শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

বই নিয়ে আড্ডা ও আলোচনা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪, ৯.০৪ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কবি ও কথাসাহিত্যিক ভজন সরকারের গল্পগ্রন্থ ‘ দেশত্যাগের গল্পঃ উত্তরের দেশে’ নিয়ে এ ঋদ্ধ্ব ও প্রাণবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান। শাহবাগের কাঁটাবনের ‘কবিতা ক্যাফে’-র বিকেলটি ছিল এক অনন্য । দীর্ঘদিন প্রবাসে বাস করেও ভজন সরকার বাংলাসাহিত্যে তাঁর নিরলস ও দৃপ্ত উপস্থিতি প্রমান করে চলেছেন। ‘ উত্তরের দেশে’ গল্পগ্রন্থটি তাঁর ৬ষ্ঠ প্রকাশিত গ্রন্থ। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থগুলোও বোদ্ধা পাঠকমহলে ব্যাপক আলোচনা ও আলোড়ন তুলেছে। বিশেষকরের প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘ বিভক্তির সাতকাহন’, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লিখিত উপন্যাস ‘ চন্দ্রমুখী জানালা’  এ গ্রন্থ দু’টির কথা উল্লেখ করতেই হয়।

এদিনও ঢাকার সাহিত্য ও শিল্প-জগতের অনেক জ্ঞানী ও গুণী মানুষের উপস্থিতি এ প্রমান করে যে ভজন সরকার প্রবাসে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের সাহিত্যাংগনে তিনি প্রবল ভাবেই  উপস্থিত  এবং তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য ভাবে  পঠিত ও আলোচিত। ‘কবিতা ক্যাফে’-র অনুষ্ঠানে সেদিন আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক বিভুরঞ্জন সরকার, বাংলা একাডেমি পদক প্রাপ্ত কবি ও গবেষক বাংলা একাডেমির পরিচালক  ডঃ তপন বাগচী, বিশিষ্ট কবি ফরিদুজ্জামান, ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ  নান্টু রায়, বিশিষ্ট  বাম-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিমাই গাঙ্গুলি,  কলামিষ্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমূল্য কুমার বৈদ্য, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী  ডাঃ সুস্মিতা আহমেদ বর্ণা, লেখক ও ইউনিসেফ কর্মকর্তা গীতা দাস, ,স্থপতি ও বিজ্ঞানী অসিত সাহাসহ  আরও অনেকে।

এছাড়াও আরো  অনেক বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে  আলোচনা অনুষ্ঠানটি গল্পগ্রন্থের বিষয়বস্তু ছাপিয়ে হয়ে ওঠে দেশভাগ ও দেশত্যাগের নির্মোহ কারণ বিশ্লেষণের এক আবেগঘন স্মৃতি রোমন্থনের সন্ধ্যা। সার্বিক অনুষ্ঠানটি  উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী নিমাই সরকার। সাহিত্য আড্ডায় সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতজন সুভাষ ভট্রাচার্য।

দেশত্যাগ ও অভিবাসনের ১৫টি গল্প নিয়েও আলোচনা করা হয়। অভিবাসন এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অভিবাসন হয়ে ওঠে চরম কষ্টের যখন তা হয় জোরপূর্বক। কবি ও কথাসাহিত্যিক ভজন সরকার তাঁর গল্পে সেই জোরপূর্বক দেশত্যাগের কিছু কাহিনি তুলে এনেছেন, যা পড়লে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। সকল বক্তাই তাঁদের বক্তব্যে সে কথাটিই তুলে এনেছেন । বিশেষকরে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সচেতন নাগরিক সমাজ ও সরকারেরই দায়িত্ব সকল প্রকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দেশত্যাগের কারণ অনুসন্ধান ও তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করা।

কবি ও লেখক ভজন সরকার তাঁর বক্তব্যে  প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও যেন কোন মানুষকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুত করা না হয়, সে লক্ষ্যেই মানুষকে কাজ করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024