ভাষা আন্দোলনেও যথার্থ ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রাক্কালে ১৯৫৩ সালে ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়।
দৈনিক ইত্তেফাক [১৯৫৩]
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি কোনো পত্রিকা প্রভাব ফেলে থাকে, তাহলে দৈনিক আজাদের পর দৈনিক ইত্তেফাকের কথা বলতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার অর্জনের ক্ষেত্রে ইত্তেফাক-এর ভূমিকা সর্বজনবিদিত।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
দৈনিক আজাদ-এর মতো ইত্তেফাকও আওয়ামী লীগের মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়। নবগঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে একটি মুখপত্রের। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক। পত্রিকার উদ্যোক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের তরুণ উদ্যোক্তা ইয়ার মোহাম্মদ খান, যাঁর কথা এখন আর বলা হয় না। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হন ব্যবস্থাপক। কিছুদিন পর ১৯৫১ সালে মানিক মিয়া সম্পাদক হিসেবে এর কর্তৃত্ব লাভ করেন।
শুরু থেকেই মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল ইত্তেফাকের। ভাষা আন্দোলনেও যথার্থ ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রাক্কালে ১৯৫৩ সালে ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। সোহরাওয়ার্দী ওই ক্রান্তিকালে বিশেষ সহায়ত করেন।
ইয়ার মোহাম্মদ খান
পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি মানিক মিয়া মুসাফির ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ শীর্ষক একটি কলাম লেখা শুরু করেন। অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল কলামটি। ঐ সময় আবারও আর্থিক সংকট হলে বঙ্গবন্ধু এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। করেছিলেন। সোহরাওয়ার্দীও বিনিয়োগ ৬ দফা আন্দোলন প্রথমে মানিক মিয়া সমর্থন না করলেও পরবর্তীকালে সমর্থন করেন এবং ৬ দফার বার্তা পৌঁছে যায় তৃণমূলে ইত্তেফাকের মাধ্যমে।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া
এই দীর্ঘ পথ যাত্রায় নানা টানাপোড়েন ও মালিকানা দ্বন্দ্বের পর এখন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কর্তৃত্বাধীনে পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত আছে।’
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতা
(চলবে)