০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪) পাঁচ হাজার ডলারের পথে সোনা, ২০২৬ সালেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকার আভাস জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমছে, ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা কাটছাঁট স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, আউন্সপ্রতি ছাড়াল ৪৪০০ ডলার এনসিপি নেতাকে গুলি: নারী সঙ্গী পলাতক, ফ্ল্যাট থেকে মাদকসংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার তারেক রহমানের দেশে ফেরা সামনে রেখে শঙ্কার কথা জানালেন মির্জা আব্বাস গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওসমান হাদির বোন পাচ্ছেন অস্ত্রের লাইসেন্স ও গানম্যান তিন যুগ, তিন ফাইনাল, একই বাধা ভারত—সারফরাজের নামেই আবার পাকিস্তানের জয়গাথা সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ে জট, দেশে ফেরা থামাচ্ছেন ভারতীয় কর্মীরা

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-১৪)

  • Sarakhon Report
  • ১২:০০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪
  • 145

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


বৃটিশ বস্ত্র শিল্পের মালিকরা চাইত তারা যাতে নীল পায় নিরাপদে। বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ থেকে নীল পেলে তারা খুশী। আমেরিকার বাকি উপনিবেশগুলো থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা হলনা। জ্যামেইকার কৃষকরা কফি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ল কেননা কফিতে বেশি লাভ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বৃটেন পেয়ে গেল এক সুবর্ণ সুযোগ। সবেমাত্র তারা বঙ্গদেশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে।
বঙ্গদেশ- খনিজ পদার্থ শূন্য এশিয়ার এমন এক অঞ্চল-ফলপ্রসূ কৃষি ব্যবস্থা ও শিল্পোৎপাদনই যেখানে দেশীয় সম্পদের আকর। শাসন কর্তৃপক্ষ মনে করলেন:
“বঙ্গদেশে জাতীয় ভিত্তিতে নীলের চাষ ও উৎপাদন করতে হবে। বঙ্গদেশে (ইষ্ট ইন্ডিয়া) কোম্পানীর সদ্য দখলিকৃত বিষয়-সম্পত্তির উপযোগিতা ও মূল্য আরও বাড়াতে হবে যাতে বঙ্গদেশের মাটি ও স্থানীয় শ্রমের সম্পৃক্ততা থেকে রফতানী বাণিজ্যের সুবিধা করা যায় ব্যাপকভাবে।
জোয়ালায় নীল চাষ উন্নয়নের আরও কয়েকটি কারণ ছিল: নীলচাষই একমাত্র বঙ্গদেশ থেকে বৃটেনে তাদের আয় পাঠানোর সুদৃঢ় মাধ্যম হতে পারে। বৃটেনের উঠতি বস্ত্রশিল্প মহল নীলের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদর্শন করলেও উৎপাদিত পণ্য দ্রব্য পাঠানোর ঘোর বিরোধিতা করে তারা যেমন, বঙ্গদেশের বস্ত্র আমদানীর ঘোর বিরোধী ছিল তারা। অন্যান্য অর্থকরী ফসল যেমন চিনি কিংবা গাঁজার ক্ষেত্রেও ততটা আগ্রহী ছিল।
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৪)

নীলের বিশ্বায়ন – নীল ও ঔপনিবেশিক বাংলায় গোয়েন্দাগিরি (পর্ব-১৪)

১২:০০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

পিয়ের পল দারাক ও ভেলাম ভান সেন্দেল

অনুবাদ : ফওজুল করিম


বৃটিশ বস্ত্র শিল্পের মালিকরা চাইত তারা যাতে নীল পায় নিরাপদে। বৃটিশ নিয়ন্ত্রিত উপনিবেশ থেকে নীল পেলে তারা খুশী। আমেরিকার বাকি উপনিবেশগুলো থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা হলনা। জ্যামেইকার কৃষকরা কফি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ল কেননা কফিতে বেশি লাভ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বৃটেন পেয়ে গেল এক সুবর্ণ সুযোগ। সবেমাত্র তারা বঙ্গদেশের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে।
বঙ্গদেশ- খনিজ পদার্থ শূন্য এশিয়ার এমন এক অঞ্চল-ফলপ্রসূ কৃষি ব্যবস্থা ও শিল্পোৎপাদনই যেখানে দেশীয় সম্পদের আকর। শাসন কর্তৃপক্ষ মনে করলেন:
“বঙ্গদেশে জাতীয় ভিত্তিতে নীলের চাষ ও উৎপাদন করতে হবে। বঙ্গদেশে (ইষ্ট ইন্ডিয়া) কোম্পানীর সদ্য দখলিকৃত বিষয়-সম্পত্তির উপযোগিতা ও মূল্য আরও বাড়াতে হবে যাতে বঙ্গদেশের মাটি ও স্থানীয় শ্রমের সম্পৃক্ততা থেকে রফতানী বাণিজ্যের সুবিধা করা যায় ব্যাপকভাবে।
জোয়ালায় নীল চাষ উন্নয়নের আরও কয়েকটি কারণ ছিল: নীলচাষই একমাত্র বঙ্গদেশ থেকে বৃটেনে তাদের আয় পাঠানোর সুদৃঢ় মাধ্যম হতে পারে। বৃটেনের উঠতি বস্ত্রশিল্প মহল নীলের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদর্শন করলেও উৎপাদিত পণ্য দ্রব্য পাঠানোর ঘোর বিরোধিতা করে তারা যেমন, বঙ্গদেশের বস্ত্র আমদানীর ঘোর বিরোধী ছিল তারা। অন্যান্য অর্থকরী ফসল যেমন চিনি কিংবা গাঁজার ক্ষেত্রেও ততটা আগ্রহী ছিল।