০২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি

শ্রীলংকা ঋণ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ৮ বিলিয়ন ডলারের সংকট কাটাতে সক্ষম হয়েছে 

  • Sarakhon Report
  • ০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • 18

উরুমাইয়া জাতীয় প্রোগ্রামের অধীনে ৪৬৩ জন সেবা গ্রহীতাকে চুক্তিপত্র হাতে তুলে দেন প্রেসিডেন্ট

সারাক্ষন ডেস্ক

শ্রীলংকার  প্রেসিডেন্ট  রনিল বিক্রমাসিংঘে বলেছেন, তার দেশ গত দুই বছরে ঋণ পূনর্গঠনের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

গত ৬ জুলাই কুরুনেগালার নর্থ ওয়েস্টার্ণ প্রোভিন্সিয়াল কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উরুমাইয়া জাতীয় প্রোগ্রামের অধীনে ৪৬৩ জন সেবা গ্রহীতাকে চুক্তিপত্র হাতে তুলে দেন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের ঋণ পরিশোধের জন্যে ৪ বছরের একটি পরিকল্পনা রয়েছে যেটি ঋণের বোঝা এবং সুদের হারও কমাবে যা ৫বিলিয়ন ডলার বাঁচাতে সাহায্য  করবে।

সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে তৈরি করা হচ্ছে পোর্ট সিটি কলম্বো।

তিনি আরো বলেন, “এখন আমাদের দেশ দেউলিয়াত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমরা এখন প্রাইভেট ঋণদাতাদের সাথে মধ্যস্থতা করছি। ফলে ৩ বিলিয়ন ডলার জমা হয়েছে।” প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের ব্যবহারের জন্যে মোট ৮ বিলিয়ন ডলার অধিগ্রহন করা হয়েছে। দেশটি ২ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে গ্রহণ করেছে এবং সেটি চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে পাওয়ার আশা না করেই।

আরো ২ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে গ্রহণ করেছি যা চায়না থেকে কিংবা ইন্ডিয়ার সাহায্য থেকে না নিয়েই হয়েছে। এভাবেই আমরা গত ২ বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার জমা করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন,  আমি ক্ষমতায় আসার আগে, গোতাবায়া রাজাপাকসের আমলে ইন্ডিয়া ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ শর্তে দিয়েছিল। বাংলাদেশও ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও আমার বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে দিয়েছি।

মাতারা থেকে হাম্বানটোটা পর্যন্ত ৯৬ কিলোমিটার বিশাল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। অর্থায়ন করছে চায়না।

প্রেসিডেন্ট সহজ সামাজিকতার উপরে জোর দেন কারন এটা মানুষকে সহজভাবে ভূমি অধিকার দেয়।  তিনি তার দেশকে দেউলিয়ার হাত থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবী করেন িএবং জনগনের ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রাধান্য দিচ্ছেন বলেও জানান।

সমাবেশে তিনি বলেন, তিনি একটা অনিশ্চয়তার সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নেন। তিনি বলেন একটি সঠিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ভিতর দিয়ে একটি অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে দেশ ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নিয়নের সাথে সাথে কুরুনেগালা জেলার উন্নয়নের কাজ করে যাবেন বলেও তিনি জানান।

 শ্রীলংকার পর্যটন শিল্প পূনর্গঠিত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে জানান, কুরুনেগালা কৃষক যারা আমাদের চলে উৎপাদনে বিশাল ভূমিকা রাখছে, তারা অনেকদিন ধরেই তাদের জমির সত্যিকারের মালিকানা নিয়ে সমস্যায় আছে। এখনো আমাদের দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘরের প্রকৃত মালিকানা সমস্যা নিয়ে ভূগছে। আমরা উরুমাইয়া প্রকল্পের আওতায় তাদের সেই ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া নিশ্চিৎ করবো।

আমি যখন অফিসে বসি তখন একটা অনিশ্চয়তার সময় ছিল। নেতারা ভয়ে ছিলেন, কিন্তু আমি নেতৃত্ব দিতে পিছপা হইনি। আমরা বিভিন্ন দল একত্রিত হয়ে জনগনের দাবীর দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ শুরু করি।

