০৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ “ওরা করলে, আমরা প্রস্তুত”: পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা ইস্যুতে রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি বেঙ্গালুরুর জেলে আইএস জঙ্গি ও সিরিয়াল ধর্ষকের মোবাইল ব্যবহার ফাঁস, তদন্তে নেমেছে কর্ণাটক সরকার পাকিস্তানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের অভূতপূর্ব পদোন্নতি — এখন দেশের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ বর্তমানের সব জাতীয় সংকটই সরকারের সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের সঙ্গে টাকা ও ট্যারিফ বিরোধে আন্তর্জাতিক সালিশিতে আদানি পাওয়ার” ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে আধুনিক প্রশিক্ষণের ওপর জোর নতুন বেতন কমিশন গঠন করবে পরবর্তী সরকার: সালেহউদ্দিন আহমেদ নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পাঁচ মামলায় জামিন প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিতে সহানুভূতির আহ্বান জানালেন জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পারওয়ার

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 18

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়া জনগোষ্ঠীর অনেকেই দক্ষিণ অঞ্চল থেকে অবসিডিয়ায় ধাতু বহন করে নিয়ে আসত। এই বিশেষ ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি হত নানা ধরনের যন্ত্রপাতি এবং অস্ত্রে। এইসঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকত পান্নাজাতীয় (Jade) পাথর এবং পাখির পালক। গাছের ছাল পুড়িয়ে ধূপকাঠির মত সুগন্ধিও তৈরি করা হত। এছাড়া থাকত পোকামাকড় শুকিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা লাল রং।

এইসঙ্গে মায়ারা সঙ্গে নিয়ে আসত লবণ, শুকনো মাছ, তুলোর সুতো, মোম, মধু। মায়ারা এবং অন্যান্য অংশের মানুষ এইসব দ্রব্য বহন করে বাণিজ্য করত। এছাড়া্য কাকাও বিন-এর বদলে বেচত। কেননা এই কাকাও বিন অনেক সময় মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এইসব বাণিজ্য, ব্যবসার কাজেই ছিল মায়াদের জীবিকা-বৈচিত্র্য। তবে এইসঙ্গে একথাও বলতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই এই বাণিজ্য থেকে লাভবান হয়েছে উচ্চ বর্ণের অভিজাত শ্রেণির মানুষ।

আমরা জানি মায়া সমাজ ছিল সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস প্রধান। এই অবস্থা থেকে আমরা বলতেই পারি মায়া সমাজের প্রান্তিক অংশের মানুষের মধ্যে দুঃখ-দুর্দশা ছিল। পেশা, জীবিকা সংগ্রহে তাদের সমাজের ধনী অভিজাতদের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হত। আবার অন্যদিকে পেশা বা কাজের বিনিময়ে অনেক সময় ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হত। বিশেষ করে আদিবাসী এবং ভারতীয় মায়াদের এই দুঃসহ অবস্থার শিকার হতে হত।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আবুল খায়ের গ্রুপ

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৫)

০৬:০০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

মায়া জনগোষ্ঠীর অনেকেই দক্ষিণ অঞ্চল থেকে অবসিডিয়ায় ধাতু বহন করে নিয়ে আসত। এই বিশেষ ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি হত নানা ধরনের যন্ত্রপাতি এবং অস্ত্রে। এইসঙ্গে তাদের সঙ্গে থাকত পান্নাজাতীয় (Jade) পাথর এবং পাখির পালক। গাছের ছাল পুড়িয়ে ধূপকাঠির মত সুগন্ধিও তৈরি করা হত। এছাড়া থাকত পোকামাকড় শুকিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা লাল রং।

এইসঙ্গে মায়ারা সঙ্গে নিয়ে আসত লবণ, শুকনো মাছ, তুলোর সুতো, মোম, মধু। মায়ারা এবং অন্যান্য অংশের মানুষ এইসব দ্রব্য বহন করে বাণিজ্য করত। এছাড়া্য কাকাও বিন-এর বদলে বেচত। কেননা এই কাকাও বিন অনেক সময় মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এইসব বাণিজ্য, ব্যবসার কাজেই ছিল মায়াদের জীবিকা-বৈচিত্র্য। তবে এইসঙ্গে একথাও বলতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই এই বাণিজ্য থেকে লাভবান হয়েছে উচ্চ বর্ণের অভিজাত শ্রেণির মানুষ।

আমরা জানি মায়া সমাজ ছিল সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস প্রধান। এই অবস্থা থেকে আমরা বলতেই পারি মায়া সমাজের প্রান্তিক অংশের মানুষের মধ্যে দুঃখ-দুর্দশা ছিল। পেশা, জীবিকা সংগ্রহে তাদের সমাজের ধনী অভিজাতদের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হত। আবার অন্যদিকে পেশা বা কাজের বিনিময়ে অনেক সময় ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হত। বিশেষ করে আদিবাসী এবং ভারতীয় মায়াদের এই দুঃসহ অবস্থার শিকার হতে হত।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬৪)