০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও গোলাগুলি, নিরাপদ আশ্রয়ে লাখো মানুষ অজ্ঞাতনামা লাশ, হেফাজতে মৃত্যু আর মব- এখন মানবাধিকারের তিন সংকট নাইজেরিয়ায় খরা মৌসুমের চাষাবাদ ধীরগতি: ধান–মকাই–গমের দামের পতনে কৃষকের অনাগ্রহ ওয়াশিংটন ডিসির গুলিবর্ষণের পর ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপ: যুক্তরাষ্ট্রে আইনি অভিবাসনেও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা গুগল কি এনভিডিয়ার ‘একচেটিয়া আধিপত্য’ ভেঙে দিচ্ছে? এআই চিপ দৌড়ে নতুন শক্তির উত্থান স্পেনে ফ্রাঙ্কোর মতাদর্শের ‘পুনর্জাগরণ’? ৫০ বছর পরও কর্তৃত্ববাদী অতীতের ছায়া ফ্রান্সের গ্রাভেলিনসে ছোট নৌকার ফ্রন্টলাইন: ব্রিটেনে যাওয়ার অপেক্ষায় আটকে ৩ হাজার অভিবাসী টম স্টপার্ড আর নেই: বুদ্ধিদীপ্ত ভাষা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও থিয়েটারের নতুন দিগন্ত তৈরি করা কিংবদন্তির বিদায় ব্রিটেনে সবজি খাওয়া কমেছে, বাড়ছে রেডিমেড খাবার–জাঙ্ক ফুডের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে মানুষ? রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের নতুন জীবনী: ‘মাস্টার স্টোরিটেলার’-এর জীবনে আলো–ছায়ার চিত্র

৬০ ঘণ্টা শিকলে বেঁধে ও সরকারি সহায়তা ছাড়াই ফেরত: যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩১ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপোর্টেশন ফ্লাইটে ৬০ ঘণ্টা হাতকড়া ও শেকলে বাঁধা অবস্থায় দেশে ফিরেছেন আরও ৩১ বাংলাদেশি। নথিপত্র জটিলতা ও অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে তাদের ফেরত পাঠানো হলেও যাত্রাপথের অমানবিক আচরণ এবং দেশে পৌঁছে সরকারি সহায়তার অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে।

বিমানবন্দরে সহায়তা
ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর কোনো সরকারি কর্মকর্তা সহায়তায় উপস্থিত ছিলেন না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের রুটিন সহায়তা ছাড়া পুরো সমন্বয় ও তাৎক্ষণিক সহযোগিতা ব্র্যাকের পক্ষ থেকেই প্রদান করা হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই নোয়াখালী, সিলেট, ফেনী, শরীয়তপুর ও কুমিল্লার বাসিন্দা।

৬০ ঘণ্টার শিকলবন্দি যাত্রা
ফেরত আসা কর্মীরা জানান, পুরো যাত্রাপথে তাদের হাতকড়া ও শেকল পরিয়ে রাখা হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেই শেকল খোলা হয়। এ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ২২৬ জন বাংলাদেশির অধিকাংশই একই ধরনের শিকলবন্দি অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন।

অভিবাসন প্রক্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিলে গিয়েছিলেন। পরে তারা ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন এবং সেখানেই আশ্রয় আবেদন করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অমানবিকতার অভিযোগ
শরিফুল হাসান বলেন, নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানো বৈধ প্রক্রিয়া হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও শেকলে বেঁধে রাখার ঘটনা সম্পূর্ণ অমানবিক। তিনি জানান, ব্রাজিলে কাজের নামে পাঠানো অনেক কর্মী পরে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন এবং ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।

জবাবদিহির দাবি
এই অবৈধ অভিবাসন চক্রে যুক্ত এজেন্সি ও অনুমোদন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান শরিফুল হাসান। পাশাপাশি ব্রাজিলমুখী নতুন কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে আরও কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের একাধিক দফায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

পূর্বের ফেরত অভিযান
এর আগে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন এবং ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

#tags: migration, deportation, USA, Bangladesh, BRAC, illegal-route

জনপ্রিয় সংবাদ

থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও গোলাগুলি, নিরাপদ আশ্রয়ে লাখো মানুষ

৬০ ঘণ্টা শিকলে বেঁধে ও সরকারি সহায়তা ছাড়াই ফেরত: যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩১ বাংলাদেশি

১১:২৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপোর্টেশন ফ্লাইটে ৬০ ঘণ্টা হাতকড়া ও শেকলে বাঁধা অবস্থায় দেশে ফিরেছেন আরও ৩১ বাংলাদেশি। নথিপত্র জটিলতা ও অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে তাদের ফেরত পাঠানো হলেও যাত্রাপথের অমানবিক আচরণ এবং দেশে পৌঁছে সরকারি সহায়তার অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে।

বিমানবন্দরে সহায়তা
ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর কোনো সরকারি কর্মকর্তা সহায়তায় উপস্থিত ছিলেন না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের রুটিন সহায়তা ছাড়া পুরো সমন্বয় ও তাৎক্ষণিক সহযোগিতা ব্র্যাকের পক্ষ থেকেই প্রদান করা হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই নোয়াখালী, সিলেট, ফেনী, শরীয়তপুর ও কুমিল্লার বাসিন্দা।

৬০ ঘণ্টার শিকলবন্দি যাত্রা
ফেরত আসা কর্মীরা জানান, পুরো যাত্রাপথে তাদের হাতকড়া ও শেকল পরিয়ে রাখা হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেই শেকল খোলা হয়। এ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ২২৬ জন বাংলাদেশির অধিকাংশই একই ধরনের শিকলবন্দি অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন।

অভিবাসন প্রক্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিলে গিয়েছিলেন। পরে তারা ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন এবং সেখানেই আশ্রয় আবেদন করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অমানবিকতার অভিযোগ
শরিফুল হাসান বলেন, নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানো বৈধ প্রক্রিয়া হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও শেকলে বেঁধে রাখার ঘটনা সম্পূর্ণ অমানবিক। তিনি জানান, ব্রাজিলে কাজের নামে পাঠানো অনেক কর্মী পরে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন এবং ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।

জবাবদিহির দাবি
এই অবৈধ অভিবাসন চক্রে যুক্ত এজেন্সি ও অনুমোদন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান শরিফুল হাসান। পাশাপাশি ব্রাজিলমুখী নতুন কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে আরও কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের একাধিক দফায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

পূর্বের ফেরত অভিযান
এর আগে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন এবং ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

#tags: migration, deportation, USA, Bangladesh, BRAC, illegal-route