডকে ধস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১১)

দেউড়ির শব্দের সামনে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হতো। হাকিম হাবিবুর রহমান লিখছেন, উনিশ।

দস্তরবন্দ

যারা পাগড়ি বা মাথায় পরার জন্য বিশেষ টুপি তৈরি করতেন তাদের বলা হতো দস্তরবন্দ। ওয়াইজ জানিয়েছেন শহরে বের হলেই যেসব পাগড়ি দেখা যায় সেগুলি হলো-

১. লোর খোর- খাবার পরিবেশনের সময় পরিচারকরা পরে।

২. লাটুদার- মহাজন ও বানিয়া।

৩. খাইরা- আনুষ্ঠানিকতায় উচ্চবর্গের লোকেরা পরে।

৪. তামামা ও যোগালিয়া- যারা মোগল বংশের উত্তরাধিকার বলে মনে করে তারা পরে।

৫. কাটলি- নতুন পয়সাওয়ালারা পরে।

৬. শামলা- উকিল।

৭. জলাদয়া- আমলা পেশকার ও সেরেস্তাদার। দস্তরবন্দরা সবাই ছিলেন মুসলমান।’

দেউড়ি

মুঘল আমলে মুঘল রইসরা থাকার জন্য যে অট্টালিকা নির্মাণ করতেন, তাকে ঘিরে যে অঙ্গন সেটিই দেউড়ি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। দেউড়ির শব্দের সামনে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হতো। হাকিম হাবিবুর রহমান লিখছেন, উনিশ। শতকের শেষার্ধে বা বিশ শতকের প্রথমার্ধে তিনি। এরকম কয়েকটি দেউড়ির এলাকার নাম শুনেছেন যা ঐ সময়ই ছিল বিলুপ্ত। ঐ জায়গা তখনই আবাদ করা ছিল। এরকম দু’টি নতুন নাম পাই তার লেখায় একটি আমানত খান দেউড়ি, অন্যটি বাচ্চেরাম কি দেউড়ি। পরে সেগুলি কী নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল তা অবশ্য জানা যায়নি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১০)

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১১)

০৯:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

দেউড়ির শব্দের সামনে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হতো। হাকিম হাবিবুর রহমান লিখছেন, উনিশ।

দস্তরবন্দ

যারা পাগড়ি বা মাথায় পরার জন্য বিশেষ টুপি তৈরি করতেন তাদের বলা হতো দস্তরবন্দ। ওয়াইজ জানিয়েছেন শহরে বের হলেই যেসব পাগড়ি দেখা যায় সেগুলি হলো-

১. লোর খোর- খাবার পরিবেশনের সময় পরিচারকরা পরে।

২. লাটুদার- মহাজন ও বানিয়া।

৩. খাইরা- আনুষ্ঠানিকতায় উচ্চবর্গের লোকেরা পরে।

৪. তামামা ও যোগালিয়া- যারা মোগল বংশের উত্তরাধিকার বলে মনে করে তারা পরে।

৫. কাটলি- নতুন পয়সাওয়ালারা পরে।

৬. শামলা- উকিল।

৭. জলাদয়া- আমলা পেশকার ও সেরেস্তাদার। দস্তরবন্দরা সবাই ছিলেন মুসলমান।’

দেউড়ি

মুঘল আমলে মুঘল রইসরা থাকার জন্য যে অট্টালিকা নির্মাণ করতেন, তাকে ঘিরে যে অঙ্গন সেটিই দেউড়ি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। দেউড়ির শব্দের সামনে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হতো। হাকিম হাবিবুর রহমান লিখছেন, উনিশ। শতকের শেষার্ধে বা বিশ শতকের প্রথমার্ধে তিনি। এরকম কয়েকটি দেউড়ির এলাকার নাম শুনেছেন যা ঐ সময়ই ছিল বিলুপ্ত। ঐ জায়গা তখনই আবাদ করা ছিল। এরকম দু’টি নতুন নাম পাই তার লেখায় একটি আমানত খান দেউড়ি, অন্যটি বাচ্চেরাম কি দেউড়ি। পরে সেগুলি কী নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল তা অবশ্য জানা যায়নি।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১০)