০৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক কমাতে বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করল জাপান চব্বিশ সেকেন্ডে উনত্রিশ গুলি, আত্মরক্ষার দাবি ঘিরে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে মার্কোস জুনিয়র ২০২৫ সালে কোনোমতে টিকে ছিলেন। ২০২৬ সালে কি তিনি পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে পাবেন? ছুটির মৌসুমে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা বাড়ছে, প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা রেনোয়ারের রেখার উৎসব: মর্গান লাইব্রেরিতে কাগজে ধরা এক শতকের শিল্পযাত্রা রক্তে আঁকা বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি: মারাত হত্যাকাণ্ডে শিল্প, রাজনীতি ও মিথের পুনর্জন্ম কিশোর উদ্যোক্তার এআই বিপ্লব: স্কুলের বেঞ্চ থেকেই গড়ে উঠছে নতুন স্টার্টআপ জগৎ ভোক্তা নিত্যপণ্যে বিনিয়োগের আশ্রয়, তবে এখন চাই বাছাইয়ের বুদ্ধি ছায়া জাহাজে আঘাত, তেলের নল বন্ধের কৌশল: সমুদ্রে নতুন চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন নারী হয়ে চিহ্নিত ও উপহাসের গল্প: এক ভিডিওতে বদলে যাওয়া ক্রিস্টিন কাবোটের জীবন

তুরস্কের পামুক্কালে: সাদা পাথরের জাদুকরী পাহাড় ও উষ্ণ ঝর্ণার অভূতপূর্ব বিস্ময়

প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি

দূর থেকে পামুক্কালেকে দেখলে মনে হয় যেন একটি স্কি রিসোর্ট—সাদা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে ঢেউয়ের মতো স্তর, আর তার ওপর হাঁটছে পর্যটকের দল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এগুলো বরফ নয়, বরং গরম পানির খনিজে জমে ওঠা সাদা পাথরের স্তর, যা গ্রীষ্মের তপ্ত সূর্যের মধ্যেও গলে যায় না।

তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোদে ভেজা পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই বিস্ময়কর স্থানটি প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে জমে ওঠা খনিজ-জল কখনও কখনও ফুটন্ত অবস্থায় মাটি ফুঁড়ে বের হয়।


উষ্ণ ঝর্ণার ইতিহাস ও সৌন্দর্য

হাজার বছর আগেই পামুক্কালে ছিল পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা এই অঞ্চলে আসত উষ্ণ পানিতে স্নান করতে এবং এটি ছিল ‘নরকের দ্বার’-এর কাছে অবস্থিত বলে ধর্মীয়ভাবেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

আজ এই অঞ্চল এবং তার উপরের প্রাচীন শহর হিয়ারাপোলিস মিলে গঠিত হয়েছে একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানকার দুধের মতো নীলাভ পানির সিঁড়ি-বাঁধানো পুলগুলো সূর্যাস্তের সময় গোলাপি আলোয় ঝলমল করে ওঠে—যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অগণিত ছবি ও ভিডিওর বিষয়বস্তু।


পর্যটকদের অভিজ্ঞতা

দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করলে শুরুতে কিছু ধ্বংসাবশেষ ছাড়া বেশি কিছু চোখে পড়ে না। কিন্তু কিছুক্ষণ হাঁটার পরই সামনে আসে পাথরে গড়া, বিশাল সাদা পাহাড়ের দৃশ্য—যা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যায়।

এই পাহাড়গুলোর নামই পামুক্কালে যার অর্থ তুর্কি ভাষায় “কটন ক্যাসেল” বা তুলার দুর্গ। খনিজজলে থাকা ক্যালসাইটের স্তর হাজার বছরের মধ্যে জমে এই অনন্য আকৃতি তৈরি করেছে।

তবে এখন অনেক পুল শুকিয়ে গেছে বা পর্যটকদের জন্য বন্ধ, যা কিছু দর্শনার্থীর হতাশার কারণ। এক চীনা পর্যটক মেরি হুয়াং বলেন, “দৃশ্যটা সুন্দর, তবে আমার প্রত্যাশার মতো এতটা পানিভরা পুল নেই।”


