সমকালের একটি শিরোনাম “মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি টেকনাফে এসে বিঁধল নারীর পায়ে”
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফে এসে ছেনুয়ারা বেগম নামে এক নারী পায়ে বিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় একই এলাকা থেকে একটি তাজা গুলিও উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
আজ শনিবার বিকেলের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল বাগগুনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নারী লম্ববিল বাগগুনা এলাকার আক্তার হোসেনের স্ত্রী। এছাড়া একই এলাকার বাসিন্দা মিজবা উদ্দিনের দোকানে একটি গুলি এসে পড়লে তা উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান উখিয়ার ৬৪-ব্যাটলিয়নের বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক। তিনি বলেন, ‘হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকায় এক নারীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। তিনি কুতুপালং হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে জেনেছি।’
গুলিবিদ্ধ নারীর স্বামী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী শিশু সন্তান নিয়ে টেকনাফের লেদা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়িতে পৌঁছালে হঠাৎ মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে তার পায়ে লাগে। এ সময় চিৎকার দিলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। আমরা এখন কক্সবাজারের পথে।’
হোয়াইক্যংয়ের তেচ্ছি ব্রিজের কম্পিউটার দোকানি মিজবা উদ্দিন বলেন, ‘বিকেলে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি গুলি দোকানে এসে পড়ে। দোকান থেকে সেই গুলিটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, ‘হোয়াইক্যংয়ে একজন নারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ”
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শীর্ষে ব্র্যাক, সিটি ও প্রাইম”
দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক নিয়ে এক যুগ আগে ২০১৩ সালে প্রথমবার সেরা ব্যাংক নির্বাচন করে বণিক বার্তা। ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতি বছরই এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হচ্ছে। সাধারণত প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ে দেশের ব্যাংকগুলোর এ মূল্যায়ন প্রকাশ করা হয়। তবে কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত হতে দেরি হওয়ায় এ বছর র্যাংকিংয়ের প্রস্তুতিও পিছিয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার দ্বাদশ র্যাংকিং প্রস্তুত করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার ফলাফল বলছে, দেশসেরা ব্যাংক ব্র্যাক; দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে সিটি ও প্রাইম। প্রাপ্ত স্কোরে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে ইস্টার্ন ও পূবালী ব্যাংক। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অবস্থান ষষ্ঠ। এবারের র্যাংকিংয়ে ৪০-এর বেশি স্কোর পেয়েছে তিনটি ব্যাংক। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক শূন্য ৮ স্কোর ব্র্যাক ব্যাংকের। সিটি ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক স্কোর করেছে যথাক্রমে ৪৪ দশমিক ৯৪ ও ৪০ দশমিক ৮১। অন্যদিকে ১০-এর নিচে স্কোর পাওয়া ব্যাংকের সংখ্যা পাঁচটি। এবার প্রথমবারের মতো ১ হাজার কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা করে ব্র্যাক ও সিটি ব্যাংক এ সূচকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এবারের র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশের সপ্তম থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তরা, ট্রাস্ট, মিউচুয়াল ট্রাস্ট (এমটিবি) ও ব্যাংক এশিয়া।
মানবজমিনের একটি শিরোন “প্রস্তুত হচ্ছে বাস্তবায়ন আদেশ, নিশ্চয়তা পেলে সই করবে এনসিপি”
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া প্রস্তুত করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই আদেশের খসড়া সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে। কমিশন সূত্র জানিয়েছে নির্বাহী আদেশের আদলে এই আদেশের খসড়া হচ্ছে। এই আদেশে সই করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই আদেশের মাধ্যমে আপাতত জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি হবে। পরে গণভোট এবং নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে এই সনদের পরবর্তী আইনি ধাপগুলো নিষ্পত্তি হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির এই আদেশ জারির পর জাতীয় নাগরিক পার্টিও সনদে সই করতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। গতকাল কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন নেতারা।
এনসিপি বাস্তবায়ন আদেশের ড্রাফট দেখে সই করবে বলে জানালেও তারা কমিশনের বাস্তবায়ন আদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এনসিপি’র সঙ্গে বৈঠক শেষে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারো বৈঠক করেছে কমিশন। রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়ন সুপারিশ আজ চূড়ান্ত হতে পারে। সূত্র বলছে, সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি করলে, তখন এনসিপি যে আইনি বিষয়গুলো চেয়েছে তা ঠিক থাকলে তারা সনদে স্বাক্ষর করবে।
এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্রুতই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দিতে চায়। ৩১শে অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই সরকারের কাছে বাস্তবায়ন নিয়ে সুর্নিদিষ্ট খসড়া দিতে চাইছে কমিশন। এরপর বাকি সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ-২০২৫ অনুযায়ী গণভোট পরিচালনার প্রক্রিয়া নির্ধারিত হবে। এই গণভোট হবে সনদের আইনি ভিত্তির একটি।
গত ১৭ই অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিতা সম্পন্ন হয়। সংলাপে থাকা ৩০টি দল ও জোটের মধ্যে ২৫টি দল এই সনদে সই করে ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ধোঁয়াশা দেখার কথা জানিয়ে সনদে সই করেনি এনসিপি। বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি তুলে বামপন্থি চারটি দলও একই পথ অনুসরণ করেছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 


















