রাজধানীর বায়ু মান আবারও বিপজ্জনক সীমায়
বাংলাদেশের অতিরিক্ত জনবহুল রাজধানী ঢাকা আজ (২৭ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এই মান অনুযায়ী ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
AQI সূচক অনুযায়ী, যখন সূক্ষ্ম কণার দূষণের মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন তা ‘মধ্যম’ মানের বলে ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ মানে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ এর উপরে হলে ‘বিপজ্জনক’—যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
দক্ষিণ এশিয়ার নগরগুলোয় দূষণের প্রতিযোগিতা

আজকের তালিকায় পাকিস্তানের লাহোর প্রথম স্থানে রয়েছে ৩০৭ AQI স্কোর নিয়ে। ভারতের দিল্লি দ্বিতীয় (২৮৭) এবং কলকাতা তৃতীয় (১৭৭) স্থানে আছে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI হলো দৈনন্দিন বায়ুর মান নির্ণয়ের সূচক, যা জানায় কোনো এলাকার বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত এবং এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব কতটা হতে পারে।
বাংলাদেশে AQI নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি দূষণকারী উপাদানের ভিত্তিতে—পার্টিকুলেট ম্যাটার (PM10 ও PM2.5), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2), কার্বন মনোক্সাইড (CO), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2), এবং ওজোন (O3)।
শীতের শুরুতেই ঢাকায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস
ঢাকা বহু বছর ধরেই মারাত্মক বায়ুদূষণের সমস্যায় জর্জরিত। শীতকালে দূষণের মাত্রা বাড়ে, আর বর্ষা মৌসুমে কিছুটা কমে। বছরের এই সময়টিতে ধুলাবালি, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের বর্জ্য মিলে বায়ুমান দ্রুত নেমে আসে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণজনিত কারণে মারা যায়। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।
ঢাকার বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দূষণ রোধে কার্যকর নীতিমালা ও বাস্তব পদক্ষেপ না নিলে আগামী মাসগুলোতে নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।
#পরিবেশ #বায়ুদূষণ #ঢাকা #এয়ার_কোয়ালিটি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