থেরাপিউটিক স্নানের স্বর্গ

যারা একটু নিচের দিকে নামেন, তারা একান্তে একটি পুল পেয়ে যান। এখানকার কাদা ও গরম পানিকে ত্বক, ও শরীরের জন্য উপকারী বলা হয়। পুলে প্রবেশের আগে জুতো খুলে হাঁটতে হয়—কারণ পাথর কিছুটা খসখসে ও পিচ্ছিল।

এছাড়া রয়েছে “অ্যান্টিক পুল,” যা অ্যাপোলোর মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত। এখানে অতিরিক্ত ফি দিয়ে সাঁতার কাটা যায়, স্বচ্ছ উষ্ণ জলে, যার নিচে দেখা যায় প্রাচীন স্তম্ভ ও পাথর। পানির এক কোণে ছোট ছোট বুদবুদ ওঠে—যেন উষ্ণ শ্যাম্পেনে স্নান করা হচ্ছে।

এই পানিকে ত্বক, হৃদযন্ত্র ও বাতজনিত সমস্যা দূর করার উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকে এখানে স্থাপিত পাম্প থেকে পানি পান করেন পাচনতন্ত্রের উপকারের আশায়।


প্রাচীন হিয়ারাপোলিসের ঐতিহ্য

হিয়ারাপোলিসের অবশিষ্ট অংশ ঘুরে দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে। দ্বিতীয় শতাব্দীর আগোরা মার্কেট, রোমান থিয়েটার, ও নেক্রোপলিসের সমাধিগুলো এখনও দণ্ডায়মান রয়েছে। বাইবেলেও এই শহরের উল্লেখ রয়েছে, যা প্রাচীন কালে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

সবচেয়ে রহস্যময় অংশ হলো “প্লুটোনিয়াম” গুহা, যাকে একসময় নরকের প্রবেশদ্বার বলা হতো। এখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় পশুবলি দেওয়া হতো, যেখানে প্রাণীরা মারা যেত, কিন্তু পুরোহিতরা নিশ্বাস বন্ধ রেখে নিরাপদে বেরিয়ে আসত।


পরিবর্তনশীল পর্যটন বাস্তবতা

পামুক্কালে এখন সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেলেও স্থানীয়রা বলছেন, ইউনেস্কো তালিকাভুক্তির পর পর্যটনের ধরণ বদলে গেছে। এলাকার পর্যটন উদ্যোক্তা আলি দুরমুশ বলেন, অতীতে পর্যটকরা সহজে পানিতে নেমে ঘুরতে পারত, কিন্তু এখন অনেক জায়গা বন্ধ থাকায় তারা বেশিক্ষণ থাকেন না।

সংরক্ষণের অংশ হিসেবে এখানে পুরনো হোটেল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, নতুন কৃত্রিম পুল তৈরি করা হয়েছে এবং পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় কম প্রাণবন্ত লাগলেও, এটি প্রাকৃতিকভাবে আরও টেকসই অবস্থায় ফিরেছে।


আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থান

পামুক্কালে থেকে উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২০ মিনিট দূরে কারাহায়িত শহরে রয়েছে লোহা-সমৃদ্ধ গরম পানির স্পা, যার তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে স্থানীয় বাজারে সুস্বাদু তুঁত রস বিক্রি হয়।

আরও দূরে রয়েছে বুহারকেন্ট বা “স্টিম সিটি,” যেখানে ফুটন্ত পানি দিয়ে তুরস্কের প্রথম ভূ-তাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়।


সারা বছরেই আকর্ষণীয়

শীতকালে কখনও কখনও পামুক্কালেতে তুষারপাত হয়, তবে ভূগর্ভস্থ তাপশক্তির কারণে এর পাহাড় সবসময় উষ্ণ থাকে। এ কারণেই “নরকের আগুনে সাদা রঙে আঁকা, পাহাড়” হিসেবে এটি প্রকৃতির এক অসাধারণ বিস্ময়।


