০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্রিটেনে সবজি খাওয়া কমেছে, বাড়ছে রেডিমেড খাবার–জাঙ্ক ফুডের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে মানুষ? রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের নতুন জীবনী: ‘মাস্টার স্টোরিটেলার’-এর জীবনে আলো–ছায়ার চিত্র ব্রিটেনে কমছে পাফিন, মহাকাশে বেঁচে ফিরল শেওলা, আর স্টোন এজ ‘চুইংগাম’-এ চমক—বিজ্ঞান বলছে কী পাকিস্তানে ‘নতুন যুগের অভ্যুত্থান’? সেনাপ্রধান আসিম মুনীরের হাতে সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে চাঞ্চল্য মানুষ কি কেবল যন্ত্র? চেতনা নিয়ে নতুন বিতর্কে সতর্কবার্তা–এআই কখনোই মানুষের মতো হতে পারবে না মারওয়ান বারগুতির মুক্তি ঠেকাল ইসরায়েল: ফিলিস্তিনের সম্ভাব্য নতুন নেতাকে ঘিরে উত্তেজনা এআই কি রক্ষা করতে পারবে বিলুপ্তপ্রায় ভাষা? সেচভিত্তিক কৃষি হুমকির মুখে ইউরোপ–মার্কিন সম্পর্ক ভাঙনের সঙ্কটে ইউরোপ: ট্রাম্পের ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জাপানের সরে দাঁড়ানোয় ভিয়েতনামের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে বড় জটিলতা

পূর্ব কঙ্গোতে নতুন ‘সমান্তরাল সরকার’: এম২৩ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হচ্ছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি স্থাপনের ঘোষণা দিলেও পূর্ব কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীরা নিজস্ব প্রশাসন, সেনাশক্তি ও খনিজ সম্পদের দখল বাড়িয়ে বাস্তবে স্বশাসিত অঞ্চল গড়ে তুলছে। এতে স্থায়ী বিভক্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


বিদ্রোহীদের নতুন প্রশাসন ও পুনঃশিক্ষণ কর্মসূচি

সেপ্টেম্বরে নর্থ কিভুর রুশুরু এলাকায় এম২৩ দুই সপ্তাহের পুনঃশিক্ষণ কর্মসূচি চালায়।
বিদ্রোহী নেতা সুলতানি মাকেঙ্গা উপস্থিত নারী-পুরুষকে জানান—দেশকে ভুল শাসন থেকে মুক্ত করতে হলে শক্তিই একমাত্র পথ।

প্রশিক্ষণে অস্ত্রচালনার মৌলিক ধারণা দেওয়া হলেও মূল গুরুত্ব ছিল কঙ্গোর রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রশাসন গঠন এবং বিদ্রোহীদের চার নীতি—অঙ্গীকার, দৃঢ়তা, ত্যাগ ও শৃঙ্খলা শেখানো।


ট্রাম্পের ‘শান্তি’ দাবি বনাম বাস্তব পরিস্থিতি

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে কঙ্গো–রুয়ান্ডা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন—তিনি পূর্ব কঙ্গোর যুদ্ধ শেষ করেছেন।

কিন্তু বাস্তবে এম২৩ বিদ্রোহীরা ওই চুক্তির অংশ নয় এবং লড়াই থেমে নেই। তারা মাঠে আরও এলাকা দখল করছে এবং দোহায় চলমান শান্তি আলোচনার আড়ালে নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনে এগোচ্ছে।


বিদ্রোহীদের সমান্তরাল রাষ্ট্র-গঠন কার্যক্রম

গত এক বছরে এম২৩-এর সৈন্য সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণকৃত এলাকায় তারা
নতুন গভর্নর ও মেয়র নিয়োগ
নিজস্ব কর ব্যবস্থা
সড়ক মেরামত
বিদেশিদের প্রবেশের জন্য এম২৩ কর্তৃক জারি করা ভিসা
কোলটান ও অন্যান্য খনির ওপর কর
এসব চালু করেছে।

এগুলো মিলিয়ে বিদ্রোহীরা কার্যত আলাদা সরকার গঠন করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।


আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ জেসন স্টার্নস বলেন, বিদ্রোহীরা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়। তাদের কৌশল হলো যতক্ষণ সম্ভব ক্ষমতা ধরে রাখা।

কঙ্গোর গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবুটেলির পরিচালক ফ্রেড বাউমা মনে করেন—দোহা আলোচনার ব্যর্থতায় দেশ ফেডারেল ব্যবস্থার দিকে ঠেলে যেতে পারে অথবা আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।


রুয়ান্ডার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক

কঙ্গো ও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে—রুয়ান্ডা এম২৩-কে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে।
রুয়ান্ডা তা অস্বীকার করে বলছে—এম২৩ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রশাসন চালানো স্বাভাবিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র–রুয়ান্ডার সাম্প্রতিক চুক্তি ধরে অনেকে বলছেন—ওয়াশিংটনের চাপ খুব কার্যকর নাও হতে পারে।


খনিজ সম্পদ দখল এম২৩-এর মূল অর্থস্রোত

বিদ্রোহীরা নর্থ ও সাউথ কিভুর অন্তত ৪৫টি খনি দখল করেছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুবায়া কোলটান খনি—যা বিশ্বের প্রায় ১৫ শতাংশ কোলটানের উৎস।
জাতিসংঘ জানায়—এটি থেকে বিদ্রোহীরা মাসে প্রায় আট লাখ ডলার সমমূল্যের অর্থ পায় এবং বেশিরভাগ কোলটান রুয়ান্ডা হয়ে এশিয়ার রিফাইনারিতে পৌঁছে।


সৈন্যবাহিনী বাড়ানোর চক্র: কঠোর প্রশিক্ষণ ও ভয়

বিদ্রোহীদের শিবিরে সাত মাসের কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে হাজার হাজার নতুন সদস্য যুক্ত হচ্ছে।
অনেকেই স্বেচ্ছায় যোগ দিলেও অনেককে ভয়-চাপের মুখে যোগ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

১২–১৪ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, খাবারের অপ্রতুলতা, শাস্তি ও শৃঙ্খলাজনিত নিপীড়ন—এসব সাধারণ বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজন।


সাধারণ মানুষের জীবন: নিরাপত্তা বাড়লেও ভয়ও বেড়েছে

গোমা ও বুকাভুর রাতের নিরাপত্তা কিছুটা উন্নত হয়েছে।
কিন্তু ব্যাংক বন্ধ, প্রশাসনিক সেবা ভেঙে পড়া, ভূমি দখল, ভিন্নমত দমন—এসব কারণে হাজারো মানুষ জাতিসংঘের কাছে আশ্রয় চেয়েছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“রাতে বের হওয়া যায়, কিন্তু নিয়ম মানতে হবে—না হলে বিপদ নিশ্চিত।”


ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থান: কতটা কার্যকর হবে?

যুক্তরাষ্ট্র এম২৩ ও রুয়ান্ডা-সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং আরও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবুও ভূরাজনৈতিক কারণে চাপ কতটা কার্যকর হবে—তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।


বিদ্রোহীদের চূড়ান্ত বার্তা

এএফসি নেতা করনেই নাঙ্গা প্রশিক্ষণার্থীদের বলেন—
“আমরা পিছু হটব না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকদের আনুন। কঙ্গোকে আমরা মুক্ত করব।”

এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত—এখনো যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

#কঙ্গো_সংঘাত #এম২৩_বিদ্রোহী #পূর্ব_কঙ্গো #কঙ্গো_রুয়ান্ডা #ট্রাম্প_শান্তি #বিদ্রোহী_নিয়ন্ত্রণ #দোহা_আলোচনা #আফ্রিকা_রাজনীতি #খনিজ_দখল #কঙ্গো_সংকট #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটেনে সবজি খাওয়া কমেছে, বাড়ছে রেডিমেড খাবার–জাঙ্ক ফুডের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে মানুষ?

পূর্ব কঙ্গোতে নতুন ‘সমান্তরাল সরকার’: এম২৩ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হচ্ছে

১১:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি স্থাপনের ঘোষণা দিলেও পূর্ব কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীরা নিজস্ব প্রশাসন, সেনাশক্তি ও খনিজ সম্পদের দখল বাড়িয়ে বাস্তবে স্বশাসিত অঞ্চল গড়ে তুলছে। এতে স্থায়ী বিভক্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


বিদ্রোহীদের নতুন প্রশাসন ও পুনঃশিক্ষণ কর্মসূচি

সেপ্টেম্বরে নর্থ কিভুর রুশুরু এলাকায় এম২৩ দুই সপ্তাহের পুনঃশিক্ষণ কর্মসূচি চালায়।
বিদ্রোহী নেতা সুলতানি মাকেঙ্গা উপস্থিত নারী-পুরুষকে জানান—দেশকে ভুল শাসন থেকে মুক্ত করতে হলে শক্তিই একমাত্র পথ।

প্রশিক্ষণে অস্ত্রচালনার মৌলিক ধারণা দেওয়া হলেও মূল গুরুত্ব ছিল কঙ্গোর রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রশাসন গঠন এবং বিদ্রোহীদের চার নীতি—অঙ্গীকার, দৃঢ়তা, ত্যাগ ও শৃঙ্খলা শেখানো।


ট্রাম্পের ‘শান্তি’ দাবি বনাম বাস্তব পরিস্থিতি

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে কঙ্গো–রুয়ান্ডা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন—তিনি পূর্ব কঙ্গোর যুদ্ধ শেষ করেছেন।