যখন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ে, অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।আমি অবশ্যই এই অঞ্চলের মানুষের কাছে কুতজ্ঞ। এখন আমার দেশ দেউলিয়াত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। ঋণ পরিশোধের  জন্যে আমাদের ৪ বছরের প্রকল্প আছে যেখানে সুদের বোঝা কম থাকবে ফলে আমরা ৫ বিলিয়ন ডলার জমাতে পারবো।

আমদের অর্থনীতি পূনর্গঠিত করার লক্ষ্যে আমাকে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। ব্যাট তোলা সহজ ছিলনা। কিন্তু আমাদের অর্থনীতিকে শান্ত করতে এটা দরকার ছিল। কিছু নেতা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে জনগনকে উস্কে দিতে চেষ্টা করেছিল। কৃষকদের কলম্বোতে জড়ো হতে আহ্বান করা হয়েছিল কিন্ত জ্বালানী আর সারের অভাবে তারা আসতে পারেনি। আমার তাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানী ও সারের ব্যবস্থা করেছিলাম। ফলে তারা ফসল চাষ না করেই তাদেরকে কলম্বোতে আসতে বলা হয়েছিল।

ভাল ফসল ফলেছে, পর্যটন বেড়ে গিয়েছে তাই সকলকে ধন্যবাদ। এভাবেই আমরা ৮ বিলিয়ন ডলারের লোন পরিশোধ করতে সমর্থ হয়েছিলাম। যখন কোনো দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে তখন সাবার আগে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।কিন্তু এটি পূনর্গঠিত হলে ধনীরা অন্যভাবে লাভবান হয়। আমার উরুমাইয়া বিনামূল্যে ভূমিদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছি যা সাধারন মানুষের উপকারে আসবে। আজকে যারা এই প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ হলো তারা এই জমিকে নিজের জমি হিসেবেই গ্রহণ করতে পারলো এবং যা তাদের পরবর্তী বংশধররাও ভোগ করতে পারবে। এটা সরকারের একটি রেকর্ড ।

ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল

শ্রীলংকা ঋণ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ৮ বিলিয়ন ডলারের সংকট কাটাতে সক্ষম হয়েছে 

০৫:২৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সারাক্ষন ডেস্ক

শ্রীলংকার  প্রেসিডেন্ট  রনিল বিক্রমাসিংঘে বলেছেন, তার দেশ গত দুই বছরে ঋণ পূনর্গঠনের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

গত ৬ জুলাই কুরুনেগালার নর্থ ওয়েস্টার্ণ প্রোভিন্সিয়াল কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উরুমাইয়া জাতীয় প্রোগ্রামের অধীনে ৪৬৩ জন সেবা গ্রহীতাকে চুক্তিপত্র হাতে তুলে দেন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের ঋণ পরিশোধের জন্যে ৪ বছরের একটি পরিকল্পনা রয়েছে যেটি ঋণের বোঝা এবং সুদের হারও কমাবে যা ৫বিলিয়ন ডলার বাঁচাতে সাহায্য  করবে।

সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে তৈরি করা হচ্ছে পোর্ট সিটি কলম্বো।

তিনি আরো বলেন, “এখন আমাদের দেশ দেউলিয়াত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমরা এখন প্রাইভেট ঋণদাতাদের সাথে মধ্যস্থতা করছি। ফলে ৩ বিলিয়ন ডলার জমা হয়েছে।” প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের ব্যবহারের জন্যে মোট ৮ বিলিয়ন ডলার অধিগ্রহন করা হয়েছে। দেশটি ২ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে গ্রহণ করেছে এবং সেটি চায়না বা ইন্ডিয়া থেকে পাওয়ার আশা না করেই।

আরো ২ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে গ্রহণ করেছি যা চায়না থেকে কিংবা ইন্ডিয়ার সাহায্য থেকে না নিয়েই হয়েছে। এভাবেই আমরা গত ২ বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার জমা করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন,  আমি ক্ষমতায় আসার আগে, গোতাবায়া রাজাপাকসের আমলে ইন্ডিয়া ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ শর্তে দিয়েছিল। বাংলাদেশও ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও আমার বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে দিয়েছি।

