১১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা অ্যাশেজ ধরে রাখলো অস্ট্রেলিয়া মাত্র এগারো দিনে, কথিত দুর্বল দলেই ইংল্যান্ডকে ধস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৪)

ভাষা আন্দোলনেও যথার্থ ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রাক্কালে ১৯৫৩ সালে ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়।

দৈনিক ইত্তেফাক [১৯৫৩]

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি কোনো পত্রিকা প্রভাব ফেলে থাকে, তাহলে দৈনিক আজাদের পর দৈনিক ইত্তেফাকের কথা বলতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার অর্জনের ক্ষেত্রে ইত্তেফাক-এর ভূমিকা সর্বজনবিদিত।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এর বই সমূহ Maulana Abdul Hamid Khan  Bhashani Books | PBS.COM.BD

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

দৈনিক আজাদ-এর মতো ইত্তেফাকও আওয়ামী লীগের মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়। নবগঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে একটি মুখপত্রের। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক। পত্রিকার উদ্যোক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের তরুণ উদ্যোক্তা ইয়ার মোহাম্মদ খান, যাঁর কথা এখন আর বলা হয় না। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হন ব্যবস্থাপক। কিছুদিন পর ১৯৫১ সালে মানিক মিয়া সম্পাদক হিসেবে এর কর্তৃত্ব লাভ করেন।

শুরু থেকেই মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল ইত্তেফাকের। ভাষা আন্দোলনেও যথার্থ ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রাক্কালে ১৯৫৩ সালে ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। সোহরাওয়ার্দী ওই ক্রান্তিকালে বিশেষ সহায়ত করেন।

ইয়ার মোহাম্মদ খান

পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি মানিক মিয়া মুসাফির ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ শীর্ষক একটি কলাম লেখা শুরু করেন। অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল কলামটি। ঐ সময় আবারও আর্থিক সংকট হলে বঙ্গবন্ধু এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। করেছিলেন। সোহরাওয়ার্দীও বিনিয়োগ ৬ দফা আন্দোলন প্রথমে মানিক মিয়া সমর্থন না করলেও পরবর্তীকালে সমর্থন করেন এবং ৬  দফার বার্তা পৌঁছে যায় তৃণমূলে ইত্তেফাকের মাধ্যমে।

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া

এই দীর্ঘ পথ যাত্রায় নানা টানাপোড়েন ও মালিকানা দ্বন্দ্বের পর এখন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কর্তৃত্বাধীনে পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত আছে।’

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতা 

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

জনপ্রিয় সংবাদ

পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৪)

০৯:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ভাষা আন্দোলনেও যথার্থ ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রাক্কালে ১৯৫৩ সালে ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়।

দৈনিক ইত্তেফাক [১৯৫৩]

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি কোনো পত্রিকা প্রভাব ফেলে থাকে, তাহলে দৈনিক আজাদের পর দৈনিক ইত্তেফাকের কথা বলতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার অর্জনের ক্ষেত্রে ইত্তেফাক-এর ভূমিকা সর্বজনবিদিত।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এর বই সমূহ Maulana Abdul Hamid Khan  Bhashani Books | PBS.COM.BD

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

দৈনিক আজাদ-এর মতো ইত্তেফাকও আওয়ামী লীগের মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হয়। নবগঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে একটি মুখপত্রের। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক। পত্রিকার উদ্যোক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের তরুণ উদ্যোক্তা ইয়ার মোহাম্মদ খান, যাঁর কথা এখন আর বলা হয় না। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হন ব্যবস্থাপক। কিছুদিন পর ১৯৫১ সালে মানিক মিয়া সম্পাদক হিসেবে এর কর্তৃত্ব লাভ করেন।

শুরু থেকেই মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল ইত্তেফাকের। ভাষা আন্দোলনেও যথার্থ ভূমিকা রেখেছিল পত্রিকাটি। যুক্তফ্রন্ট গঠনের প্রাক্কালে ১৯৫৩ সালে ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। সোহরাওয়ার্দী ওই ক্রান্তিকালে বিশেষ সহায়ত করেন।

ইয়ার মোহাম্মদ খান

পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি মানিক মিয়া মুসাফির ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ শীর্ষক একটি কলাম লেখা শুরু করেন। অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল কলামটি। ঐ সময় আবারও আর্থিক সংকট হলে বঙ্গবন্ধু এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। করেছিলেন। সোহরাওয়ার্দীও বিনিয়োগ ৬ দফা আন্দোলন প্রথমে মানিক মিয়া সমর্থন না করলেও পরবর্তীকালে সমর্থন করেন এবং ৬  দফার বার্তা পৌঁছে যায় তৃণমূলে ইত্তেফাকের মাধ্যমে।

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া

এই দীর্ঘ পথ যাত্রায় নানা টানাপোড়েন ও মালিকানা দ্বন্দ্বের পর এখন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কর্তৃত্বাধীনে পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত আছে।’

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতা 

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১১৩)