নতুন গবেষণার উদ্বেগজনক ফলাফল
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘কনজিউমার রিপোর্টস’-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে প্রচলিত একাধিক প্রোটিন পাউডারে বিপজ্জনক মাত্রার সিসা (lead) পাওয়া গেছে। মোট ২৩টি প্রোটিন পাউডারের নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ পণ্যেই এক চামচ (এক সার্ভিং)-এর মধ্যে দৈনিক নিরাপদ সীমা ০.৫ মাইক্রোগ্রাম সিসার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় এ ধরনের পণ্যে সিসার গড় পরিমাণ আরও বেড়েছে।
উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনে বেশি ভারী ধাতু
কনজিউমার রিপোর্টস জানিয়েছে, উদ্ভিদভিত্তিক (plant-based) প্রোটিন পাউডারে গড়ে ভারী ধাতুর পরিমাণ দুগ্ধজাত প্রোটিন—যেমন ‘হুই’—এর চেয়ে নয় গুণ বেশি। আবার গরুর মাংসভিত্তিক প্রোটিনের তুলনায়ও এটি দ্বিগুণের বেশি।

সংস্থার খাদ্য ও নিরাপত্তা গবেষক টুন্ডে আকিনলায়ে বলেন, “এই প্রোটিন পাউডারগুলোতে যতটা লাভ হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে।”
প্রতিদিন ব্যবহার না করার পরামর্শ
আকিনলায়ে সতর্ক করে বলেন, “আমরা প্রতিদিন প্রোটিন পাউডার সেবনের পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ অনেক পণ্যে ভারী ধাতুর পরিমাণ বিপজ্জনক মাত্রায় রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এসব পাউডার একেবারেই অপরিহার্য নয়।”
গবেষকের মতে, নিয়মিত এসব পণ্য গ্রহণ শরীরে বিষাক্ত ধাতুর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
ফিটনেস শিল্পে জনপ্রিয়তা ও ঝুঁকি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ও সাপ্লিমেন্ট পণ্য দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিশেষ করে ফিটনেস সচেতন মানুষ ও অ্যাথলেটদের মধ্যে। প্রোটিন পাউডারকে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও পেশি বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে দেখা হয়।

তবে গবেষকরা বলছেন, এই অন্ধ জনপ্রিয়তার আড়ালে লুকিয়ে আছে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি। প্রোটিন পেতে প্রাকৃতিক উৎস—যেমন ডিম, মাছ, দুধ ও ডাল—সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।
#প্রোটিনপাউডার #সিসাদূষণ #স্বাস্থ্যঝুঁকি #কনজিউমাররিপোর্টস #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















