১০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
শতবর্ষে পরাবাস্তবতার বিস্ময়: স্বপ্ন আর অবচেতনের শিল্পযাত্রা ভেনেজুয়েলা ও কিউবা: সামনে কী প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে তারা। তার মূল্য দিতে হচ্ছে যন্ত্রণাদায়কভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ কিমোনোর কাপড়ে নতুন জীবন, বিলাসী পোশাকে জাপানি ঐতিহ্যের আধুনিক রূপ টোকিওর কফি বাজারে ম্যামথ কফির ঝড় গাঁজার নির্যাসে দীর্ঘমেয়াদি পিঠের ব্যথা কমার প্রমাণ মিলছে গবেষণায় ছোট বিমানবন্দরের বড় সুবিধা, ভিড় আর ঝামেলা এড়িয়ে বদলাচ্ছে যাত্রীদের উড়াল অভ্যাস ভারী বর্ষণে দক্ষিণ স্পেনে আকস্মিক বন্যা, নিহত ১ নিখোঁজ ২ হলিউডের অন্ধকার পর্দা: ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিকানা লড়াইয়ে অনিশ্চিত প্রেক্ষাগৃহের ভবিষ্যৎ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ

সমকালের একটি শিরোনাম “দুই হাজার ৫৮২ জনের মনোনয়নপত্র জমা”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন আজ সোমবার পর্যন্ত সারাদেশের তিনশটি আসনে মোট দুই হাজার ৫৮২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তিন হাজার ৪০৭ জন।

সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। রাত সাড়ে ৮টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সংখ্যা জানায়।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এবং এনআইডির পরিচালক (অপারেশন্স) ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসির ১০টি প্রশাসনিক অঞ্চলে সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিলের কাজ চলেছে।

এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন ৩৩৮ জন আর জমা দিয়েছেন ২৭৮ জন। রাজশাহী অঞ্চলে গ্রহণ করেছেন ৩২৯ জন, জমা দিয়েছেন ২৬০ জন। খুলনা অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করছেন ৩৫৮ জন আর জমা দিয়েছেন ২৭৬ জন। বরিশাল অঞ্চলে গ্রহণ করেছেন ২১২ জন, জমা ১৬৬ জনের। ফরিদপুর অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ১৬৫ জন আর জমা ১৪২ জনের। ঢাকা অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ৬৩৮ জন আর জমা দিয়েছেন ৪৪৪ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে যথাক্রমে ৪০২, ১৭৬, ৪৯৬ ও ২৯৩ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করছেন এবং জমা দিয়েছেন যথাক্রমে ৩১১, ১৪৬, ৩৬৫ ও ১৯৪ জন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ”

দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনাবসান হয়েছে। তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় ফজরের পর ইন্তেকাল করেন। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিএনপির পেইজে শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সকলের নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া চাচ্ছি।’

এছাড়া, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানও তাঁর ফেসবুক পেইজে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় আল্লাহর মেহমান হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পঁচিশ ছিল ব্যক্তি খাতের হতাশার বছর”

একদিকে ব্যবসার স্থবির পরিবেশ, অন্যদিকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। অনেক ব্যবসায়ীর সময় কেটেছে কোর্ট-কাচারিতে। পাশাপাশি উচ্চ সুদের হার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নতুন বিনিয়োগ থেকে ব্যবসায়ীদের দূরে রেখেছে। সব মিলিয়ে ২০২৫ সাল ছিল বেসরকারি খাতের জন্য হতাশার বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে মাত্র ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে (অক্টোবর ২০২৫), যা এ খাতে আস্থার সংকটের একটি সরাসরি অর্থনৈতিক সূচক। এ সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠছে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ না করার সিদ্ধান্তে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একই সঙ্গে জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে নতুন বিদেশী বিনিয়োগ (ইকুইটি ক্যাপিটাল) প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।

খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর অন্যতম সমস্যা ছিল দুর্বল ঋণ প্রবৃদ্ধি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও বাজারের অস্থিরতার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়া কমে গেছে। রয়েছে বিনিয়োগে মন্দাও। দেশে নতুন বিনিয়োগ হয়নি, বিশেষ করে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, যা অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্বেগের কারণ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে ব্যবসা পরিচালনার খরচ। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব রেখেছে।

সব মিলিয়ে ২০২৫ নিয়ে হতাশ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের দূরত্ব ছিল। নীতিনির্ধারণের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের ব্যবসা পরিস্থিতির যে ফারাক, তা আরো প্রকট হয়েছে। এখন কিছুটা উন্নতি হলেও বছরের অধিকাংশ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ ছিল। অনেক ব্যাংকের অবস্থা নাজুক। এখন ভালো হলেও শুরুর দিকে ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভের অবস্থা সুবিধাজনক ছিল না।

বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের আগে এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করেন। দেশী ও বিদেশী দুই ধরনের বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষায় আছেন স্থিতিশীল, নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের। বিনিয়োগকারীর বড় চাহিদা থাকে জ্বালানি নিশ্চয়তার। জ্বালানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসেননি। আবার মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো তা উচ্চপর্যায়েই রয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এটা একটা অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার নির্বাচন দিয়ে চলে গেলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসবে, আমরা আশা করছি তারা নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। বর্তমান সরকার যদি আমাদের সংকট নিরসনের পথটা আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা এগিয়ে রাখত তাহলে খুব ভালো হতো।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “দিল্লির বাংলাদেশ দূতকে জরুরি ঢাকায় ডেকে আনলো সরকার”

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় ডেকে এনেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পেতে বাংলাদেশ দূতকে জরুরি ডেকে পাঠানো হয়েছে। ডাক পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান মিস্টার হামিদুল্লাহ। রাতে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল একটি সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের বিভিন্ন মহল। এর জের ধরে ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো ঘিরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় মিশনগুলোতে ভিসা সেবা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ২৩ ডিসেম্বর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল রুটিন ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে অবিশ্বাস্য এক পরিসংখ্যান হাজির করেন। বলেন, বাংলাদেশে ‘২৯০০ সহিংসতার’ ঘটনা ঘটেছে! গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে জয়সোয়ালের ওই দাবি বা মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো তৌহিদ হোসেনের মধ্যে সোমবার একদফা আলোচনা হয়েছে। আজকালের মধ্যে তারা দিল্লি ফেরৎ হাইকমিশনারকে নিয়ে ফের বসতে পারেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

শতবর্ষে পরাবাস্তবতার বিস্ময়: স্বপ্ন আর অবচেতনের শিল্পযাত্রা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ

০৭:৪৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “দুই হাজার ৫৮২ জনের মনোনয়নপত্র জমা”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন আজ সোমবার পর্যন্ত সারাদেশের তিনশটি আসনে মোট দুই হাজার ৫৮২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তিন হাজার ৪০৭ জন।

সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। রাত সাড়ে ৮টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সংখ্যা জানায়।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এবং এনআইডির পরিচালক (অপারেশন্স) ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইসির ১০টি প্রশাসনিক অঞ্চলে সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিলের কাজ চলেছে।

এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন ৩৩৮ জন আর জমা দিয়েছেন ২৭৮ জন। রাজশাহী অঞ্চলে গ্রহণ করেছেন ৩২৯ জন, জমা দিয়েছেন ২৬০ জন। খুলনা অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করছেন ৩৫৮ জন আর জমা দিয়েছেন ২৭৬ জন। বরিশাল অঞ্চলে গ্রহণ করেছেন ২১২ জন, জমা ১৬৬ জনের। ফরিদপুর অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ১৬৫ জন আর জমা ১৪২ জনের। ঢাকা অঞ্চলে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ৬৩৮ জন আর জমা দিয়েছেন ৪৪৪ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে যথাক্রমে ৪০২, ১৭৬, ৪৯৬ ও ২৯৩ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করছেন এবং জমা দিয়েছেন যথাক্রমে ৩১১, ১৪৬, ৩৬৫ ও ১৯৪ জন।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাপ্রয়াণ”

দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনাবসান হয়েছে। তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় ফজরের পর ইন্তেকাল করেন। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিএনপির পেইজে শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সকলের নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া চাচ্ছি।’

এছাড়া, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানও তাঁর ফেসবুক পেইজে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় আল্লাহর মেহমান হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “পঁচিশ ছিল ব্যক্তি খাতের হতাশার বছর”

একদিকে ব্যবসার স্থবির পরিবেশ, অন্যদিকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। অনেক ব্যবসায়ীর সময় কেটেছে কোর্ট-কাচারিতে। পাশাপাশি উচ্চ সুদের হার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নতুন বিনিয়োগ থেকে ব্যবসায়ীদের দূরে রেখেছে। সব মিলিয়ে ২০২৫ সাল ছিল বেসরকারি খাতের জন্য হতাশার বছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে মাত্র ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে (অক্টোবর ২০২৫), যা এ খাতে আস্থার সংকটের একটি সরাসরি অর্থনৈতিক সূচক। এ সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠছে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ না করার সিদ্ধান্তে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একই সঙ্গে জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে নতুন বিদেশী বিনিয়োগ (ইকুইটি ক্যাপিটাল) প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।

খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর অন্যতম সমস্যা ছিল দুর্বল ঋণ প্রবৃদ্ধি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও বাজারের অস্থিরতার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়া কমে গেছে। রয়েছে বিনিয়োগে মন্দাও। দেশে নতুন বিনিয়োগ হয়নি, বিশেষ করে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে, যা অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্বেগের কারণ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে ব্যবসা পরিচালনার খরচ। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত বেসরকারি খাতে নেতিবাচক প্রভাব রেখেছে।

সব মিলিয়ে ২০২৫ নিয়ে হতাশ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের দূরত্ব ছিল। নীতিনির্ধারণের সঙ্গে মাঠপর্যায়ের ব্যবসা পরিস্থিতির যে ফারাক, তা আরো প্রকট হয়েছে। এখন কিছুটা উন্নতি হলেও বছরের অধিকাংশ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ ছিল। অনেক ব্যাংকের অবস্থা নাজুক। এখন ভালো হলেও শুরুর দিকে ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভের অবস্থা সুবিধাজনক ছিল না।

বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের আগে এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করেন। দেশী ও বিদেশী দুই ধরনের বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষায় আছেন স্থিতিশীল, নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের। বিনিয়োগকারীর বড় চাহিদা থাকে জ্বালানি নিশ্চয়তার। জ্বালানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত না হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসেননি। আবার মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো তা উচ্চপর্যায়েই রয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এটা একটা অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার নির্বাচন দিয়ে চলে গেলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসবে, আমরা আশা করছি তারা নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। বর্তমান সরকার যদি আমাদের সংকট নিরসনের পথটা আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা এগিয়ে রাখত তাহলে খুব ভালো হতো।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “দিল্লির বাংলাদেশ দূতকে জরুরি ঢাকায় ডেকে আনলো সরকার”

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় ডেকে এনেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা পেতে বাংলাদেশ দূতকে জরুরি ডেকে পাঠানো হয়েছে। ডাক পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান মিস্টার হামিদুল্লাহ। রাতে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল একটি সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের বিভিন্ন মহল। এর জের ধরে ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো ঘিরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় মিশনগুলোতে ভিসা সেবা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ২৩ ডিসেম্বর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল রুটিন ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে অবিশ্বাস্য এক পরিসংখ্যান হাজির করেন। বলেন, বাংলাদেশে ‘২৯০০ সহিংসতার’ ঘটনা ঘটেছে! গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে জয়সোয়ালের ওই দাবি বা মন্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো তৌহিদ হোসেনের মধ্যে সোমবার একদফা আলোচনা হয়েছে। আজকালের মধ্যে তারা দিল্লি ফেরৎ হাইকমিশনারকে নিয়ে ফের বসতে পারেন।