মাতারা থেকে হাম্বানটোটা পর্যন্ত ৯৬ কিলোমিটার বিশাল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। অর্থায়ন করছে চায়না।

প্রেসিডেন্ট সহজ সামাজিকতার উপরে জোর দেন কারন এটা মানুষকে সহজভাবে ভূমি অধিকার দেয়।  তিনি তার দেশকে দেউলিয়ার হাত থেকে মুক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবী করেন িএবং জনগনের ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রাধান্য দিচ্ছেন বলেও জানান।

সমাবেশে তিনি বলেন, তিনি একটা অনিশ্চয়তার সময়ে দেশের শাসনভার হাতে নেন। তিনি বলেন একটি সঠিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ভিতর দিয়ে একটি অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে দেশ ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নিয়নের সাথে সাথে কুরুনেগালা জেলার উন্নয়নের কাজ করে যাবেন বলেও তিনি জানান।

 শ্রীলংকার পর্যটন শিল্প পূনর্গঠিত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে জানান, কুরুনেগালা কৃষক যারা আমাদের চলে উৎপাদনে বিশাল ভূমিকা রাখছে, তারা অনেকদিন ধরেই তাদের জমির সত্যিকারের মালিকানা নিয়ে সমস্যায় আছে। এখনো আমাদের দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘরের প্রকৃত মালিকানা সমস্যা নিয়ে ভূগছে। আমরা উরুমাইয়া প্রকল্পের আওতায় তাদের সেই ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া নিশ্চিৎ করবো।

আমি যখন অফিসে বসি তখন একটা অনিশ্চয়তার সময় ছিল। নেতারা ভয়ে ছিলেন, কিন্তু আমি নেতৃত্ব দিতে পিছপা হইনি। আমরা বিভিন্ন দল একত্রিত হয়ে জনগনের দাবীর দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ শুরু করি।

যখন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ে, অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।আমি অবশ্যই এই অঞ্চলের মানুষের কাছে কুতজ্ঞ। এখন আমার দেশ দেউলিয়াত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। ঋণ পরিশোধের  জন্যে আমাদের ৪ বছরের প্রকল্প আছে যেখানে সুদের বোঝা কম থাকবে ফলে আমরা ৫ বিলিয়ন ডলার জমাতে পারবো।

আমদের অর্থনীতি পূনর্গঠিত করার লক্ষ্যে আমাকে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। ব্যাট তোলা সহজ ছিলনা। কিন্তু আমাদের অর্থনীতিকে শান্ত করতে এটা দরকার ছিল। কিছু নেতা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে জনগনকে উস্কে দিতে চেষ্টা করেছিল। কৃষকদের কলম্বোতে জড়ো হতে আহ্বান করা হয়েছিল কিন্ত জ্বালানী আর সারের অভাবে তারা আসতে পারেনি। আমার তাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানী ও সারের ব্যবস্থা করেছিলাম। ফলে তারা ফসল চাষ না করেই তাদেরকে কলম্বোতে আসতে বলা হয়েছিল।

ভাল ফসল ফলেছে, পর্যটন বেড়ে গিয়েছে তাই সকলকে ধন্যবাদ। এভাবেই আমরা ৮ বিলিয়ন ডলারের লোন পরিশোধ করতে সমর্থ হয়েছিলাম। যখন কোনো দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে তখন সাবার আগে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।কিন্তু এটি পূনর্গঠিত হলে ধনীরা অন্যভাবে লাভবান হয়। আমার উরুমাইয়া বিনামূল্যে ভূমিদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছি যা সাধারন মানুষের উপকারে আসবে। আজকে যারা এই প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ হলো তারা এই জমিকে নিজের জমি হিসেবেই গ্রহণ করতে পারলো এবং যা তাদের পরবর্তী বংশধররাও ভোগ করতে পারবে। এটা সরকারের একটি রেকর্ড ।