সত্যেন্দ্রকুমার বসু
খৃস্টাব্দের প্রথম শতাব্দীতে বা তার আগেই বৌদ্ধধর্ম চীনে পৌঁছেছিল। সেই থেকে বহু ভারতীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসী দুর্গম পথ অতিক্রম ক’রে চীনে ধর্ম প্রচার করতে যেতেন। আর অনেক চৈনিক ভক্ত বৌদ্ধও তাঁদের ধর্মের প্রধান প্রধান তীর্থস্থানগুলি দেখবার জন্যে আর মূল শাস্ত্রগুলির অনুসন্ধানে ভারতবর্ষে আসতেন।
তাঁদের মধ্যে একজন, শাক্যপুত্র ফা হিয়ান, ৪০০ খৃস্টাব্দে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ভারতে প্রবেশ ক’রে উত্তরভারতে চৌদ্দ-পনের বছর যাপন ক’রে তাম্রলিপ্তি বন্দর থেকে সমুদ্রপথে চীনদেশে প্রত্যাগমন করেন।
৪৫৩ খৃস্টাব্দে তৎকালীন চীনসম্রাট থো-পা-সুঙ, বৌদ্ধধর্ম অবলম্বন করেন আর সেই থেকে বৌদ্ধধর্মও লাওজে এবং কনফুসীয়াসের প্রবর্তিত ধর্মের সঙ্গে অন্তত সমান সমাদর পেয়ে আসছে।
ষষ্ঠ শতাব্দীর চীন সম্রাট লিআঙ, বুটি-র বৌদ্ধধর্মপ্রীতির আতিশয্য ছিল। বৌদ্ধধর্মের ভিতর দিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি যে চৈনিক সংস্কৃতির উপর গভীর স্থায়ী প্রভাব অঙ্কিত করেছে তার প্রমাণ চীনের বর্ণমালার উচ্চারণে অঙ্কশাস্ত্র জ্যোতিষ সাহিত্য সংগীত স্থাপত্য রূপকর্ম ইত্যাদি সংস্কৃতির সমস্ত নিদর্শনেই পাওয়া যায়।’
চলবে