ণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো বক্তব্য প্রচার না করতে গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সংস্থা (NCSA)। সংস্থাটি বলছে, এ ধরনের বক্তব্য সহিংসতা ও অস্থিরতা উসকে দিতে পারে।
ভূমিকা
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সংস্থা (NCSA) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্য যেন গণমাধ্যম প্রচার বা প্রকাশ না করে। সংস্থাটি বলছে, এসব বক্তব্য সহিংসতা ও অস্থিরতা উসকে দিতে পারে।
এনসিএসএর উদ্বেগ
NCSA জানায়, কিছু গণমাধ্যম শেখ হাসিনার যেসব মন্তব্য প্রচার করছে, তার মধ্যে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উসকানির মতো বিষয় রয়েছে বলে তারা মনে করছে। এ ধরনের বার্তা সামাজিক সম্প্রীতিও ক্ষুন্ন করতে পারে বলে তাদের মন্তব্য।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর বিধান অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত বা পলাতক ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার করা আইনবিরোধী।
সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো হলো:
ধারা ৮(২):
জাতীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যায় এমন সামগ্রী অথবা ঘৃণা ও সহিংসতা উসকে দেওয়া অনলাইন উপাদান অপসারণ বা অবরুদ্ধ করার ক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করে।
ধারা ২৬(১):
ভুয়া পরিচয় বা বেআইনি উপায়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
ধারা ২৬(২):
এই অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ড এবং/অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান
NCSA বলছে, তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তবে এমন কোনো বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যা সহিংসতা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতে পারে।

সতর্কবার্তা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের সামগ্রী প্রচার করলে সাংবাদিক ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
#ট্যাগ: বাংলাদেশ | সাইবার_সুরক্ষা | গণমাধ্যম | রাজনীতি
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















