এই প্রসঙ্গে আইসিটিভির ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য৷ এই কমিটি ভাইরাসকে সুসংগঠিত ভাবে শ্রেণিবদ্ধ করে৷

আইসিটিভির বিশেষজ্ঞদের কমিটিগুলি বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসগুলির গ্রুপিং নিয়ে আলোচনা ও মূল্যায়ন করে এবং সেই অনুযায়ী তাদের শ্রেণিবিন্যাস পরিবর্তন করে।

প্রসঙ্গত, ভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নাম ছাড়াও আইসিটিভির শ্রেণিবিন্যাসে বিশেষ নামকরণ করা হয়ে থাকে তাদের।

যেমন আইসিটিভির একটা স্টাডি গ্রুপ ২০১৯ সালে করোনভাইরাসের নাম ‘সার্স-কোভ-২’ রেখেছিল।

মেরিল্যান্ডের ফোর্ট ডেট্রিকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ইন্টিগ্রেটেড রিসার্চ ফ্যাসিলিটির প্রধান ভাইরোলজিস্ট এবং ইবোলা ভাইরাসের বিশেষজ্ঞ জেন্স কুহন বলেছেন, “ভাইরাসগুলি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চমৎকার।”

নতুন যে ভাইরাস আবিষ্কার হচ্ছে তার শ্রেণিবিন্যাসের দায়িত্বে থাকা আইসিটিভির উপকমিটির চেয়ারম্যানও তিনি।

জেন্স কুহন বলেন, “প্রতিটা নতুন ভাইরাস আবিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কাজ আরও জটিল হয়ে উঠছে।”

একই সঙ্গে বেশ কয়েকটা ভাইরাসের নতুন ভাবে নামকরণও হয়েছে।

ইবোলার আনুষ্ঠানিক নাম আইসিটিভি রেখেছে ‘অর্থোইবোলাভাইরাস জাইরেন্সে’। আর ডেঙ্গু?

তার নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০২২ সালে আইসিটিভি এর নামকরণও করেছে। ডেঙ্গুর নাম এখন অর্থোফ্লাভিভাইরাস ডেঙ্গুই, হয়তো বৈজ্ঞানিক দিক থেকে আরও সংগঠিত কিন্তু ততটা আকর্ষণীয় নয়!

এই নতুন নাম কিন্তু বেঁচে থাকলে স্পেনের সেই রানি (মারিয়া লুইসা দে পারমাকে) লেখার সময় হোঁচট খেতে বাধ্য করত, যার চিঠিতে ডেঙ্গু রোগের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল।