০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি

নির্মাণে নতুন ধাপে বিশ্বের বৃহত্তম গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর

  • Sarakhon Report
  • ০৫:১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 15

ডিসেম্বর ১৯, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: আল্ট্রাপিওর বা অতিবিশুদ্ধ পানিতে পূরণ করা হচ্ছে চীনের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম স্বচ্ছ গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর চুনো। এতে করে ডিটেক্টরটি নির্মাণ কার্যক্রমের শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

নিউট্রিনোকে বলা হয় ভুতুড়ে কণা। এটি এত ক্ষুদ্র যে সাধারণ বস্তুর ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই কণাটিকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক। এটির মাধ্যমে মহাজাগতিক অনেক গোপন রহস্য, যেমন ডার্ক ম্যাটারকে আরও ভালো করে বুঝতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউট্রিনো শনাক্ত করতে বড় ডিটেক্টর এবং আল্ট্রাপিওর পানির প্রয়োজন হয়। পানির স্বচ্ছতার কারণে নিউট্রিনো কণার প্রভাব থেকে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের আলো।

চীনের চিয়াংমেন সিটির খাইপিং পাহাড়ের গভীরে থাকা গ্রানাইট স্তরে তৈরি করা হয়েছে চুনো। এর কেন্দ্রে আছে একটি অতিকায় গোলক। এর চারপাশে আছে ৪১ দশমিক ১ মিটার ব্যাসের স্টিলের কাঠামো। পুরো ডিটেক্টরটি ২০ হাজার বড় ও ২৫ হাজার ছোট ফটোমাল্টিপ্লায়ার টিউব দিয়ে সজ্জিত।

এই পানির পূরণ প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথমে গোলকের ভেতর ও বাইরের স্থান পানিতে পূর্ণ হবে। পরে পানির পরিবর্তে যোগ করা হবে বিশেষ আরেকটি উপাদান, যার কাজ হলো চার্জযুক্ত বিকীরণ শোষণ করে আলো তৈরি করা। ২০২৫ সালের আগস্টে এই পানি পূরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং তারপরই নিউট্রিনোর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ১২টি মৌলিক কণার মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও হালকা হলো নিউট্রিনো। এটি চার্জ নিরপেক্ষ এবং আলোর কাছাকাছি গতিতে ভ্রমণ করে। বিগ ব্যাংয়ের পর থেকে এ কণাগুলো সমগ্র মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণেই নক্ষত্রের ভেতর পারমাণবিক বিক্রিয়া, সুপারনোভা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক চুল্লির অপারেশন ঘটে থাকে।

ফয়সল/শান্তা

ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল

নির্মাণে নতুন ধাপে বিশ্বের বৃহত্তম গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর

০৫:১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিসেম্বর ১৯, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: আল্ট্রাপিওর বা অতিবিশুদ্ধ পানিতে পূরণ করা হচ্ছে চীনের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম স্বচ্ছ গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর চুনো। এতে করে ডিটেক্টরটি নির্মাণ কার্যক্রমের শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

নিউট্রিনোকে বলা হয় ভুতুড়ে কণা। এটি এত ক্ষুদ্র যে সাধারণ বস্তুর ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই কণাটিকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক। এটির মাধ্যমে মহাজাগতিক অনেক গোপন রহস্য, যেমন ডার্ক ম্যাটারকে আরও ভালো করে বুঝতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউট্রিনো শনাক্ত করতে বড় ডিটেক্টর এবং আল্ট্রাপিওর পানির প্রয়োজন হয়। পানির স্বচ্ছতার কারণে নিউট্রিনো কণার প্রভাব থেকে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের আলো।

চীনের চিয়াংমেন সিটির খাইপিং পাহাড়ের গভীরে থাকা গ্রানাইট স্তরে তৈরি করা হয়েছে চুনো। এর কেন্দ্রে আছে একটি অতিকায় গোলক। এর চারপাশে আছে ৪১ দশমিক ১ মিটার ব্যাসের স্টিলের কাঠামো। পুরো ডিটেক্টরটি ২০ হাজার বড় ও ২৫ হাজার ছোট ফটোমাল্টিপ্লায়ার টিউব দিয়ে সজ্জিত।

এই পানির পূরণ প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথমে গোলকের ভেতর ও বাইরের স্থান পানিতে পূর্ণ হবে। পরে পানির পরিবর্তে যোগ করা হবে বিশেষ আরেকটি উপাদান, যার কাজ হলো চার্জযুক্ত বিকীরণ শোষণ করে আলো তৈরি করা। ২০২৫ সালের আগস্টে এই পানি পূরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং তারপরই নিউট্রিনোর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ১২টি মৌলিক কণার মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও হালকা হলো নিউট্রিনো। এটি চার্জ নিরপেক্ষ এবং আলোর কাছাকাছি গতিতে ভ্রমণ করে। বিগ ব্যাংয়ের পর থেকে এ কণাগুলো সমগ্র মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণেই নক্ষত্রের ভেতর পারমাণবিক বিক্রিয়া, সুপারনোভা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক চুল্লির অপারেশন ঘটে থাকে।

ফয়সল/শান্তা