পামুক্কালে কেবল একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, বরং ইতিহাস, ভূবিজ্ঞান ও মানব সংস্কৃতির এক অসামান্য সংমিশ্রণ। সাদা পাথরের পাহাড়, নীলাভ গরম পানি ও প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ—সব মিলিয়ে এটি এক চিরন্তন জাদুকরী অভিজ্ঞতা, যা দর্শনার্থীর মনে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যায়।


#তুরস্ক #পামুক্কালে #ভ্রমণ #ইউনেস্কো_ওয়ার্ল্ড_হেরিটেজ #প্রাকৃতিক_বিস্ময় #গরম_পানির_ঝর্ণা #হিয়ারাপোলিস

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসিসিআরের দিগন্ত সিরিজে সংগীতের সন্ধ্যা কলকাতায়

তুরস্কের পামুক্কালে: সাদা পাথরের জাদুকরী পাহাড় ও উষ্ণ ঝর্ণার অভূতপূর্ব বিস্ময়

১২:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি

দূর থেকে পামুক্কালেকে দেখলে মনে হয় যেন একটি স্কি রিসোর্ট—সাদা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে ঢেউয়ের মতো স্তর, আর তার ওপর হাঁটছে পর্যটকের দল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এগুলো বরফ নয়, বরং গরম পানির খনিজে জমে ওঠা সাদা পাথরের স্তর, যা গ্রীষ্মের তপ্ত সূর্যের মধ্যেও গলে যায় না।

তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোদে ভেজা পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই বিস্ময়কর স্থানটি প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে জমে ওঠা খনিজ-জল কখনও কখনও ফুটন্ত অবস্থায় মাটি ফুঁড়ে বের হয়।


উষ্ণ ঝর্ণার ইতিহাস ও সৌন্দর্য

হাজার বছর আগেই পামুক্কালে ছিল পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা এই অঞ্চলে আসত উষ্ণ পানিতে স্নান করতে এবং এটি ছিল ‘নরকের দ্বার’-এর কাছে অবস্থিত বলে ধর্মীয়ভাবেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

আজ এই অঞ্চল এবং তার উপরের প্রাচীন শহর হিয়ারাপোলিস মিলে গঠিত হয়েছে একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানকার দুধের মতো নীলাভ পানির সিঁড়ি-বাঁধানো পুলগুলো সূর্যাস্তের সময় গোলাপি আলোয় ঝলমল করে ওঠে—যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অগণিত ছবি ও ভিডিওর বিষয়বস্তু।


পর্যটকদের অভিজ্ঞতা

দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করলে শুরুতে কিছু ধ্বংসাবশেষ ছাড়া বেশি কিছু চোখে পড়ে না। কিন্তু কিছুক্ষণ হাঁটার পরই সামনে আসে পাথরে গড়া, বিশাল সাদা পাহাড়ের দৃশ্য—যা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যায়।

এই পাহাড়গুলোর নামই পামুক্কালে যার অর্থ তুর্কি ভাষায় “কটন ক্যাসেল” বা তুলার দুর্গ। খনিজজলে থাকা ক্যালসাইটের স্তর হাজার বছরের মধ্যে জমে এই অনন্য আকৃতি তৈরি করেছে।

তবে এখন অনেক পুল শুকিয়ে গেছে বা পর্যটকদের জন্য বন্ধ, যা কিছু দর্শনার্থীর হতাশার কারণ। এক চীনা পর্যটক মেরি হুয়াং বলেন, “দৃশ্যটা সুন্দর, তবে আমার প্রত্যাশার মতো এতটা পানিভরা পুল নেই।”


থেরাপিউটিক স্নানের স্বর্গ

যারা একটু নিচের দিকে নামেন, তারা একান্তে একটি পুল পেয়ে যান। এখানকার কাদা ও গরম পানিকে ত্বক, ও শরীরের জন্য উপকারী বলা হয়। পুলে প্রবেশের আগে জুতো খুলে হাঁটতে হয়—কারণ পাথর কিছুটা খসখসে ও পিচ্ছিল।