কিন্তু বাস্তবে এম২৩ বিদ্রোহীরা ওই চুক্তির অংশ নয় এবং লড়াই থেমে নেই। তারা মাঠে আরও এলাকা দখল করছে এবং দোহায় চলমান শান্তি আলোচনার আড়ালে নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনে এগোচ্ছে।


বিদ্রোহীদের সমান্তরাল রাষ্ট্র-গঠন কার্যক্রম

গত এক বছরে এম২৩-এর সৈন্য সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণকৃত এলাকায় তারা
নতুন গভর্নর ও মেয়র নিয়োগ
নিজস্ব কর ব্যবস্থা
সড়ক মেরামত
বিদেশিদের প্রবেশের জন্য এম২৩ কর্তৃক জারি করা ভিসা
কোলটান ও অন্যান্য খনির ওপর কর
এসব চালু করেছে।

এগুলো মিলিয়ে বিদ্রোহীরা কার্যত আলাদা সরকার গঠন করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।


আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ জেসন স্টার্নস বলেন, বিদ্রোহীরা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়। তাদের কৌশল হলো যতক্ষণ সম্ভব ক্ষমতা ধরে রাখা।

কঙ্গোর গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবুটেলির পরিচালক ফ্রেড বাউমা মনে করেন—দোহা আলোচনার ব্যর্থতায় দেশ ফেডারেল ব্যবস্থার দিকে ঠেলে যেতে পারে অথবা আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।


রুয়ান্ডার ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক

কঙ্গো ও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে—রুয়ান্ডা এম২৩-কে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে।
রুয়ান্ডা তা অস্বীকার করে বলছে—এম২৩ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রশাসন চালানো স্বাভাবিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র–রুয়ান্ডার সাম্প্রতিক চুক্তি ধরে অনেকে বলছেন—ওয়াশিংটনের চাপ খুব কার্যকর নাও হতে পারে।


খনিজ সম্পদ দখল এম২৩-এর মূল অর্থস্রোত

বিদ্রোহীরা নর্থ ও সাউথ কিভুর অন্তত ৪৫টি খনি দখল করেছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুবায়া কোলটান খনি—যা বিশ্বের প্রায় ১৫ শতাংশ কোলটানের উৎস।
জাতিসংঘ জানায়—এটি থেকে বিদ্রোহীরা মাসে প্রায় আট লাখ ডলার সমমূল্যের অর্থ পায় এবং বেশিরভাগ কোলটান রুয়ান্ডা হয়ে এশিয়ার রিফাইনারিতে পৌঁছে।


সৈন্যবাহিনী বাড়ানোর চক্র: কঠোর প্রশিক্ষণ ও ভয়

বিদ্রোহীদের শিবিরে সাত মাসের কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে হাজার হাজার নতুন সদস্য যুক্ত হচ্ছে।
অনেকেই স্বেচ্ছায় যোগ দিলেও অনেককে ভয়-চাপের মুখে যোগ দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

১২–১৪ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, খাবারের অপ্রতুলতা, শাস্তি ও শৃঙ্খলাজনিত নিপীড়ন—এসব সাধারণ বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজন।


সাধারণ মানুষের জীবন: নিরাপত্তা বাড়লেও ভয়ও বেড়েছে

গোমা ও বুকাভুর রাতের নিরাপত্তা কিছুটা উন্নত হয়েছে।
কিন্তু ব্যাংক বন্ধ, প্রশাসনিক সেবা ভেঙে পড়া, ভূমি দখল, ভিন্নমত দমন—এসব কারণে হাজারো মানুষ জাতিসংঘের কাছে আশ্রয় চেয়েছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
“রাতে বের হওয়া যায়, কিন্তু নিয়ম মানতে হবে—না হলে বিপদ নিশ্চিত।”


ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থান: কতটা কার্যকর হবে?

যুক্তরাষ্ট্র এম২৩ ও রুয়ান্ডা-সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং আরও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবুও ভূরাজনৈতিক কারণে চাপ কতটা কার্যকর হবে—তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।


বিদ্রোহীদের চূড়ান্ত বার্তা

এএফসি নেতা করনেই নাঙ্গা প্রশিক্ষণার্থীদের বলেন—
“আমরা পিছু হটব না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকদের আনুন। কঙ্গোকে আমরা মুক্ত করব।”

এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত—এখনো যুদ্ধ থামার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

#কঙ্গো_সংঘাত #এম২৩_বিদ্রোহী #পূর্ব_কঙ্গো #কঙ্গো_রুয়ান্ডা #ট্রাম্প_শান্তি #বিদ্রোহী_নিয়ন্ত্রণ #দোহা_আলোচনা #আফ্রিকা_রাজনীতি #খনিজ_দখল #কঙ্গো_সংকট #সারাক্ষণ_রিপোর্ট