শীতের আগে গ্রিড চাপ, লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় একাধিক জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ইউক্রেন জরুরি বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গেছে। গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনেরগো ফ্রিকোয়েন্সি স্থিতিশীল রাখতে ও অবশিষ্ট সক্ষমতা রক্ষায় অঞ্চলভেদে সরবরাহ কমিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সাবস্টেশন বিচ্ছিন্ন করা ও বিকল্প লাইনে সাপ্লাই চালু করতে দলগুলো কাজ করছে। শিল্পাঞ্চল ও কিছু আবাসিকে লোকাল ব্ল্যাকআউট দেখা গেছে; কোন এলাকায় স্বাভাবিক করতে বেশি সময় লাগতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সাম্প্রতিক হামলাগুলো উৎপাদন নয়, বরং সঞ্চালন অবকাঠামোকে লক্ষ্য করছে—যা মেরামতকে জটিল করে এবং খুচরা যন্ত্রাংশের ঘাটতি বাড়ায়। তাপমাত্রা কমতে থাকায় চাহিদা বাড়ছে; ফসল-পরবর্তী প্রক্রিয়াজাত শিল্পও লোড বাড়িয়েছে, ফলে ধাক্কা সামলানোর বাফার সংকুচিত।

থার্মাল প্ল্যান্ট ও উচ্চ ভোল্টেজ সঞ্চালনে ঝুঁকি
পরপর হামলায় ৩৩০ কেভি ও ৭৫০ কেভি লাইনের রিডান্ডেন্সি কমেছে; একটির বিপর্যয়ও ক্যাসকেডে পরিণত হতে পারে বলে প্রকৌশলীরা সতর্ক করছেন। পিক-লোড কভার করতে ব্যবহৃত থার্মাল ইউনিটে রক্ষণাবেক্ষণ জট ও জ্বালানি সরবরাহে সমস্যা রয়েছে। প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি গ্রিড ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করলেও তা সীমিত ও দামের ওপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশনগুলো বিকল্প উষ্ণতা কেন্দ্র প্রস্তুত করছে; ব্যবসায়ীদের ব্যাকআপ জেনারেশনের রোডম্যাপ নিতে বলা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, বড় আর্থিক অঙ্গীকারের চেয়ে ট্রান্সফরমার, ব্রেকার, প্রটেকশন রিলে—এ ধরনের টার্গেটেড সহায়তাই দ্রুত পুনরুদ্ধারে কার্যকর। শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই অগ্রাধিকার হচ্ছে—অবশিষ্ট স্থাপনা সুরক্ষা, দক্ষ লোড ব্যবস্থাপনা এবং তাপমাত্রা যাতে হঠাৎ খুব নিচে না নামে।



সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















