০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
পান্ডা কূটনীতির পরের অধ্যায়? এখন স্পটলাইটে সোনালি বানর প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৪) ভূতুড়ে কণিকা নিয়ে নতুন আবিষ্কার: যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের গবেষকদের যুগান্তকারী অন্তর্দৃষ্টি কিশোরদের এআই চ্যাট সীমাবোধে নতুন সুইচ দিল মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানসিক সান্ত্বনার নতুন সহচর নাকি কেবল যান্ত্রিক প্রতিফলন? ‘দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল’-এ অশালীনতা ও রক্ষণশীলতার মিশেল—আমেরিকার সাংস্কৃতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫২) পরবর্তী পাঁচ বছরে ঘরোয়া ভোগব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি চীনের ভয়াবহ এক আত্মজীবনী—যৌন নির্যাতন, ক্ষমতার অন্ধকার এবং এক নারীর করুণ লড়াইয়ের কাহিনি চীনের নারী দর্শকশক্তি বদলে দিচ্ছে দেশটির চলচ্চিত্রজগৎ

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-১৪)

  • Sarakhon Report
  • ১২:০০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
  • 68

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


বৃটিশ বস্ত্র শিল্পের মালিকরা চাইত তারা যাতে নীল পায় নিরাপদে। বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ থেকে নীল পেলে তারা খুশী। আমেরিকার বাকি উপনিবেশগুলো থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা হলনা। জ্যামেইকার কৃষকরা কফি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ল কেননা কফিতে বেশি লাভ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বৃটেন পেয়ে গেল এক সুবর্ণ সুযোগ। সবেমাত্র তারা বঙ্গদেশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে।
বঙ্গদেশ- খনিজ পদার্থ শূন্য এশিয়ার এমন এক অঞ্চল-ফলপ্রসূ কৃষি ব্যবস্থা ও শিল্পোৎপাদনই যেখানে দেশীয় সম্পদের আকর। শাসন কর্তৃপক্ষ মনে করলেন:
“বঙ্গদেশে জাতীয় ভিত্তিতে নীলের চাষ ও উৎপাদন করতে হবে। বঙ্গদেশে (ইষ্ট ইন্ডিয়া) কোম্পানীর সদ্য দখলিকৃত বিষয়-সম্পত্তির উপযোগিতা ও মূল্য আরও বাড়াতে হবে যাতে বঙ্গদেশের মাটি ও স্থানীয় শ্রমের সম্পৃক্ততা থেকে রফতানী বাণিজ্যের সুবিধা করা যায় ব্যাপকভাবে।
জোয়ালায় নীল চাষ উন্নয়নের আরও কয়েকটি কারণ ছিল: নীলচাষই একমাত্র বঙ্গদেশ থেকে বৃটেনে তাদের আয় পাঠানোর সুদৃঢ় মাধ্যম হতে পারে। বৃটেনের উঠতি বস্ত্রশিল্প মহল নীলের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদর্শন করলেও উৎপাদিত পণ্য দ্রব্য পাঠানোর ঘোর বিরোধিতা করে তারা যেমন, বঙ্গদেশের বস্ত্র আমদানীর ঘোর বিরোধী ছিল তারা। অন্যান্য অর্থকরী ফসল যেমন চিনি কিংবা গাঁজার ক্ষেত্রেও ততটা আগ্রহী ছিল।
জনপ্রিয় সংবাদ

পান্ডা কূটনীতির পরের অধ্যায়? এখন স্পটলাইটে সোনালি বানর

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-১৪)

১২:০০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


বৃটিশ বস্ত্র শিল্পের মালিকরা চাইত তারা যাতে নীল পায় নিরাপদে। বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ থেকে নীল পেলে তারা খুশী। আমেরিকার বাকি উপনিবেশগুলো থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা হলনা। জ্যামেইকার কৃষকরা কফি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ল কেননা কফিতে বেশি লাভ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বৃটেন পেয়ে গেল এক সুবর্ণ সুযোগ। সবেমাত্র তারা বঙ্গদেশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে।
বঙ্গদেশ- খনিজ পদার্থ শূন্য এশিয়ার এমন এক অঞ্চল-ফলপ্রসূ কৃষি ব্যবস্থা ও শিল্পোৎপাদনই যেখানে দেশীয় সম্পদের আকর। শাসন কর্তৃপক্ষ মনে করলেন:
“বঙ্গদেশে জাতীয় ভিত্তিতে নীলের চাষ ও উৎপাদন করতে হবে। বঙ্গদেশে (ইষ্ট ইন্ডিয়া) কোম্পানীর সদ্য দখলিকৃত বিষয়-সম্পত্তির উপযোগিতা ও মূল্য আরও বাড়াতে হবে যাতে বঙ্গদেশের মাটি ও স্থানীয় শ্রমের সম্পৃক্ততা থেকে রফতানী বাণিজ্যের সুবিধা করা যায় ব্যাপকভাবে।
জোয়ালায় নীল চাষ উন্নয়নের আরও কয়েকটি কারণ ছিল: নীলচাষই একমাত্র বঙ্গদেশ থেকে বৃটেনে তাদের আয় পাঠানোর সুদৃঢ় মাধ্যম হতে পারে। বৃটেনের উঠতি বস্ত্রশিল্প মহল নীলের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদর্শন করলেও উৎপাদিত পণ্য দ্রব্য পাঠানোর ঘোর বিরোধিতা করে তারা যেমন, বঙ্গদেশের বস্ত্র আমদানীর ঘোর বিরোধী ছিল তারা। অন্যান্য অর্থকরী ফসল যেমন চিনি কিংবা গাঁজার ক্ষেত্রেও ততটা আগ্রহী ছিল।