এছাড়া রয়েছে “অ্যান্টিক পুল,” যা অ্যাপোলোর মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত। এখানে অতিরিক্ত ফি দিয়ে সাঁতার কাটা যায়, স্বচ্ছ উষ্ণ জলে, যার নিচে দেখা যায় প্রাচীন স্তম্ভ ও পাথর। পানির এক কোণে ছোট ছোট বুদবুদ ওঠে—যেন উষ্ণ শ্যাম্পেনে স্নান করা হচ্ছে।

এই পানিকে ত্বক, হৃদযন্ত্র ও বাতজনিত সমস্যা দূর করার উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেকে এখানে স্থাপিত পাম্প থেকে পানি পান করেন পাচনতন্ত্রের উপকারের আশায়।


প্রাচীন হিয়ারাপোলিসের ঐতিহ্য

হিয়ারাপোলিসের অবশিষ্ট অংশ ঘুরে দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে। দ্বিতীয় শতাব্দীর আগোরা মার্কেট, রোমান থিয়েটার, ও নেক্রোপলিসের সমাধিগুলো এখনও দণ্ডায়মান রয়েছে। বাইবেলেও এই শহরের উল্লেখ রয়েছে, যা প্রাচীন কালে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

সবচেয়ে রহস্যময় অংশ হলো “প্লুটোনিয়াম” গুহা, যাকে একসময় নরকের প্রবেশদ্বার বলা হতো। এখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় পশুবলি দেওয়া হতো, যেখানে প্রাণীরা মারা যেত, কিন্তু পুরোহিতরা নিশ্বাস বন্ধ রেখে নিরাপদে বেরিয়ে আসত।


পরিবর্তনশীল পর্যটন বাস্তবতা

পামুক্কালে এখন সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেলেও স্থানীয়রা বলছেন, ইউনেস্কো তালিকাভুক্তির পর পর্যটনের ধরণ বদলে গেছে। এলাকার পর্যটন উদ্যোক্তা আলি দুরমুশ বলেন, অতীতে পর্যটকরা সহজে পানিতে নেমে ঘুরতে পারত, কিন্তু এখন অনেক জায়গা বন্ধ থাকায় তারা বেশিক্ষণ থাকেন না।

সংরক্ষণের অংশ হিসেবে এখানে পুরনো হোটেল ভেঙে দেওয়া হয়েছে, নতুন কৃত্রিম পুল তৈরি করা হয়েছে এবং পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় কম প্রাণবন্ত লাগলেও, এটি প্রাকৃতিকভাবে আরও টেকসই অবস্থায় ফিরেছে।


আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থান

পামুক্কালে থেকে উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২০ মিনিট দূরে কারাহায়িত শহরে রয়েছে লোহা-সমৃদ্ধ গরম পানির স্পা, যার তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে স্থানীয় বাজারে সুস্বাদু তুঁত রস বিক্রি হয়।

আরও দূরে রয়েছে বুহারকেন্ট বা “স্টিম সিটি,” যেখানে ফুটন্ত পানি দিয়ে তুরস্কের প্রথম ভূ-তাপীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়।


সারা বছরেই আকর্ষণীয়

শীতকালে কখনও কখনও পামুক্কালেতে তুষারপাত হয়, তবে ভূগর্ভস্থ তাপশক্তির কারণে এর পাহাড় সবসময় উষ্ণ থাকে। এ কারণেই “নরকের আগুনে সাদা রঙে আঁকা, পাহাড়” হিসেবে এটি প্রকৃতির এক অসাধারণ বিস্ময়।


পামুক্কালে কেবল একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়, বরং ইতিহাস, ভূবিজ্ঞান ও মানব সংস্কৃতির এক অসামান্য সংমিশ্রণ। সাদা পাথরের পাহাড়, নীলাভ গরম পানি ও প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ—সব মিলিয়ে এটি এক চিরন্তন জাদুকরী অভিজ্ঞতা, যা দর্শনার্থীর মনে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যায়।


#তুরস্ক #পামুক্কালে #ভ্রমণ #ইউনেস্কো_ওয়ার্ল্ড_হেরিটেজ #প্রাকৃতিক_বিস্ময় #গরম_পানির_ঝর্ণা #হিয়ারাপোলিস